পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প اليا في মধ্যে বাড়ীর ভিতর ঢাকিতে না পারিয়া প্রথমটা সে খিড়কির বাহিরে আকুলিবিকুলি করিতে লাগিল, গাঙ্গালী-বাড়ীর প্রৌঢ় গাঙ্গালী মহাশয়ও যখন হক হাতে-কি হে রামতন, বলি ব্যাপারখানা কি শনি-বলিয়া বাড়ীর মধ্যের উঠানে আসিয়া হাজির হইলেন, তখন সে আর থাকিতে না পারিয়া বাড়ীর মধ্যে ঢকিয়া পড়িল এবং সশীলার হাত ধবিয়া খিড়কি-দোর দিয়া বাহিরে লইয়া গিয়াই হঠাৎ ফাঁপাইয়া কাঁদিয়া উঠিয়া বলিল--কেন ও-রকম করতে গেলে দিদিমণি, লক্ষীটি তখন যে বারণ করলাম ? তার পরদিন দপারবেলা সাশীলা রান্নাঘরে রাধিতেছিল। কিশোর খাইতে বসিয়াছে, মোক্ষদা ঠাকরােন কি প্রয়োজনে রান্নাঘরে ঢকিয়া দেখিলেন সশীলা পিছন ফিরিয়া ভাত বাড়িতে বাড়িতে স্বামীর ডালের বাটিতে বি গলিতেছে, পাশে একটা ছোট বাটি । মোক্ষদার কি রকম সন্দেহ হইল, তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন—বউমা, তোমার বাটিতে কি ? কি মেশােচ্ছ ডালের বাটিতে ? সশীলা পিছন ফিরিয়াই শাশাড়ীকে দেখিয়া যেন কেমন হইয়া গেল তাহার চোখমখের ভাব দেখিয়া মোক্ষদার সন্দেহ আরও বাড়িল—তিনি বাটি হাতে তুলিয়া লইয়া দেখিলেন তাহাতে সবজি মত কি একটা বাটা । তিনি কড়াসরে জিজ্ঞাসা করিলেন-কি বেটেছ এতে ? তিনি দেখিলেন পত্ৰবধ উত্তর দিতে পারিতেছে না, তাহার মািখ লাল হইয়া উঠিয়াছে। ইহার পর একটা ভয়ানক কান্ড ঘটিল । মোক্ষদা ঠাকরণ বাটি হাতেকি সৰ্ব্বনাশ ! আর একটা হলেই হয়েছিল গো-বলিয়া উঠানে আসিয় চীৎকার করিয়া হাট বাধাইলেন । কিশোরী দালান হইতে উঠিয়া আসিল, রামতন আসিলেন, গাঙ্গালীবাড়ীর মেয়ে-পরবষ আসিল, আরও অনেকে আসিল । মোক্ষদা সকলের সামনে সেই বাটিটা দেখাইয়া বলিতে লাগিলেন-দ্যাখে তোমরা সকলে, তোমরা ভাব শাশাড়ী মাগী বড় দলটি-নিজের চোখে দেখে নাও ব্যাপার, কি সব্বনাশ হযে যেত এখনি, যদি আমি না দেখতাম-দোহাই বাবা তারকনাথ, কি ঠেকানোই আজি ঠেকিয়েছে - এক-উঠান লোক-সকলেই শানিল রামতনার দািরণত পত্রিবধ স্বামীর ভাতে বিষ না কি মিশাইয়া খাওয়াইতে গিয়া ধরা পড়িয়াছে। কেউ অবাব হইয়া গেল, কেউ মচিকি হাসিয়া বলিল-ও-সব আমরা অনেককাল জানি আমরা রীতি দেখলেই মানষ চিনি, তবে পাড়ার মধ্যে ব'লে এতদিন • • কে একজন বলিল-কি জিনিসটা কি তা দেখা হয়েছে ? মোক্ষদা ঠাকরণের গাল-বাদ্যের রবে সে কথা চাপা পড়িয়া গেল । গাঙ্গলী মহাশয় রামতনকে বলিলেন-গর রক্ষা করেছেন ! এখন যন্ত শীগগির বিদেয় করতে পার তার চেষ্টা করো, শাস্ত্রে বলে, দলটিা ভাষ্যে আর একদিনও এখানে রেখো না ।