পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাখ নে।

  • [ २०० ]

লাখনৌ চাওঁীবালী, বারদ্বারী এবং খাস মুকাম বা বাদশাহ মঞ্জিল। এই বারদ্বারীর মেজে একসময়ে রৌপ্যমণ্ডিত ছিল । বাদশাহমঞ্জিল সয়াদং আলী খার প্রতিষ্ঠিত হইলেও ওয়াজিদ আলী শাহ তাহ আপনার নবপ্রাসাদচিত্রের অন্তর্ভুক্ত করিয়া লন। বামড়াগে আর কতকগুলি অট্টালিকা আছে, তন্মধ্যে রাজক্ষেীরকার আজিম উল্লা খার চাদলক্ষ্মী নামক বাসভবন উল্লেখযোগ্য । নবাব ওয়াজিদ আলী ৪ লক্ষ টাকা মূল্যে উহ ক্রয় করেন। এই অট্টালিকায় প্রধানাবেগম ও রাজমহিষীরা বাস করিতেন । সিপাহীবিদ্রোহের সময় এই প্রাসাদে থাকিয় তাহার একজন বেগম বিদ্রোহিদলের সাহায্যার্থ দরবারের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন। ইহায়ই পাশ্বস্থ আস্তাবলে ইংরাজবন্দী রক্ষিত হইয়াছিল। ইহার পাশ্বস্থ রাস্তার ধারে মৰ্ম্মর প্রস্তরে ধান একটী বৃক্ষতলে মেলার দিন নবাব ফকিরের ন্যায় হরিদ্রারঞ্জিত পরিচ্ছদে অবস্থান করিতেন । পূৰ্ব্বদিকের লাখীদ্বার লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। উহ! অতিক্রম করিয়া আসিলে কৈসরবাগের প্রকৃত উষ্ঠানপ্রাঙ্গণ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার চারিদিকে রাজাস্ত:পুরকামিনীগণের প্রাসাদ । এই প্রাসাদ-প্রাঙ্গণে প্রতিবৎসর ভাদ্র মাসে একটী মেলা হয়, তাহাতে লাগ নেবাসী সকলেই সমবেত হইয়া থাকে । ইহার পর প্রস্তরনিৰ্ম্মিত বারদ্বারী, উহা এক্ষণে রঙ্গমঞ্চে পর্য্যবসিত হইয়াছে। পশ্চিমের লাগীদ্বার অতিক্রম করিলে “কৈসর-পসন্দ” নামক প্রসিদ্ধ প্রাসদ । উহ! নাসির উদ্দীন হাইদারের মন্ত্রী রোশন উদ্দৌলা কর্তৃক বিনিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । উহার উপরিভাগ অৰ্দ্ধগোলাকার স্বর্ণময় আবরণে আচ্ছাদিত। নবাব ওয়াজিদ আলীশাই উহা হস্তগত করিয়া স্বীয় প্রিয়তম মহিষী মমুক্‌-উষ-মুলতানাকে বাসার্থ দান করেন, তৎপশ্চাৎ আর একটী জিলোঁখানা অতিক্রম করিলে পুনরায় রাজপথে সমুপস্থিত হওয়া যায়। লাগ নীে ইংরাজ অধিকারে আসিবার পর, এখানকার স্থাপত্যশিল্পের গৌরবজ্ঞাপক আর কোনরূপ অট্টালিকাই নিৰ্ম্মিত হয় নাই । ক একটী দাতব্য চিকিৎসালয়, বিদ্যালয় ও রাজকাৰ্য্যালয় মাত্র নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বলরামপুরের মহারাজ সন্ন দিগ্বিজয়সিংহ কে সি এস আই রেসিডেন্সীর পাশ্বে একটা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। উপরোক্ত ইমামবাড়াদ্বয়, ছত্রমঞ্জিল, কৈসরবাগ ও অযোধ্যার রাজবংশধরগণের অন্যান্ত প্রাসাদ ব্যতীত এখানে সয়াদৎ আলী খ, মুসিদ্‌জাদি, মহম্মদ আলী শাহ ও গাজি