পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিঙ্গপরামর্শ [ २१> ] লিঙ্গবদ্ধ দোষ তৃতীয় বা চতুর্থ পটল প্রাপ্ত হইলে এই রোগ উপস্থিত হয় । মুশ্রুতে এই রোগ সম্বন্ধে এইরূপ পরিচয় পাওয়া যায়-দৃষ্টিবিশারদ পণ্ডিতেরা বলেন যে, মানবের দৃষ্টি পঞ্চভূতের গুণ হইতে সমুদ্ভূত, বাহপটল অব্যয় তেজ কর্তৃক আবৃত, শীতলপ্রকৃতিবিশিষ্ট এবং খন্ধোতের বিস্ফুলিঙ্গয়ে নিৰ্ম্মিত মহুরদলপরিমাণে বিবরাকৃতি দোষ সকল বিগুণ হইয়া শিরাসমূহের অভ্যন্তরে গমনপূৰ্ব্বক দৃষ্টিশক্তির হ্রাস করিয়া থাকে। দোষ চতুর্থ পটলে অবস্থিতি করিলে তিমিররোগ হয়। ইহাতে এককালে ,দর্শনশক্তির রোধ হইলে লিঙ্গনাশ কহে। এই রোগ অতিগভীর না হইলে চন্দ্র, স্বৰ্য্য, বিদ্যুৎ ও নক্ষত্রবিশিষ্ট আকাশ দেখিতে পাওয়া যায় এবং নিৰ্ম্মলতেজ ও জ্যোতিঃপদার্থ দৃষ্টিগোচর হয়। লিঙ্গনাশরোগের এই অবস্থাকে নীলিকাকাচ কহে । এই লিঙ্গনাশরোগ বাতাদি দোষে দুষ্ট হইয়া নানাবিধ হইয়া থাকে। লিঙ্গনাশরোগ বায়ুকর্তৃক জন্মিলে সকল পদার্থ অরুণ বর্ণ, সচল ও আধিল দেখায়। পিস্তু কর্তৃক হইলে আদিত্য, খদ্যোত, ইন্দ্ৰধনু, তড়িৎ ও ময়ূরপুচ্ছের স্থায় বিচিত্র নীল অথবা কৃষ্ণবর্ণ দৃষ্ট হয়, অথবা সমস্ত জলপ্লাবিতের ষ্ঠায় দেখায়। রক্ত কর্তৃক জন্মিলে সমস্ত রক্তবর্ণ ও অন্ধকারময় দেখায়। কফজন্ত এই রোগ জন্মিলে—সমস্তই শ্বেতবর্ণ ও স্নিগ্ধ দেখায়। সন্নিপাত কর্তৃক হইলে সকল পদার্থ হরিত, কৃষ্ণ, ধুম প্রভৃতি বিচিত্রবর্ণবিশিষ্ট ও বিদ্যুতের স্থায় বোধ হয়। সকল পদার্থই দ্বিধ বা বহুধা দৃষ্ট হয়, অথবা হ্রস্ব, দীর্ঘ, বা জ্যোতিঃস্বরূপ দৃষ্ট হইয়া থাকে । লিঙ্গনাশরোগে ছয় প্রকার বর্ণ হইয়া থাকে। বায়ুজরোগে দৃষ্টমণ্ডল রক্তবর্ণ, পিত্ত কর্তৃক পরিমায়িরোগ বা নীলবর্ণ, শ্লেষ্মকর্তৃক শ্বেতবর্ণ, শোণিত কর্তৃক রক্তবর্ণ এবং সন্নিপাত কর্তৃক বিচিত্রবর্ণ হয়। পরিমায়িরোগে দৃষ্টমণ্ডলে রক্ত জন্য অরুণবর্ণ মণ্ডলাকার স্থূলকাচ জন্মে, অথবা সমস্ত মণ্ডল ঈষৎনীলবর্ণ হয়। এই রোগে কখন কখন আপনা হইতে দোষ ক্ষয় হইয়া দৃষ্টিশক্তি প্রকাশ পায় । ( সুশ্রুত উত্তরত” নেত্ররোগাধি” ) { ইহার চিকিৎসাদির বিষয় নেত্ররোগশব্দে দেখ। ] ২ লিঙ্গস্ত নাশ: সুগ্মদেহের বিনাশ, মোক্ষ । “বহৃেৰ্যথা যোনিগতন্ত মূৰ্ত্তিন দৃশুতে নৈব চ লিঙ্গনাশ: " (শ্বেতাশ্বতর উপ ১।