বংফু { ৩৪৬ ] বংশ नमब्र क्डिोब्र, कडूर्शे ७ वर्छद्र वक्ष्वन्नन यहेक्र* श्ब्र থাকে। “পুষ্ণাতু বো নোহপি হরিধ নং বো। দদাতু নো হস্তুগুভানি বো ন: ॥” ( মুগ্ধবোধ )
- বৈয়াকরণগণ বলেন, পাদবাক্যাদিতে ইহার প্রয়োগ হয় না । ংফু (বন্ধু) ইক্ষুনদ । বর্তমানে Oxus নামে পরিচিত। ইহা মধ্য-এসিয়ার একটী সুবৃহৎ নদী। এই নদীর অধিকাংশ তাতার-রাজ্যে প্রবাহিত। পামীরের সমুচ্চ অধিত্যকায় (অক্ষা” ৩৭°২৭′ উঃ ও দ্রাঘি ৭৩"৪১' পূঃ) সরীকুল হইতে বাহির হইয়া তুর্কিস্তানকে পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম এই দুই অংশে বিভক্ত করিয়া বোখারার বিস্তীর্ণ প্রাস্তর ও তাতারের সুবিস্তৃত মরুস্থল ভেদ করিয়া ১৩• • মাইল গিয়া বহুধা বিভক্ত হইয়া আরল সাগরে মিলিত হইয়াছে। পুরাবিন্দ্রগণের বিশ্বাস যে, পূৰ্ব্বে এই নদী কাষ্পীয় সাগরে মিলিত ছিল, তৎপরে গতি পরিবর্তিত হইয়াছে।
অনেকের বিশ্বাস যে, এই অক্ষু ( Oxus ) বা বংফু নদীর কুলেই আধ্যজাতির নিবাস ছিল। এই সুপ্রাচীন নদী দিয়াই আৰ্য সভ্যতা সুদূর যুরোপখণ্ডে প্রসারিত হইয়াছে। পাশ্চাত্য প্রাচীন ঐতিহাসিক ষ্ট্রাবো,হেরোদোতাস প্রভৃতির বিবরণী হইতে জানা যায় যে, পূৰ্ব্বকালে এখানে শকজাতির আধিপত্য ছিল এবং এই নদী ইরাণ ও তুরাণ রাজ্যকে বিভক্ত করিয়া রাখিয়া ছিল। তুরাণের উত্তরাংশ মৎস্তপুরাণ ও মহাভারতে শাকদ্বীপ নামে প্রথিত হইয়াছে । [ শাকদ্বীপ দেখ ] মৎস্ত ও মহাভারতে শাকদ্বীপের সীমায় যে ইক্ষু নদীর উল্লেখ আছে, তাহাই বৰ্ত্তমান অক্ষু নদী। পুরাণ মতে বংফু নদী জম্বুদ্বীপে প্রবাহিত । পুরাণের অনুবন্তী হইলে মনে হইবে যে শাকদ্বীপের সীমায় যে অংশ প্রবাহিত, তাহা ইক্ষু এবং জন্থদ্বীপে যে অংশ আসিয়া পড়িয়াছে, তাহ বংফু নামে খ্যাত ছিল। এই নদীতীরে “বক্ষ” বা “বখম্” জাতির বাস থাকায় • ইহার বংফু নাম হইয়া থাকিবে । এখানে স্বৰ্য্য ও অগ্নি উপাসক শকগণের অভু্যদয়ের পর বিশেষ বৌদ্ধপ্রভাব ঘটিয়াছিল। খৃষ্টীয় ৭ম শতব্দে চীনপরিব্রাজক এই নদী তীরে বহুতর বৌদ্ধকীৰ্ত্তি ও অশোক স্তুপের নিদর্শন দেখিয়া গিয়াছিল। তিনিও এই নদীকে পোৎস্ব বা বক্ষু নামেই উল্লেখ করিয়াছেন। র্তাহার বর্ণনায় অনবতপ্ত (বৰ্ত্তমান সরীকুল) হ্রদের পূর্বাংশ হইতে গঙ্গা, দক্ষিণ হইতে সিন্ধু, পশ্চিম হইতে বক্ষু এবং উত্তরাংশ হইতে সীতা নদী বাহির হইয়াছে। চীনপরিব্রাজক এই স্থান দর্শন করিয়া যে বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন, তাহার সহিত বিষ্ণু ও স্থা ব • Wood's Journey to the Source of the Oxus, p. xxiii. মৎস্তপুরাণের বর্ণনার সম্পূর্ণ মিল আছে। চীনপরিব্রাজক যাহাকে “অনবতপ্ত" হ্রদ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন, তাহাই পুরাণে “বিন্দুসর” বলিয়া পরিচিত। [ বিন্দুসরঃ দেখ ] বংশ (পুং ) বমতি উগিরিত পুরুষান বন্ততে ইতি বা , টু বম উদিগরণে ইতি ধাতোর্যদ্বা বন শব্দে ইতি ধাতোবাহুলকাং শঃ । যদ্বা, বষ্ট উপ্ততে ইতি বা বশ কান্তেী অব ঘঞ বা ততো তুম্। ১ পুত্রপৌত্ৰাদি। পর্য্যায়-সন্ততি, গোত্র, জনন, কুল, অভিজন, অস্বয়, অম্ববায়, সস্তান, নিঘন, জাতি । ( জটাধর ) বিদ্যা ও জন্মদ্বারা একলক্ষণাক্রান্ত কুলপরম্পরাগত সন্তানই বংশ পদবাচ্য। ভিন্ন ভিন্ন টীকাকার এ বিষয়ে ঐন্ধপ অর্থই গ্রহণ করিয়াছেন,-“কুলঞ্চ বিদ্যয় জন্মনা বা প্রাণিনামেকলক্ষণঃ সন্তানো বংশ । (জয়াদিত্য ) সুভূতি বলিয়াছেন,—“ধনেন বিদ্যয় বা খ্যাতস্যাপত্যধারা বংশঃ ” অর্থাৎ ধন ও বিদ্যাগৌরবে প্রসিদ্ধ অপত্যধারার নামই বংশ। বমতি উদিগরতি পুৰ্ব্বপুরুষান বংশনামীতি শ: (অমরটাকায় ভরত ) “ক সুৰ্য্যপ্রভবো বংশ: ক চাল্পবিষয়া মতি: | তিতীৰ্ব্বস্তর মোহাছ পেনৰ্ম্মি সাগরম্ " (র ১২) ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাস আলোচনা করিলে জানা যায় যে, পূৰ্ব্বকাল হইতে এখানে অনেকগুলি লব্ধপ্রতিষ্ঠ ও বীৰ্য্যশালী রাজবংশের আধিপত্য বিস্তার ঘটিয়াছিল। ঐ সকল বিভিন্ন বংশীয় রাজসস্ততিপরম্পরা বিশেষ বিশেষ সময়ে স্থানবিশেষে অপ্রতিহত প্রভাবে রাজ্যশাসন করিয়া গিয়াছেন। পুরাণাদিতে পূখুবংশ, ভরতবংশ প্রভৃতি অনেকগুলি সুপ্রাচীন বংশের পরিচয় পাওয়া যায়। তন্মধ্যে স্থৰ্য্যবংশ ও চন্দ্রবংশ সৰ্ব্বপ্রধান। স্বৰ্য্যবংশে মহারাঞ্জ মান্ধাতা, দিলীপ, রঘু ও দশরথাত্মজ শ্রীরামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। রামচন্দ্র কর্তৃক রাবণবিজয় স্বৰ্য্যবংশের প্রসিদ্ধির কারণ। চন্দ্রবংশে বহুশত নৃপতি জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে ভারতীয় মহাযুদ্ধের নায়ক যুধিষ্ঠিরাদি পঞ্চপাণ্ডব হইতেই বংশের খ্যাতি বিস্তৃত হইয়াছি। [ স্বৰ্য্য ও চন্দ্রবংশ দেখ। ] এই চন্দ্রবংশের অন্ততম শাখা যদুবংশে ভগবদবতার শ্ৰীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ঐ বংশে দাক্ষিণাত্যের প্রসিদ্ধ যাদব রাজবংশ সমুদ্ভূত। [ যাদব রাজবংশ দেখ ] তুৰ্ব্বসুর বংশে (তুয়ার রাজবংশ ? ) উজ্জয়িনীপতি মহারাজ বিক্রমাদিত্য প্রাচুভূত হইয়াছিলেন । শকজাতির অভু্যদয়ে ভারতে শককুযণবংশীয় বৈদেশিক রাজবংশের অধিষ্ঠান হয়। ঐ বংশীয় রাজগণ ক্রমে হিন্দু ধৰ্ম্মাক্রান্ত হইয়া রাজপুত নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তদবধি রাজপুত সমাজে ৮৭ শাখায় ৰিষ্কৃত অগ্নিকুলের উৎপত্তি হয়। পরমার
