পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w লবণা [ :ve ) লবণস্তিক, “লবণধেমুং বক্ষ্যামি তাং নিবোধ মহীপতে । ( মেদিনী) ও মহাজ্যোতিষ্মতী । ( রাজনি• ) ৪ চুক্ৰিক । অমুলিপ্তে মহীপৃষ্ঠে কৃষ্ণজিনকুশোত্তরে ॥ ৫ চাঙ্গেরী, আমরুল। ৬ লবণশাক । ধেমুং লবণময়ীং কৃত্বা ষোড়শপ্রস্থসংযুতাম্। বৎসং চতুর্তী রাজেন্দ্ৰ ইকুপাদাংশ্চ কারয়েৎ ॥ সোঁবর্ণমুখপৃঙ্গাণি ক্ষুরা রৌপ্যময়াস্তথা । মুখং গুড়মরং তস্যা দস্তা: ফলময়া নৃপ ॥ জিহাং শর্করয় রাজন হ্রাণং গন্ধময়স্তথা। নেত্রে রত্নময়ে কুৰ্য্যাৎ কর্ণে পত্রময়ে তথা । ঐখওং শৃঙ্গকোঁটোঁচ নবনীতময়া; স্তনাঃ। , সূত্রপুচ্ছাং তাম্রপৃষ্ঠাং দর্ভরোমাং পয়স্বিনীম্। কাংস্যোপদোহাং রাজেন্দ্ৰ ঘণ্টাভরণভূষিতাম্। সুগন্ধপুষ্পৰূপেশ্চ পুজয়িত্ব বিধানতঃ। আচ্ছাস্ত বস্ত্রযুগেন ব্রাহ্মণায় নিবেদয়েৎ I” ইত্যাদি। (বরাহপু• শ্বেতোপাখ্যানে লবণধেমুমা” ) লবণপত্তন, চট্টলের অন্তর্গত একটা নগর (ভবিষ্যব্রহ্মখ ১৫২৪) লবণপাটলিক, লবণপালালিকা (স্ত্রী) লবণের থলী। লবণপুর (রা) নগরভেদ। লবণভেদ ( পুং ) লবণক্ষার, লোণার ক্ষার। ( বৈদ্ধকনি” ) লবণমদ (পুং ) লবণন্ত মদ: লোণার ক্ষার। ( রাজনি" ) লবণমন্ত্র (পুং) লবণ উৎসর্গকালীন মন্ত্রবিশ্যে। লবণমেহ (পুং ) মেহরোগবিশেষ। এই মেহরোগে রোগীর লবণতুল্য প্রস্রাব হয়। (সুশ্রুত নি’ ও অs ) লবণযন্ত্র ( ক্লী) ঔষধপাকের জন্ত লবণপূর্ণ যন্ত্রবিশেষ। “উৰ্দ্ধং তজ্জলহীনং চেং যন্ত্ৰং ডমরুকাদ্বয়ম্। তদ্ব্যত্বং লবণৈ: পূর্ণ লবণাথমির্তরিতম্ " (বৈদ্যক ) ডমরুকাদ্বয় উদ্ধদেশে জলহীন করিয়া উহ। লবণদ্বারা পূর্ণ করিলে এই যন্ত্র হইবে। লবণবধ, কুশদ্বীপের অন্তর্গত বর্ষভেদ। (লিঙ্গপু ৪৬৩৬) লবণবারি (ত্রি) লবণজল, লবণসমূদ্র। লবণব্যাপং ( স্ত্রী) অশ্বের অত্যন্ত লবণভক্ষণজনিত পীড়া বিশেষ । “প্রভূতং লবণং যস্য ভোজনে বাজিনো ভবেৎ। কেবলং বাততশ্চাস্য ব্যাপৎ সুমহতী ভবেৎ ॥” (জয়দ০ ৬" অs) অশ্ব সকল যদি প্রভূত লবণ ভক্ষণ করে, তাহা হইলে বায়ু কুপিত হইয় তাহার সুমহতী পীড়া হইয়া থাকে, এই পীড়াকে লবণব্যাপং কহে । লবণসমুদ্র (পুং ) লবণসাগর। (ত্রিকা-) লবণস্থান (স্ত্রী) জনপদভেদ। লবণ (স্ত্রী) শুনাতি