১৩) ‘লিঙ্গনাশ: স্বগদেহস্ত বিনাশ৷ ” (শঙ্কর ) ৩ ধ্বজভঙ্গ রোগ। শিশ্নোথানশক্তির রাহিত্য। ৪ পরিধৃত মৰ্য্যাদক চিহ্নাদির বিলয় । লিঙ্গপরামর্শ (পুং ) দ্যায়োক্ত লক্ষণাসিদ্ধ মীমাংসার প্রকার _ ভেদ। যেমন ধূমত্ব, ধূমচিহ্নই অগ্নির উদ্বোধক। ধুমচিহ্নের অনুমান দ্বারা অগ্নি প্রতিপাদিত হইয়াছে বলিয়া উহা লিঙ্গপরামর্শে সিদ্ধ হইয়াছে বুঝিতে হইবে। লিঙ্গ পীঠ (ক্লী) মন্দির মধ্যে যে চত্বরোপরি দেবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত থাকে, উহাকে গর্ভপীঠও বলা যায়। (রাজতরঙ্গিণী ২।১২৬) লিঙ্গপুরাণ (কী) মহর্ষি বেদবাসপ্রণীত একখানি পুরাণ গ্রন্থ। ইহার বিশেষ বিবরণ পুরাণ শব্দে লিখিত হইয়াছে। পুরাণ দেথ । ] লিঙ্গপ্রতিষ্ঠাবিধি (পুং ) শিবাদি লিঙ্গস্থাপনপদ্ধতি । লিঙ্গভট্ট, জনৈক অমরকোষটাকা-রচয়িত। লিঙ্গমাহাত্ম্য (ক্লী) দেবলিঙ্গের মহত্ব । পুরাণাদিতে তীর্থপ্রসঙ্গে তত্ত্বদন্থানের দেবলিঙ্গের মহিমা কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। স্কন্দপুরাণের অবস্তিখণ্ডে ইহার বিশেষ বিবরণ পাওয়া যায় । , লিঙ্গমূৰ্ত্তি (পুং ) লিঙ্গরূপা মূৰ্বর্যস্ত। শিব। লিঙ্গয়সূরি, অমরকোষপদবিবৃতিপ্রণেতা। পাধ্যায়ের পুত্র । লিঙ্গরোগ (পুং ) লিঙ্গন্ত রোগঃ । লিঙ্গের রোগ, উপদংশরোগ, চলিত গরমির পীড়া । “হস্তাভিঘাতাল্লখদন্তঘাতাদপাবনাদতুল্লাপসেবনদ্ধা । যোনি প্রদোষাচ ভবন্তি শিশ্নে পঞ্চোপদংশ বিবিধোপচারৈঃ ॥ (ভাবপ্র” উপদংশরোগধি ) লিঙ্গদেশে হস্ত, নখ বা দন্ত দ্বারা অভিঘাত হইলে, শিশ্নপ্রক্ষালন না করিয়া অপরিষ্কার রাখিলে, অতিরিক্ত স্ত্রীপ্রসঙ্গ করিলে, দুষিত যোনিতে উপগত হইলে এবং অষ্টান্ত নানাপ্রকাল অপচার দ্বারা শি দেশে বাতিক, শ্লৈয়িক, সারিপাতিক ও রক্তজ এই পচি প্রকার উপদংশ রোগ হয় । [উপদংশরোগ শব্দ দেখ ] লিঙ্গলেপ ( পুং ) রোগভেদ। লিঙ্গবং (ত্রি) ১ চিহ্নযুক্ত। ( ভাগ“ ৭২।১৪), লিঙ্গোপাসক বা শিবলিঙ্গধারী শৈব সম্প্রদায়ভেদ । অধিকসম্ভব এই লিঙ্গবং শব্দ হইতে দক্ষিণাত্যের লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের নামকরণ হইয়াছে। লিঙ্গবদ্ধ (পঃ । লিঙ্গং বন্ধতীতি বুধ-ণিচ-অৰ্চ, ১ কপিগবৃক্ষ। ( শব্দচ" ) ২ লিঙ্গপৃদ্ধিকরণ, লিঙ্গের বদ্ধন। গরুড় পুরাণে লিপিত আছে— “কটুতৈলং ভল্লাতকং বৃহতৗফলদাড়িমম্। বন্ধলৈ; সাধিতং লিপ্তং লিঙ্গং তেন বিবৰ্দ্ধতে ॥ অপিচ-- কুণ্ঠমাৰমরীচানি তগরং মধুপিপ্পলী । অপামার্গাশ্বগন্ধ চ বৃহতীসিতসর্যপাঃ ॥ যবাস্তিলং সৈন্ধবঞ্চ পাণিকোদ্বর্তনং শুভম্। বঙ্গলকাময় ভট্টো লিঙ্গবাহুস্তনানাঞ্চ কর্ণয়োঋদ্ধিক্কদভবেৎ।” (গরুড়পু ১৮.স)