পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নায়কবংশ

  • s lל ]

নায়কবংশ হয়। কুমার কৃষ্ণয় কণ্ডি অধিকারপূর্বক আপল গুলিককে उशांद्र असिशिंख् कब्रिघ्न बग्नांtसा ●शांन काङ्गन । १९१७ খৃষ্টাবো তাহার মৃত্যু হয়। / তৎপুত্র কৃষ্ণপ্ল ও বিশ্বনাথ উভয়ে মিলিয় রাজ্যশাসন করিতে থাকেন। কিন্তু উভয়েই এক প্রকার আর্য্যনাথের ক্রীড়াপুত্তল স্বরূপ ছিলেন। এই সময় ‘মহাবিলিবান’ নামে * এক সামস্তরাজ বিদ্রোহী হইয়াছিলেন। কিন্তু তিনি শীঘ্রই পরাস্ত হন। এই সময় ত্ৰিচিনপল্লী ও চিদম্বরম্ দুর্গাদি দ্বারা সুরক্ষিত হয়। ১৫৯৫ খৃষ্টাব্দে কৃষ্ণপ্লের মৃত্যু হইলে প্তাহার দুই পুত্র লিঙ্গয্য ও বিশ্বপ্ন উভয়ে রাজ্যভার প্রাপ্ত হন। র্তাহাদের রাজত্বকালে মন্থর রাজ্যের প্রবৃদ্ধি হইয়াছিল। ১৬০০ খৃষ্টাব্দে প্রসিদ্ধ আর্যানাথ ইহলোক পরিত্যাগ করেন। প্রথমে বিশ্বপ্ন, তৎপরে ( ১৬০২ খৃষ্টাব্দে ) লিঙ্গয্য কাল কবলিত হইলেন। তাছার পিতৃবা কন্তুরী রঙ্গ্য বলপূর্বক রাজ্য অধিকার করেন। কিন্তু সপ্তাহ মধ্যে তিনি নিহত হন ও লিঙ্গয্যের পুত্র মুত্ত্ব কৃঞ্চল্প সিংহাসনে অধিরোহণ করেন। মুস্তু কৃষ্ণ রামনাদের প্রাচীন মড়ববংশীয় সেতুপতিদিগকে পুনরায় স্বরাজ্যে স্থাপিত করেন। তাছার সময় রবার্ট ডি-নবিলিয়াসের অধীন জেমুট পাদ্রীগণ মণ্ডুরায় প্রবল হইয় উঠে। অনেক নীচজাতি খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে থাকে । { খৃষ্টান শব্দ দেখ। ] ১৬০৯ খৃষ্টাব্দে তিনট পুত্র রাথিয়া মুত্ত্ব কৃষ্ণঃ ইহলোক পরিত্যাগ করেন। এই তিনজনের নাম মুক্ত ধীরপ্প, তিরুমল ও কুমার মৃত্ত । মজালিউল সলাতিন-নামক ইতিহাস-রচয়িত মহম্মদ শরীফ লিখিয়াছেন, তিনি উক্ত মদুল্লারাজের সহিত তাহার শত .** মহিষীকে চিতারোহণ করিতে দেখিয়াছেন। মুন্তু, বীরপ্লের রাজত্বকালে তঞ্জোরের সহিত যুদ্ধ বাধে। এই সময় মহিমুর হইতে ক একদল সেনা আসিয়া মন্ত্রর লুট করিয়া যায় । বীরপ্প স্বীয় রাজ্য মধ্যে খৃষ্টানধৰ্ম্ম প্রচারে বিশেষ বাধা দিয়াছিলেন । তাহার সময়ে ত্ৰিচিনপল্লীতে রাজধানী ছিল । র্তাহার পর তিরুমল নায়ক রাজা হন। তিনি ত্রিচিনপল্লী হইতে রাজপাট তুলিয়া মদুরাতেই আবার রাজধানী করিলেন । তিনি ‘মহারাজমান্তরাজশ্ৰীতিরুমল শেবরি নায়ণি আঘালু গার’ এই উপাধি গ্রহণ করেন। তাহার সময়েই মন্ত্ররার বৃহদাকার মন্দির সকল ও রাজপ্রাসাদ নিৰ্ম্মিত হয়। র্তাহার @ সময়ে মহিমুররাজ মােরারাজ্য অধিকার করিবার জন্য সৈন্ত প্রেরণ করেন । দিগুিগুল নামক স্থানে দলবায় রামপ্ল্য বিপক্ষসৈন্য