পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিৰ্ব্বাণ [ 528 J নিৰ্ব্বাণ এই ষড়বিধ পারমিত ও প্রতীত্যসমৃৎপাদের সম্যক্ জ্ঞান লাভ হইরা থাকে। এই প্রতীতাসমূৎপাদের জ্ঞান জন্মিলে অর্থাৎ হঃখের উৎপত্তি ও নিরোধের ক্রম বুঝিতে পারিলে, অবিদ্যাদির বিলয় হইতে আরম্ভ হয় । অবিদ্যাদির বিনাশে বুদ্ধত্ব বা निर्मj१ शाख रुद्र । उथन छला, छब्र, बाॉशि, भूङ्का e ठू१थ ইত্যাদির চির-উচ্ছেদ হইয় থাকে । নিৰ্ব্বাণলাভের পর আর ভবচক্রে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে হয় না, তখন আমিত্ব ও সংসাররূপ অগ্নি চিরকালের জন্ত নিবিয়া যায় । tgथम छिक्षांश ७हे, शनि नश्नांद्र ७ आभि उँछzग्रहे भिशा এবং শুষ্ঠতাই * এই বিশ্বের প্রকৃত স্বভাব হয়, তাহা হইলে, কিরূপে আমি, তুমি, ঘট, পট ইত্যাদির ব্যবহার নিম্পন্ন হইতেছে। শশবিধাণ, গগনকুসুম, বন্ধ্যাপুত্র ইত্যাদি দ্বারা কোন কাৰ্য্যই সম্পন্ন হষ্টতে পারে না, কিন্তু "সংসার” ও “আমি” স্বারা বহু কাৰ্য সম্পন্ন হইতেছে, দুঃখভোগ অবাধেই চলিতেছে। এই প্রশ্নের মীমাংসা করিতে যাইয়া বৌদ্ধগণ সত্যদ্বয়ের অবতারণা করিয়ছেন । নাগাৰ্জ্জুন নিম্নলিখিত স্বত্রে ঐ সত্যন্বয়ের উল্লেখ করিয়াছেন,--- "দ্ধে সত্যে সমুপশ্রিত বুদ্ধানাং ধৰ্ম্মদেশন । লোকসংবৃতিসত্যঞ্চ সত্যঞ্চ পরমার্থতঃ ॥” ( মাধ্যমিকসূত্র ) বৌদ্ধদিগের ধৰ্ম্মদেশনা সাতিক ( ব্যবহারিক ) ও পারমার্থিক, এই ফুই প্রকার সত্য আশ্রয় করিয়া প্রবর্তিত হয়। নাগাৰ্জ্জুন আরও বলিয়াছেন, — "ব্যবহারমনাশ্ৰিত্য পরমার্থে ন দেশুতে । পরমার্থমনগম্য নির্মাণং নাধিগম্যতে ॥" ( মাধ্যমিকম্বত্র ) ব্যবহারিক সত্যের আশ্রয়ব্যতীত পরমার্থ-সত্যের উপদেশ দেওয়া যাইতে পারে না এবং পরমার্থসত্যের উপলব্ধি ব্যতীত নিৰ্ব্বাণ লাভ হয় না । সত্যন্ধয়াবতারস্বত্র, লঙ্কাবতারস্বত্র, মাধ্যমিকস্বত্র ইত্যাদি গ্রন্থে ব্যবহারিক ও পারমার্থিক সত্যের বিস্তৃত ব্যাখ্যা প্রাপ্ত হওয়া যায়। এস্থলে এই মাত্র বলিলেই পর্যাপ্ত হইবে যে, সান্থতিক ( বাবহারিক ) সত্যদ্বারা বিচার করিলে, সংসার ও আমি মিথ্য নহে, কিন্তু পারমর্থিক সত্যদ্বারা বিচার করিলে, এই সংসার অনাধার, কল্পিত ও মিথ্যা বলিয়া উপলব্ধি হইবে। যখন পরমার্থসত্যের সম্যক্ জ্ঞান হইবে, তখন সংসার ও আমি মিথ্যা হইয়া যাইব এবং তখনই নিৰ্ব্বাণ লাভ হইবে।

  • "শূন্যতাগতিক হি স্বভূতে সৰ্ব্বধৰ্ম্মাঝে তাং গতিং ন ব্যতিবর্তত্ত্বে।"

