লগ্ন [ s७१ ] o লগ্ন করিয়া অগ্রসর হইয়া মালাস্তে রাশির সীমাস্তুপ্রদেশে উপনীত হয়। এইরূপে সমস্ত রাশিট রবিকর্তৃক ভূক্ত হইয়া থাকে, স্বর্যের পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে প্রত্যহ রাশির কিছু কিছু করিয়া অগ্রসর হইতে যে পরিমিতকাল অতিবাহিত হয়, তাহাকে স্বর্ঘ্যের দৈনিক রবিভূক্তি কহে। উদয়-লয়ের রবিভূক্তিকে উদয়রবিভুক্তি এবং অস্তলগ্নের রবিভুক্তিকে অস্ত-রবিভুক্তি বলা হয় । লগ্নমানকে মাসের দিন-সংখ্যাম্বারা হরণ করিলে লন্ধ ভাগফলই দৈনিক রবিভুক্তি হইবে। অন্ত উপায় দ্বারাও রবিভূক্তি জানা যায়, কিন্তু এই উপায় দ্বারাই সুন্নরূপে রবিভূক্তি স্থির হইয়া থাকে। “লগ্নদওপলং দ্বিয়ং তৎসংখ্যা ক্ৰমত পলম্। বিপলঞ্চ রবের্ভোগ্যমেবং কল্পনমস্তভে ॥” ( দীপিকা ) লগ্নমানের দণ্ডপলকে দ্বিগুণ করিয়া তাহার দওকে পল এবং পলকে বিপল করিলে দৈনিক রবিভুক্তি স্থির হইবে। যেমন মেষ লগ্নমান ৪। ৭ পল, ইহার দ্বিগুণ করিলে ৮। ১৪ পল হইবে, এস্থলে ৮ দগুকে পল করিলে ৮ পল ১৪ বিপল দৈনিক রবিভুক্তি হইবে, ইহা স্থির করিতে হইবে। এই যে নিয়ম বলা হইল, ইহা ৩• দিন মাস স্থলেই ঠিক সূক্ষ্ম হয়। মাসের কমিবেশীতে সময়েরও একটু তফাৎ হইয়া থাকে। রবিভুক্তি স্থির করিবার আরও একটী নিয়ম আছে। “লগ্নঞ্চ দ্বিগুণং কৃত্বা গণনীয়স্তথা দিনৈঃ । যষ্টিভাগেন দগুঞ্চ শেষঞ্চ পলমুচ্যতে ॥” ( জ্যোতিঃসারস ) যে মাসের যে লগ্নের যতদিনের রবিভুক্তি গণনা করিতে হইবে, সেই লগ্নফলকে দ্বিগুণ করিয়া গুণফলকে মাসের অতীত দিনসংখ্যাদ্ধারা পুনরায় গুণ করিয়া ৬০ দিয়া ভাগ করিবে, পরে ভাগফলকে দণ্ড ও ভাগাবশিষ্টকে পল মনে করিতে হইবে। এইরূপে প্রাপ্ত দণ্ডপল অভীষ্ট দিনের রবিভুক্তি হইবে। এইরূপে রবিভুক্তি স্থির করিয়া দ্বিধাভাগে জন্মগ্রহণ করিলে বা প্রশ্ন হইলে উদয় লগ্নের রবিভুক্তি জানিতে হয় এবং রাত্রিকালে জন্ম বা প্রশ্ন হইলে অস্তলগ্নের রবিভুক্তি জানা আবখ্যক । এইরূপে নির্দিষ্টদিনের উদয় বা অস্ত লয়ের রবিভূক্তি বাদে লগ্নের অবশিষ্ট্ৰভোগ্য অংশ যাহা থাকিবে, তাহার সহিত পর পর লগ্নের মান ক্রমান্বয়ে যোগ করিবে, যখন দেখা যাইবে যে ইঃ দণ্ডপলাদি সমষ্টীকৃত লগ্নমানের মধ্যে শেষ লয়ের দণ্ডপলাদির মধ্যে অস্তুর্নিহিত হইয়াছে, এবং শেষ লগের পূৰ্ব্বে লগের দণ্ডপলাদিকে অতিক্রম করিয়াছে, তখন জানিবেন যে, উক্ত শেষ লগ্নটাই ইষ্টদণ্ডের