পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংশ [ ७8१ ] বংশ পরিহার, চেলুক্য ও চাহমান এই চারিট অগ্নিকুল। ইতিহাসে এই চারি বংশের প্রতিপত্তির যথেষ্ট পরিচয় আছে। খৃঃপূৰ্ব্বাবে জৈন ও বৌদ্ধ রাজবংশ ব্যতীত শিশুনাগবংশ, aমাবং, মৌর্য্যবংশ, যবনরাজবংশ, মিত্র, কাং ও অন্ধ বংশ প্রভৃতি বংশের খ্যাতি ভারত প্রসিদ্ধ। শকবংশের বিলয় ঘটলে ভারতে গুপ্তবংশের অভু্যদয় ঘটে। স্কন্দগুপ্তকে পরাভূত করিয়া তোরমাণ ভারতে হুণবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। মালবরাজ যশোবর্ধদেব হণবংশীয় মিহিরকুলকে বিধ্বস্ত করিয়া উজ্জয়িনী রাজবংশের গৌরববৃদ্ধি করিয়াছিলেন। তদনন্তর মগধ, বলভী, উজ্জয়িনী স্থাধীশ্বর, কনোজ প্রভৃতি জনপদে এক একট প্রবল পরাক্রান্ত রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। রাষ্ট্রকূট বা রাঠোর। বংশ, ভোজ ও চন্দেল্ল এবং কনোজের আয়ুধরাজবংশের প্রভাব কাহারও অবিদিত নাই। এতদ্ভিন্ন ভারতের নানাস্থানে বুন্দেল, জাট এবং নিজামশাহী, কুতবশাহী প্রভৃতি বিভিন্ন হিন্দু ও মুসলমানজাতি হইতে অনেকগুলি রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। উত্তরভারতীয় ঐসকল মহাপ্রভব আয়ুধ রাজবংশের সমকালে বাঙ্গালায় শুরুবংশের প্রভাব বিস্তৃত হয়। আদিশূরের ব্রাহ্মণানয়নবিবরণ বঙ্গবাসী মাত্রেরই জানা আছে । তাহার পর এখানে পাল ও সেনরাজবংশের অভু্যদয় হইয়াছিল। সেনবংশীয় নরপতি লক্ষ্মণসেনকে পরাজিত করিয়া মহম্মদ-ই-বস্তৃতিয়ার খিলিজি বাঙ্গালী জয় করেন । ভারতে মুসলমান সমাগম হইতে এখানে গজনী, ঘোরী, দাসবংশ, খিলিজিবংশ, তোগলকবংশ, সৈয়দ, লোদী, সুর ও মোগলবংশ রাজত্ব করেন । তদনন্তর ইংরাজরাজবংশের स्रङ्कामग्न शक्लिएझ् । ২ পুত্র । “নৃপস্ত বংশঃ মুমতি তজ্যোতিস্ততে বসু: ॥” ( ভাগ ৯২।১৭ ) বংশ (পুং) তৃণজাতিবিশেষ। চলিত কথায় বঁাশ বলে। ভূপৃষ্ঠস্থ বিভিন্ন স্থানীয় জলবায়ুর তারতম্যানুসারে বিভিন্ন প্রকার বঁাশ উৎপন্ন হইয়া থাকে। উদ্ভিদতত্ত্ববিদ বেন্থাম ও হুকার ২২ প্রকার বঁাশগাছের উল্লেখ করিয়াছেন, তন্মধ্যে ভারত ও মলয়-প্রায়োদ্বীপের স্থানে স্থানে প্রায় ১৪ প্রকার বঁাশ দেখা যায়। এই বঁাশের দও, বাখারি, চটা ও চিয়াড়ী কাটিয়া ভারতবাসী নানারূপ গৃহকার্ঘ্যে ব্যবহার করিয়া থাকে। একটা লম্বমান স্থপঙ্ক বংশ খণ্ডাকারে কাটিয়া ঘরের খুট, চালের বাত, ডাশ প্রভৃতি প্রস্তুত হইতে পারে। বাথারি চিরিয়া প্রাঙ্গণের বেড়া ও ঘরের চালের পাট দেওয়া হয়। বঁাশ কাটারি