( অঃসাহগ্রিক ) "ভাষানুৎপত্তিং সঙ্কায় মহামস্তে সৰ্ব্বধৰ্ম্মা: শূন্য ইডি দর্শিত ইতি । भूनाः ग#ष*ी नि:पसांवत्यांtशन " (चार्थश्वछिक ) স্পষ্টই দেখা যাইতেছে, নিৰ্ব্বাণ কোন বস্তু নহে। সংসার ও আমি এই দুই মিথ্যা বস্তু, মিথ্যা বলিয়। প্রতীত হইলেও প্রকৃত যাহা ছিল, তাহাই থাকিবে, সেই প্রকৃত অবস্থাই নিৰ্ব্বাণ। এই হেতু নিৰ্ব্বাণ ও শুষ্ঠতা অসংস্কৃত পদার্থ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। চন্দ্ৰকীৰ্ত্তি বলিয়াছেন,— “অত্রৈকে তু আকাশপ্রতিসংখ্যানিরোধনিৰ্ব্বাণানি অসংস্থতানি কল্পয়স্তি। অপরে পৃষ্ঠতাং তথতালক্ষণাং অসংস্কৃতাং পরিকল্পয়ন্তি।” ( মাধ্যমিক বৃত্তি ) যে পদার্থের উৎপাদ, স্থিতি ও বিনাশ আছে, তাহাই ংস্কৃত পদার্থ। নিৰ্ব্বাণ বা শূন্যতার উৎপাদ, স্থিতি বা ক্ষয় নাই, মুতরাং ইহা অসংস্কৃত পদার্থ। এ পর্য্যন্ত নিৰ্ব্বাণলাভ, শুষ্ঠতাপ্রাপ্তি ইত্যাদি বাক্যে নিৰ্মাণ ও শূন্ততার লাভ ও প্রাপ্তির কথা বলিয়াছি, কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে যলিতে হইলে, উহার লাভ ও প্রাপ্তি হইতে পারে না । সংসার ও আমি এই দুই মিথ্যা বস্তু মিথ্যা হইয় গেলে, পরমার্থতঃ যাহা পুৰ্ব্বে ছিল পরেও তাছাই থাকিল, সেই পারমাথিক প্রকৃত অবস্থাই নিৰ্বাণ। সেই প্রকৃত অবস্থ ভগবান বুদ্ধ আর্যরত্নকূটস্বত্রে নিম্নলিখিত ভাবে বর্ণন করিয়াছেন,— “মাত্র স্ত্রী ন পুরুষো ন সত্ত্ব ন জীবো ন পুরুষো ন পুগিলে৷ বিতথা ইমে সৰ্ব্বধৰ্ম্মাঃ । অসন্ত ইমে সৰ্ব্বধৰ্ম্মাঃ । ধিঠপিতা ইমে সৰ্ব্বধৰ্ম্মাঃ । মায়োপমা ইমে সৰ্ব্বধৰ্ম্মঃ । স্বপ্নোপমা ইমে সৰ্ব্বধৰ্ম্মাঃ । নিৰ্ম্মিতোপমা ইমে সৰ্ব্বধৰ্ম্মাঃ । উদকচঞ্জোপম৷ ইমে সৰ্ব্বধৰ্ম্ম। ইতি বিস্তরঃ । তে ইমাং তথাগতস্ত ধৰ্ম্মদেশনাং শ্ৰুত্ব বিগতরাগান সৰ্ব্বধৰ্ম্ম পশুস্তি বিগতমোহান্‌ সৰ্ব্বধৰ্ম্মান্‌ পগুস্তি অস্বভাবা অনাবরণা। তে আকাশস্থিতেন চেতস কালং কুৰ্ব্বস্তি তে কালগতাঃ সমানাঃ নিরুপধিশেষে নিৰ্ব্বাণধাতে পরিনিৰ্ব্বাস্তি ।” বুদ্ধ আরও বলিয়াছেল,— "শূন্তমাধ্যাত্মিকং পশু পশু শূন্তং বহির্গতম্। ন বিদ্যতে সোইপি কশ্চি যে ভাবয়ুতি শূন্ততাম্।" ( মাধ্যমিকর্তৃত্তিতে চন্দ্ৰকীৰ্ত্তি কর্তৃক উদ্ধত বুদ্ধকাব্য ) দক্ষিণাত্য বৌদ্ধগ্রন্থের মত । নিৰ্ব্বাণ সম্বন্ধে দাক্ষিণাত্য বৌদ্ধগ্রন্থের মত উদীচ্যমত হইতে পৃথক্ নহে । বিমুদ্ধিমগ্গ গ্রন্থে লিখিত আছে,— • “সোসানকক্ষমিতি নেকগুণাবহত্ত। নিৰ্ব্বাননিরহদয়েন নিসেবিতব্বস্তি " ( বিমুদ্ধিমগৃগ ) “ফহি বানঞ্চ পঞঞ্চ সবে নিৰ্ব্বানসস্তিকে ” (বিস্তুদ্ধিমগৃগ) নিৰ্ব্বাপে নিবিষ্টন্ধদয় ব্যক্তির নিরস্তুর শ্মশানাঙ্গ সেবন