পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अप्न ७ श्रृङ्क \డిyరి চন্দ্রদর্শন করি আর না করি, তারানাথের কাছে প্রায়ই যাইতাম । লোকটা এমন সব অদ্ভুত কথা বলে, যা পথে-ঘাটে বড় একটা শোনা তো যায়ই না, দৈনন্দিন খাটিয়া খাওয়ার জীবনের সঙ্গে তার কোন সম্পর্কও নাই। পৃথিবীতে যে আবার সে-সব ব্যাপার ঘটে, তার তো কোনদিন জানা ছিল না । একদিন বর্ষার বিকাল বেলা তারানাথের ওখানে গিয়াছি । তারানাথ পুরাতন একখানা তুলেটি কাগজের পুথির পাতা উন্টাইতেছে, আমাকে দেখিয়া বলিল—“চল বেলেঘাটাতে একজন বড় সাধু এসেছেন দেখা করে আসি। খুব ভালো তান্ত্রিক শুনেছি। তারানাথের স্বভাবই ভালো সাধু-সন্ন্যাসীর সন্ধান করিয়া বেড়ানো—বিশেষ করিয়া সে সাধু যদি আবার তান্ত্রিক হয়, তবে তারানাথ সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম ফেলিয়া তাহার পিছনে দিনরাত লাগিয়া থাকিবে । গেলাম বেলেঘাটা। সাধুর ক্ষমতার মধ্যে দেখিলাম, তিনি আমাকে যে-কোন একটা গন্ধের নাম করিতে বলিলেন, আমি বেলফুলের নাম করিতেই তিনি বলিলেন—পকেটে রুমাল আছে ? বার করে দেখ । 叠 রুমাল বার করিয়া দেখি তাহাতে বেলফুলের গন্ধ ভুর-তুর করিতেছে। আমি সাধুর নিকট হইতে পাচ-ছয় হাত দূরে বসিয়াছি এবং আমার পকেটে কেহ হাত দেয় নাই, ঘরে আমি, তারানাথ ও সাধু ছাড়া অন্ত কেহই নাই, রুমালখানাতে আমার নামও লেখা— সুতরাং হাত-সাফাইয়ের সম্ভাবনা আদেী নাই । কিছু যে আশ্চৰ্য্য ন হইলাম এমন নয়, কিন্তু যদি ধরিয়াই লই সাধুবাবাজী তাত্মিক-শক্তির সাহায্যেই আমার রুমালে গন্ধের স্বষ্টি করিয়াছেন, তবুও এত কষ্ট করিয়া তন্ত্রসাধনার ফল যদি দুই পয়সার আতর তৈরি করায় দাড়ায়, সে সাধনার আমি কোন মূল্য দিই না। আতর তো বাজারেও কিনিতে পাওয়া যায়। ফিরিবার সময় তারানাথ বলিল—না, লোকটা নিম্নশ্রেণীর তন্ত্রসাধনা করেছে, তারই ফলে দু-একটা সামান্ত শক্তি পেয়েছে। তাই বা পায় কি করিয়া ? বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃত্রিম আতর প্রস্তুত করিতেও তো অনেক তোড়জোড়ের দরকার হয়, মুহূর্তের মধ্যে একজন লোক দূর হইতে আমার রুমালে যে বেলফুলের গন্ধ চালনা করিল—তাহার পিছনেও তো একটা প্রকাও বৈজ্ঞনিক অসম্ভাব্যতা #f##fts, contact at a distance-4# Gifềi >#*tồf# s# Røỹ sFạtsal I sfữ fi হিপনটিজম, সাধুর ইচ্ছাশক্তি আমার উপর ততক্ষণ কাৰ্যকরী হইতে পারে, যতক্ষণ আমি তাহার নিকট আছি। তাহার সান্নিধ্য হইতে দুরেও আমার উপর যে হিপনটিজমের প্রভাব অক্ষুন্ন রহিয়াছে, সে প্রভাবের মূলে কি আছে, সেও তো আর এক গুরুতর সমস্ত হইয়া দাড়ায় । তারানাথের সঙ্গে তাহার বাড়ীতে গিয়া বসিলাম। তারানাথ বলিল—তুমি এই দেখেই দেখছি আশ্চৰ্য্য হয়ে পড়লে, তবুও তো সত্যিকার তান্ত্ৰিক দেখ নি। নিয়শ্রেণীর তন্ত্র এক ধরনের জাদু, যাকে তোমরা বলে ব্ল্যাকম্যাজিক। এক সময়ে আমিও ও-জিনিসের চর্চা যে