উদিত লগ্ন অর্থাৎ উক্ত লম্বেই জন্ম বা প্রশ্ন হইয়াছে, বুঝিতে হইবে। একটা উদাহরণ দিলে ইহা উত্তমরূপে পরিস্ফুট হইবে। XVII vවද ১২৯৯ সালের ২২শে জ্যৈষ্ঠ রাত্রি ৯ ঘটিকায় একটী শিশুর জন্ম হইয়াছে, ঐ শিশুর কোন লগ্ন হুইবে, ইহা স্থির করিতে হইলে প্রথমে রবিভুক্তি স্থির করিতে হইবে। জ্যৈষ্ঠ মাসে বৃষরাশিতে স্বৰ্য্য উদয় এবং বৃশ্চিক রাশিতে অস্তমিত হইয়াছেন। এই শিশুর রাত্রিকালে জন্ম হওয়ায় অস্তলগ্ন হইতে ধরিতে . হইবে। দিবাভাবে জন্ম হইলে দিবালগ্ন এবং রাত্ৰিতে অস্তলগ্ন 像 ধরিতে হয় ইহা পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে। বৃশ্চিক লগ্নের মান ৫ । ৪০ • বিপল, ঐ সালের জ্যৈষ্ঠ মাস ৩২ দিনে শেষ হইয়াছে, সুতরাং উক্ত লগ্নমানকে ৩২ দিয়া ভাগ করিলে প্রত্যেক দিনের রবিভুক্তি প্রাপ্ত হওয়া যাইবে । এক মাসের দিনসংখ্যা যত হইয়াছে, সেই সংখ্যা দ্বারা উত্ত,দৈনিক রবিভূক্তিকে গুণ করিলে সেই দিনের রবিভুক্তি পাওয়া যায়। এই স্থলে দৈনিক রবিভুক্তি বাদ দিয়া নিম্নোক্ত প্রকারে লগ্নমান স্থির করা যাইতে পারে। যথা— দৈনিক রবিভুক্তি • । ১• ।। ৩৮৫ বিপল। x দৈনিক রবিভুক্তি ২২ জন্ম তারিখ = ৩। ৫৪ । ৫৮ ৷৷ ৪৫ অমুপল । ঐ দিন ইংরাজী ৬। ৩৭ মিনিট গতে স্বৰ্য্য—অস্ত গিয়াছেন, অতএব রাত্রি ৯ টার সময় জন্ম হইলে ২ । ২৩ মিনিট রাত্রির সময় জন্ম হইয়াছে, স্থির করিতে হইবে। এবং ইহাকে দণ্ডপলাদিতে পরিশত করিলে ৫ । ৫৭ ৷৷ ৩৯ বিপল হইবে। সুতরাং ঐ সময় রাত্রি জাত দণ্ডপলাদি হইবে। পূৰ্ব্বোক্ত নিয়মানুসারে বৃশ্চিক লগ্নমান ৫ ৪• । ২০ হটতে উক্ত ২২শে জ্যৈষ্ঠ তারিখের রবিভুক্ত ৩। ৫৪ । ৫৮ ৷৪৫ বাদ দিলে ১ । ৪৫ । ২১ । ১৫ বৃশ্চিক লগ্নের অবশিষ্ট ভোগ্যমান থাকিবে, তাহার সহিত পর পর লগ্নমান যোগ করিতে হইবে । এইরূপে যোগ করতে করিতে যখন দেখিতে পাওয়া যাইবে যে, সমষ্টীকৃত লগ্নমানের মধ্যে যে রাশিতে জাত দণ্ড পতিত হইয়াছে, তখন সেই রাশিতে লগ্ন হইয়াছে স্থির করিতে হইবে। যদি বৃশ্চিক লগ্নের অবশিষ্ট ভোগ্যমানের মধ্যে জাত দণ্ডের সময় পতিত হইত, তাহ হইলে ইহার পরবর্তী লগ্নমান আর যোগ रुद्भिरङ झ्हेंtब नl । এ স্থলে বৃশ্চিকভোগ্য লগ্নমান—১ । ৪৫ । ২১ । ১৫, . ধস্থলীমান— L১11২, L-Y সমষ্টি--৭ । ২ । ৪১' । ১৫ পূৰ্ব্বে • •৭। ৩. বিপল জাতদও নির্ণীত হইয়াচে। বৃশ্চিকভোগ্য ল্যমান অতিক্রম করিয়া ধন্থ লামানের মধ্যবৰ্ত্তি