যা-লুলু-টাপ । ১ নদীভেদ। ২ দীপ্তি। লবণাকর (পুং) লবণস্য আকর। লবণের খনি, যে স্থান ইতে লবণের উৎপত্তি হয়। , লবণাখ্য, চট্টগ্রামের অন্তর্গত একটী লাবণ-প্রশ্ৰবণ। লবণাচল (পুং ) লবণনিৰ্ম্মিতঃ অচলঃ । দামার্থ লবণাদিনিশ্বিত পৰ্ব্বত। লবণের পর্বত প্রস্তুত করিয়া দান করিত্তে হয়, তাহাকে লবণাচল কহে। মৎস্যপুরাণে এই পৰ্ব্বতদানের বিধান আছে । “অৰ্থাত: সংপ্রবক্ষ্যামি লবণাচলমুত্তমম্। যৎপ্রদাতা নরো লোকং প্রাপ্নোতি শিবসংযুতম্।” ইত্যাদি । ( মৎস্যপু• ৭৭ অ• ) ষোড়শ দ্রোণ পরিমাণ লবণ লইয়া তাহার পর্বত করিতে হইবে, অর্থাৎ পৰ্ব্বতাকারে স্থাপিত করিতে হইৰে, এই পরিমাণ লবণে প্রস্তুত করিলে তাহা উত্তম, যদি কেহ ইহাতে সমর্থনা হয়, তাহা হইলে তদদ্ধ পরিমাণ দ্বারা করিলে মধ্যম, ইহাতেও অশক্ত হইলে তাহার অৰ্দ্ধপরিমাণ দ্বারা অধম পৰ্ব্বত প্রস্তুত করিবে, কিন্তু বিস্তুহীন ব্যক্তি দ্রোণ পরিমাণের উদ্ধ যথাশক্তি তাহার দ্বারা এই পৰ্ব্বত করিতে পরিবে । যে পরিমাণে পর্বত প্রস্তুত হইবে, তাহার চতুর্থভাগের দ্বারা বিষ্কন্তু পৰ্ব্বত করিতে হইবে । পৰ্ব্বতদানের বিধানানুসারে সুবর্ণাদি দ্বারা ব্ৰহ্মাদি ও লোকপালাদি নিৰ্ম্মাণ করির যথাবিধানে তাহাদের পূজা করিয়া দান করিতে হইবে। দানের সময় এই মন্ত্র পাঠ করিতে হয়। মন্ত্র যথা— “সৌভাগ্যরসসস্তুতো যতোহয়ং লবণে রসঃ । তদাত্মকত্বেন চ মাং পাহি পাপাল্লাগাত্তম ॥ যস্মাদল্লরসাঃ সৰ্ব্বে নোৎকট লবণং বিনা । প্রিয়ঞ্চ শিবয়োন্নিত্যং তস্মাৎ শান্তিপ্রদে ভৰ । বিষ্ণুদেহসমুদ্ভুতং যম্মাদারোগ্যবৰ্দ্ধনম্। তস্মাৎ পৰ্ব্বতরূপেণ পাহি সংসারসাগরাৎ "মৎস্তপু’৭৭ অ') এই মন্ত্রে ব্রাহ্মণকে দান করিৰে । এই পৰ্ব্বত দান করিয়া দক্ষিণদান ও ব্রাহ্মণভোজনাদি করাইতে হয় । এইরূপ বিধি অনুসারে যিনি লবণপৰ্ব্বত দান করেন, তিনি ইহলোকে বিবিধ সুখসৌভাগ্য ভোগ করিয়া উমালোকে কল্পকাল বাস করেন, তৎপরে মুক্তিলাভ করিয়া থাকেন। ( মৎস্তপু ৭৭ অ” ) লবণাদ্যমোদক, লবণযোগে গ্রন্থত মোদকোষধবিশেষ। ইহা উদরাময় ও অগ্নিমাঙ্গারোগে হিতকর । (চিকিৎসাসায় ) লবণাস্তুক (পুং ) লবণস্ত অস্তকঃ । শত্রুগ্ন, ইনি লবণাসুরকে ৰধ করিয়াছিলেন । ( রঘু ১৫।৪• )