পরাস্ত করিয়া মহিমুর পর্যন্ত তাহদের পশ্চাৎ । --- ধাবিত হন । ১৬২৩ খৃষ্টাকো জেম্মুট-প্রবর রবার্ট-ডি-নবিলিয়াস্ আবার ময়ূরায় উপস্থিত হন। তাহার মনোমুগ্ধকর বক্তার অনেকেই খৃষ্টীর ধৰ্ম্ম গ্রহণ করে। কিছুকাল পরে রামনাদপ্রদেশে সেতুপতির সহিত ঘোরতর যুদ্ধ বাধে। এই যুদ্ধে তিরমলের বিশেষ অনিষ্ট হয়। কোথায় তিনি মনে করিয়াছিলেন যে সম্পূর্ণ স্বাধীন হইবেন, না বিজয়নগরাধিপকে সৰ্ব্বদাই তাহাকে উপহার পাঠাইতে হইত। ১৬৫৭ খৃষ্ঠাঝে বিজয়নগর-রাজের প্রতি র্তাহার কিছু অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায়, তাহাতে বিজয়নগরের নব রাজা তাহার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিরুমল তঞ্জোর ও গিঞ্জির নায়কদিগের সাহায্য গ্রহণ করেন। বিজয়নগরাধিপ গিঞ্জি আক্রমণে উপস্থিত হইলেন। সেই অবকাশে মুসলমানের তিরুমলের প্ররোচনায় বিজয়নগর আক্রমণ করিল। পরে তাহারা বিজয়নগরের দক্ষিণাংশ অধিকার করিতে লাগিল। তিরুমলকেও এই সময় মঞ্জুরায় গিয়া আশ্রয় লইতে হইল। তৎপরে তিনি গোলকোণ্ডার মুসলমানরাজের সহিত সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হইলেন। মুসলমানেরা আসিয়া মন্থর আক্রমণ করিলেন । তিরুমাল কোন বাধা না দিয়া আয়ুসমর্পণ করিলেন। তিরুমন্সের বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ লষ্টবার জন্ত মহিমুররাজ ক একবার তিরুমলকে আক্রমণ করিয়াছিলেন । শেষে ১৬৫৯ খৃষ্টাব্দে মদুরাপতিই জয়লাভ করিলেন । মুসলমান ও খৃষ্টান ধৰ্ম্মের উপর তিরুমলের অনেকটা আস্থা হইয়াছিল। সেইজন্তই ব্রাহ্মণের। তাছার উপর বিরক্ত হইয়া উক্ত বর্ষে তাহাকে হত্যা করেন । তৎপরে তাহার প্রকৃত উত্তরাধিকারী কুমার যুন্ত, ব্রাহ্মণগণের উত্তেজনায় পিতৃসত্ব পরিত্যাগ করেন ও মুক্ত আড়কাদ্রি নামে তিরুমলের এক জারজ পুত্র সিংহাসনে অভিষিক্ত হন। অড়কাদ্রির অপর নাম বীরপ্প। মুসলমানদিগের হস্ত ইষ্টতে মুক্তিলাভের জন্ঠ ইনি ত্ৰিচিনপল্লী মুদৃঢ় করেন। এদিকে মুসলমানের তঞ্জোর ও অপরাপর স্থান আক্রমণ করিয়া শেষে ত্ৰিচিনপল্লী অবরোধ করিল। কিন্তু তাছাদের অভিসন্ধি সুসিদ্ধ হয় নাই। বীরপ্পই জয়লাভ করিলেন। ১৬৬০ খৃষ্টাব্দে তিমি জীবলীলা সম্বরণ করেন । তৎপরে তাহার পুত্র চোক্কলিঙ্গ বা চোকনাথ ( শোক্যনাথ ) ষোড়শবর্ষ বয়ঃক্রমকালে সিংহাসনে অধিরূঢ় হইলেন। প্রথমে মহরার দুৰ্ব্বত্ত মন্ত্রিগণ র্তাহাকে পদচ্যুত করিবার চেষ্টা করেন। কিন্তু মঞ্জুরাধিপ বয়সে অল্প হইলেও নিজ বুদ্ধিবলে দুৰ্ব্বস্তুদিগের কৌশল বাৰ্থ করিয়া আপনি শাসনভার ও