পাতা:বিলাপ - অমৃতলাল বসু.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
বিলাপ !

তুলেছেন, তাদের ব্যামো হলে চিকিৎসা, তাদের ছেলেদের জন্য পাঠশালা, কিছুতেই যত্ন কত্তে, অর্থব্যয় কত্তে ক্রটি করেন নি। এই সাঁওতালরা তাঁর নাম শুনলে নাচে কাঁদে হাসে, তাঁরে বাবা বলে ডাকে।

দয়া।  আহা, পরের দুঃখ মাথায় করে
 কজন এমন এ সংসারে?
 মরেও সে জন হয় অমর |
 হ্যাঁ, কি হল বল তার পর?

 ব্রাহ্মণ। পৌত্রটাকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাছে এসে সব কথা খুলে বল্লেম, শুনে ব্রাহ্মণের দুই চক্ষু দিয়ে জলধারা পড়তে লাগল। শ্রীধরকে আমার কোলে তুলে নিয়ে বললেন, “ঠাকুর, ছেলেটী আমায় দিন, আমি একে আমার কাছে রেথে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে দেব, এর কোন ভাবনা আপনাকে ভাবতে হবে না, আপনি মধ্যে মধ্যে এসে দেখে যাবেন, তার যাতায়াতের খরচ পর্য্যন্ত আমার কাছ থেকে পাবেন। সে সময় এর বাপের পীড়া কিছু বৃদ্ধি পেয়েছিল, বিশেষ ব্রাহ্মণীকে আর বৌমাকে বোঝাতে না পারায় সঙ্গে দিতে পারিনি। এখন সকলকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁর কাছে রেখে আসতে যাচ্ছি, দশ দিন চখের আড়ালে থেকে যদি মানুষ হয়, ভবিষ্যতে ওর ভাল হয়, মিছা মায়া করে সে কার্য্যে বাধা দেওয়া আমাদের পক্ষে ন্যায়সঙ্গত নয়, বিশেষ সে মহাপুরুষকে দেখে মার কথা শুনে আমার তার প্রতি বড়ই শ্রদ্ধা বিশ্বাস হয়েছে।
দয়া।   হ্যাঁ বাছা নিয়ে ঘাচ্ছ যার কাছে,

 সংসারে তেমন কজন আছে?