দ্বারা লম্ব চাৰে দ্বিখণ্ডিত করিয়৷ তদুপরি উপর্য্যুপরি আঘাত করিয়া চওড়া চট প্রস্তুত করা হয় । উহা ঘরের দেওয়ালরূপে আটিয়া তদুপরি মৃত্তিক লেপন করিলে পরিষ্কার দেওয়াল হইতে পারে। চিয়াড়ীর সরুমোটা অনুসারে ঝুড়ী, কুলা, চাটাই বা দাম, খুচুনী প্রভৃতি এবং অপেক্ষাকৃত মোট বা সরু গোল শল প্রস্তুত করিয়া তাহাতে চিত্র, কাপী, মাছধর ঘূর্ণ প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করা যাইতে পারে । , এই বংশ শ্রেণীর মধ্যে বেউড় বঁাশ (Bambusa arundincea ) সৰ্ব্ববিষয়ে মনুষ্যের বিশেষ উপকারী। বিভিন্ন দেশে ইহা বিভিন্ন নামে পরিচিত। হিন্দী-বাশ, কাটাঙ্গ, মগর বঁাশ, নলবঁাশ ; বাঙ্গালা-বেহুড় বা বেউড় বাশ, বাস ; আসাম-ব্লাহ, কোলকতঙ্গা ; সাঁওতালী-মট ; গারো-বাহ কাওে ; চট্টগ্রাম —বরিয়ালা ; পঞ্জাব –মগর, নাল ; গুজরাত-বংশ, কোঙ্কণকলক, পোদই ; পঞ্চমহল—বশ ; বোম্বাই—মনী লে, মাগুগয় ; দাক্ষিণাত্য-ভাস, ছোট বঁাশ হইলে ভাসা ও বড় হইলে বান্ধু ; গোড়–কটিবন্ধুর ; আরব-কাসাব, পারস্ত–মই ; তামিল— মনগল, মলগিল ; তেলগু-মুলকাশ, কঙ্ক, বোঙ্গা, বেল্লুরু, বোঙ্গ-বেল্লুক, পোস্তুে-বেদের, বেয়েমুক, বের শনি, বেত্ত, কনাড়ী—বিলুলু, মঘ-বা-নাহ, ; ব্ৰহ্ম-ব-শ্লাক্যাৎ, ক্যাকংবা ; শিঙ্গাহর-কাট্ট উন, উনা ; চীন-ভুই, ইংরাজী— Bamboo । বৈজ্ঞানিক ভাষায় ইহা উদ্ভিদতত্ত্বের তৃণবিভাগের (Gramineae) wGgt (Bambuseae) cest, zag is সংস্কৃত পর্যায়—কীচক ; ত্বক্সার, কৰ্ম্মার, তুচিসার, তৃণধ্বজ, শতপৰ্ব্ব, যবফল, বেণু, মস্কর, তেজন, কিন্ধুপৰ্ব্বা, রম্ভ, তৃণকেতুক, কণ্ঠালু, কণ্টকী, মহাবল, দৃঢ়গ্রন্থি, দৃঢ়পত্র, ধনুক্রম, ধানুষ্য, দৃঢ়কাও, কিলাটা, পুষ্পঘাতক । এই বংশতৃণ সাধারণতঃ ৪০৫ হাত অর্থাৎ ১০০ হইতে ১৫. ফিটু পর্যন্ত উদ্ধে লম্বা উঠিয়া থাকে। ক্ষুদ্রজাতীয় বঁাশঝাড় গুলি ৩০ ফিটের প্রায় কম হয় না। ভারত এবং পুৰ্ব্বভারতীয় জনপদসমূহে বিভিন্ন প্রকারের যে সকল বঁাশ গাছ দেথা যায়, পাশ্চাত্য উদ্ভিদবিদগণ তাহাদের আবয়বিক গঠন, দৈর্ঘ্যতা, গ্রন্থি ও পত্রপার্থক্য নির্দেশ করিয়াছেন। নিম্নে তাহাদের বৈজ্ঞানিক নাম, উৎপত্তিস্থান, উচ্চতা প্রভৃতি সংক্ষেপে বিবৃত হইল,— s Bambusa ajinis-artifatā siro, stati ঝ কুড়া ঝাকড়, ১৫ হইতে ২০ ফিটু লম্বা হয় । ব্ৰহ্মদেশীয় ভাষায় থৈঙ্কা ও থিশে বলে । s B. Agrestis–GTgtR চীন, কোচীন চীন ও মলয়দ্বীপপুঞ্জ। বক্রাকার গঠন, ১ ফুট, মোট ও ১॥• ফুট, খাড়াই। ভিতর ফাপ নহে ।