উদ্দীন হাইদারের সমাধিমন্দির স্থাপত্যশিল্পের পরাকাষ্ঠা লাভ করিয়াছে। এতদ্ধির অনেকগুলি উষ্ঠানবাটিকা, হাওয়াখানা, দেবমন্দির, উহার | মসজিদ ও ধনাঢ্য নগরবাসীদিগের বাসভবনও স্থাপত্যশিল্পে পরিপূর্ণ। খৃষ্টীয় ১৮শ শতাদের ঘৃণিত স্থাপত্যরুচি ইংলও হইতে দূরীকৃত হইলে ভারতে আসিয়া প্রবেশ লাভ করে এবং তাহারই কদৰ্য্য প্রতিকৃতিসমূহ ভোগবিলাসলোলুপ মুসলমানরাজগণের পদাশ্রয়ে পরিবৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধিৎসু ফাগুসন এই নগরের স্থাপত্যশিল্পের উল্লেখ করিয়াছেন ;– "No caricatures are so iudicrous or so bad as those iu which Itulian detwil aro iu troduced.” ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে ৭ই ফেব্রুয়ারি ইংরাজরাজ অযোধ্যাপ্রদেশ ইংরাজসাম্রাজ্যভুক্ত করিয়া লাখনেীর রাজা ওয়াজিদ আলী শহকে কলিকাতায় আনিয়া গঙ্গাতীরবর্তী মুচীখোলা নামক স্থানে নজরবন্দিরূপে রাখিয়া দেন । উক্ত বাসভবনেই খৃষ্টীয় ১৯শ শতাদের শেষ ভাগে লাখনেীর শেষ নবাবের প্রাণবায়ু বহির্গত হয়। সিপাহীবিধে{হ । মিরাট নগরে সিপাহীবিদ্রোহবহি প্ৰজলিত হইবার মাসদ্বয় পরে, ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের ২রা মার্চ সৰ্বহেনরী লরেন্স নবাধিকৃত অযোধ্য প্রদেশের চিফ কমিশনায় নিযুক্ত হন। সেই সময়ে লাখনে দুর্গে ৩২ সংখ্যক ইংরাজ সেনাদল, একদল য়ুরোপীয় কামানবাহী সৈন্ত, ৭ম সংখ্যক দেশীয় অশ্বারোহী সেনাদল এবং ১৩শ, ৪৮শ ও ৭১ সংখ্যক দেশীয় পদাতি সেনাদল এবং নগর সন্নিকটে দুইদল স্থানীয় ইরেগুলার পদাতিক, একদল সামরিক পুলিশ সেনা, দুইদল দেশীয় কামানবাহী ও একদল অযোধ্যার ইরেগুলার পদাতিক অবস্থান করিতেছিল। মোট কথায় তৎকালে তথায় ৭৫০ জন ইংরাজ ও প্রায় ৭০ ০০ ভারতীয় সেনা ছিল। এপ্রিল মাসের প্রারম্ভেই দেশীয় সিপাহীদিগের মধ্যে বিদ্বেষভাব পরিলক্ষিত হয়। ঐ সময়ে জাতিনাশের অপরাধের প্রতিশোধ স্বরূপ সিপাহীগণ ৪৮ সংখ্যক পদাতিক দলের সার্জনের গৃহ জালাইয়া দেয় । সর্ হেনরী লরেন্স উপস্থিত বিপদের আশঙ্কা করিয়া রেসিডেন্সী সুরক্ষিত করিবার ও খাদ্যাদি সংগ্রহের ব্যবস্থা করিয়া লইলেন। ৩০শে এপ্রিল তারিখে ৭ম সংখ্যক অযোধ্যার ইরেগুলার সেনাদল গো-বসা মিশ্রিত জানিয়া কাটিজ, কাটিতে অস্বীকার করিল। তথাপি নানা প্ররোচনায় তাহাদিগকে পুনরায় লাইনে আনিয়া রীতিমত সেনামাজ্ঞাপালনে বাধ্য করা হইল। ৩রা মে তারিথে হেনরি লরেন্স বিদ্রোহী সেনাদলকে অস্ত্রচু্যত করিতে সম্বর করিয়া অচিরে অস্ত্রশস্ত্র কাড়িয়া লইতে আদেশ প্রচার করিলেন। তদণ্ডেই সেই আদেশমত কাৰ্য্য হইল । ১২ই মে তারিখে সর্ হেনরী লরেন্স একটী দরবার করিয়া