পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারায়ণভট 象 “নারায়ণুপ্রিয়মনঙ্গমদাপহারম্। . বারাণসীপুরপতিং ভঙ্গ বিশ্বনাথম্৷” (শিবস্তোত্র ) . * পতচন্দন। (নৈৰ గ్రో ) নারায়ণভট, ভারভট্টের পুত্র, রূপসনাতনের শিয্য । পুরাণে বৃন্দাবনের দ্বাদশ মাত্র বনের উল্লেখ আছে । তদ্ব্যতীত এখন যে বহুসংখ্যক বনের নাম পাওয়া যায় এবং হিন্দু তীর্থযাত্ৰিগণ পুণ্যলাভ আশায় যে সমস্ত বন দর্শন করিতে গিয়া থাকেন, প্রসিদ্ধ বৈষ্ণবভক্ত এই নারায়ণভট্টের চেষ্টায় সেই সকল পুণ্যভূমির নামকরণ হইয়াছে । এখন বৃন্দাবনে যে বনযাত্রা ও রাসলীলা মহা সমারোহে সম্পন্ন হইয়া থাকে, তাহাও ইনি সৰ্ব্বপ্রথম প্রবপ্তন করেন। ঐ সকল স্থানের মাহাত্ম্য প্রচায় করিবার জন্ত ইনি ১৫৫৩ খৃঃ অব্দে ব্রজভক্তিবিলাস নামে একখানি সংস্কৃত গ্ৰন্থ রচনা করিয়tছেন। ব্রজভক্তিবিলাস পাঠে জানা যায়, পরমংস-সংহিতা অবলম্বনে এই গ্রন্থ রচিত হইয়াছে। ব্রজবাসিগণ বলেন, বর্ষণের নিকটবর্তী উচাগীও নামক স্থানে নারায়ণ বাস করিতেন, কিন্তু ব্রজভক্তিবিলাসে তিনি শ্ৰীকুণ্ড ( বা রাধাকুণ্ড )-বাসী বলিয়া আপনার পরিচয় দিয়াছেন । শ্রীচৈতন্যদেব বৃন্দাবনের লুপ্তর্তীর্থ উদ্ধার করিবার জন্ত লোকনাথগোস্বামীকে বৃন্দাবনে পাঠাইয়া দেন। তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় বৃন্দাবনে অতিবাহিত করিয়া যে সকল লুপ্তস্থান নির্ণয় করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, নারায়ণভট্ট রূপসনাতন ও লোকনাথের সাহায্যে সেই সকল স্থানের নামকরণ করেন। তাহার ব্রজভক্তি-বিলাসে এইরূপ ১৩৩টী বনের বিবরণ বর্ণিত হইয়াছে। ইহার মধ্যে যমুনার দক্ষিণকুলে ৯১ট ও বামকুলে ৪২ট অবস্থিত। ২ গোকুলবাসী একজন বিখ্যাত পণ্ডিত। বল্লভাচার্য বালাকালে ইহার নিকট সংস্কৃত কাব্য ও দর্শন শিক্ষা করিয়াছিলেন । নারায়ণভট্ট, এই নামে বিস্তুর সংস্কৃত গ্রন্থকারের নাম পাওয়া যায়। ১ অপর নাম নিত্যানন, শ্ৰীনিবাস-বিদ্যানদের শিয্য। ইনি কল্পলতা ও তারাপদ্ধতি য়চনা করেন। ২ একজন জ্যোতিধী। ইনি সমরসিংহরচিত তাজিকতন্ত্রসারের ‘কৰ্ম্মপ্রকাশিকা’ নামে টীকা প্রণয়ন করেন। ৩ কেরলবাসী একজন প্রসিদ্ধ কবি । ইনি কোটি বিরহ, সুভগসন্দেশ, স্বহাসুধাকর ও ধাতুকাব্য নামে কএক খানি কাব্য, নারায়ণীয় স্তোত্র ও প্রক্রিয়াসৰ্ব্বস্ব নামে ব্যাকরণ প্রকাশ কয়েন । ৪ একজন টীকাকার। ইনি গৃহপ্রবেশপ্রকরণ, গোচর প্রকরণ, যাত্রাপ্রকয়ণ ও বিবাহ-প্রকরণ প্রভৃতি গ্রন্থের টীকা । করিয়াছেন। [ 8२ ] নারায়ণভট্ট ৫ জানকীপরিণয় নামক নাটককার । ৬ কেশবমিশ্রকৃত তর্কভাষার একজন টীকাকার । ৭ তিথিবাক্যনির্ণয় নামে গ্রন্থরচয়িত । ৮ একজন কবি। ইনি ত্রিপুরদহন, দূতবাক্য, রাক্ষসোৎপত্তি, রামায়ণ-প্রবন্ধ ও সুভদ্রাহরণ নামে কএকথানি কাব্য লিথিয়া গিয়াছেন । * ৯ দশকৰ্ম্মপদ্ধতি ও ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি নামে স্বাৰ্ত্তগ্রন্থকার। ১০ প্রায়শ্চিত্তসংগ্রহকার । ১১ (নারায়ণ সৰ্ব্বজ্ঞ ) নামনিধান নামে কোষ ও মানবধৰ্ম্মশাস্ত্রের ভাষ্যকার। ইহার নামনিধানকোষ রায়মুকুট উদ্ধত করিয়াছেন । ১২ লক্ষহোমপদ্ধতিরচয়িতা। ১৩ লঘুচন্দ্রিক নামে যোগশাস্ত্রকার। ১৪ বিধান-রত্ন নামে স্মার্তগ্ৰন্থরচয়িত । ১৫ বৃত্তোক্তি-রত্ন নামে ছন্দেীগ্রন্থ ও পরীক্ষা নামে তাহার টকারচয়িত। ইনি তারাবংশে জন্মগ্রহণ করেন। ১৬ বৃত্তরত্নাকরের একজন প্রসিদ্ধ টীকাকার। ১৬০২ সম্বতে (১৫৪৫ খৃষ্টাব্দে ) ঐ টীকা রচিত হয়। ইনি আপনার এইরূপ পরিচয় দিয়াছেন,— বিশ্বামিত্রবংশে ক্রীনাগনাথ জন্মগ্রহণ করেন। তৎপুত্র অঙ্গদেব, তৎপুত্র গোবিন্দভট্ট, তৎপুত্র রামেশ্বর ভট্ট, এই রামেশ্বরের পুত্র নারায়ণ। ১৭ বুৎপত্তিবাদার্থ নামে স্থায়গ্ৰন্থরচয়িতা । ১৮ সংস্কারসাগর নামে ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রণেতা। ১৯ সপ্তলক্ষণ নামে বৈদ্যক গ্রন্থকার । ২• সাধনদীপিকারচয়িত । ইনি কান্তকুঞ্জীয় শঙ্করের শিষ্য। ২১ স্তবচিস্তামণি নামে শৈব গ্রন্থরচয়িত । ২২ গোভিলখৃহস্থত্রের একজন ভাষ্যকার। রঘুনন্দন এই ভাষা উদ্ধৃত করিয়াছেন। এই নারায়ণের পিতার নাম মহাবল, পিতামহের নাম রামদেব ও প্রপিতামহের নাম ব্যাস । ২৪ একজন প্রসিদ্ধ স্মাৰ্ত্ত, রামেশ্বর ভট্টের পুত্র ও গোবিন্দ ভট্টের পৌত্র। ইনি খৃষ্টীয় ১৬শ শতাব্দীতে বিদ্যমান ছিলেন । ইহার রচিত অস্ত্যেষ্টিপদ্ধতি, অন্ত্যেষ্টিপ্রয়োগ, অয়ননির্ণয়, আতুরসন্ন্যাসবিধি, অহিতাগ্নিমরণে দাহাদিব্যবস্থ, আহ্নিকবিধি, উৎসর্গপ্রয়োগ ( জলাশয়ারামোৎসর্গবিধি ), কালনির্ণয়সংগ্ৰহ, মাধবকৃত কালনির্ণয়ের টীকা, কাশীমরণমুক্তিবিচার, গয়াকার্যায়ষ্ঠানপদ্ধতি, গয়াযাত্রাপ্রয়োগ, গোত্রাপ্রবরনির্ণয়, তিথিনির্ণয়, তুলাপুরুষমহাদানপ্রয়োগ, ত্রিস্থলীসেতু, দিব্যাঙ্গুষ্ঠানপদ্ধতি, প্রয়াগসেতু, প্রয়োগরত্ন, মাসমীমাংস, বৃন্দ্রপদ্ধতি, লিঙ্গাদি