পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারিকেল , [ ¢२ ] নারিকেল - নারিকেল হইতে প্রধানতঃ ছোবড়া, দড়ি, তৈল, চিনি, • मिडेग्न ७ मनिद्रा eज्ञठ श्छ। थारक । हेशग्न उन अठि आक्छक अदा। { নারিকেলতৈল দেখ। ] কচি নারিকেল শৈত্যকারক, ইহার ফুল সঙ্কোচক এবং তৈল কডলিভারতৈলের গুণবিশিষ্ট। সুতরাং নারিকেল অনেক সময় ঔষধাৰ্থে ব্যবহৃত হয়। ইহার দুগ্ধ, কাদির রস প্রভৃতি সমস্তই ঔষধে লাগে। ইহার জলের উপকারিতা সম্বন্ধে কোণ কোন ডাক্তার বলিয়াছেন যে অপরিপক্ক নারিকেলের জল বা দুগ্ধ সুগন্ধবিশিষ্ট, পিপাসানাশক, শৈত্যপ্রদ এবং ইহা পিতজর ও প্রস্রাবের পীড়ার পক্ষে বিশেষ উপকারী। এই জল বেশী পান করিলেও কোন ক্ষতি হয় না এবং কাহারও কাহারও মতে ইহা রক্তপরিষ্কারক। নারিকেলের নেওয়া বা কোমল শীল পুষ্টিকারক, স্নিগ্ধ গুণবিশিষ্ট ও মূত্ৰকারক। ইহার কুঙ্ক ৪ হইতে ৮ আউন্স প্রত্যহ দুই তিনবার সেবনে যক্ষ্মারোগীর ও ধাতুবিকৃত রোগীর বিশেষ উপকার হয়। এই দুগ্ধ অতি স্বস্বাদু। শিশুদিগকেও ইহা পান করান যাইতে পারে। অধিক পরিমাণে এই দুগ্ধ পান করিলে দোলাপ লওয়ার কার্য করে। নারিকেলের মালা অগ্নিদগ্ধ করিয়৷ লালবর্ণ থাকিতে থাকিতে একট পাথরবাটীর ভিতরে রাখিয়া দিলে উছাতে অগ্নি নির্বাপিত হইলে ঘামের স্তায় জল লাগিয়া থাকে। ঐ ঘাম-জল দাদের মহৌষধ। নারিকেলের শাস ও তৈলের সহিত ভিন্ন ভিন্ন দ্রব্যযোগে আবার নানা প্রকার ঔষধ প্রস্তুত হয় । বালকবালিকার গলার ভিতরে ক্ষত হইলে কচি নারিকেলের জল বিশেষ উপকারী । নারিকেলের মাখি অতি সুস্বাছ এবং জর অবস্থায় ইহা পিত্তনাশক । ঝুনা নারিকেলের শাস, চাউল ভাজা ও শর্করাযোগে এক প্রকার মিঃ দ্রব্য প্রস্তুত হয় । নারিকেলের কাদির রস টাটুক। অবস্থায় তাড়িস্বরূপ ব্যবহৃত হয় । নিম্নোক্ত প্রকারে ঐ রস বাছির করিতে দেখা যায়। নারিকেলের কাদি দুই ফিটু লম্বা ও তিন ইঞ্চ পুরু হইলে উহ নারিকেলপত্র দ্বারা দৃঢ়ৰূপে বাধিতে হয়। তাহ হইলে আর বড় হইতে পারে না । তৎপরে ঐ কাদির অগ্রভাগ এক ইঞ্চি পরমাণে বক্রভাগে কাটিয়া ফেলিয়া মুদগর দ্বারা ছেচিয়া দিতে । ৫ হইতে স্থানে স্থানে ১৫ দিন পর্যন্ত প্রাতে ও সন্ধর সময় এইরূপ কমলে উছা মৃৎপাত্রে সংগ্ৰহ করিতে হয়। ইহারই নাম মারকেলের রস বা তাড়ি । এই রস পচাইয়া চোয়াইয়া লইলে আরক প্রস্তুত হয়। নারিকেলের রস, অল্প অঞ্চ ও বtখলে কিয়ৎক্ষণ পরে জুলাংশের কতকাংশ বাষ্প হই, বদ অবশিষ্ট থাকে, তাহা চিনির জলের স্তায় সুমিষ্ট। আরও কিছুক্ষণ জাল দিলে জুলাংশ নিঃশেষিত হুইলে চিনির অংশ পড়িয়া থাকে । এইরূপে নারিকেলগুড় ও নারিকেলের মিছ্রীও প্রস্তুত হয় । নারিকেলের গুড়িতে ঘরের আড়া, শাকোর খুটি, ছড়ি ও নানা প্রকার ব্যবহার্য্য দ্রব্য প্রস্তুত হয় । নারিকেলের মালায় উত্তম উত্তম ছ’কা প্রস্তুত হয়। পাণের সহিত সুপারির পরিবর্তে নারিকেলের কচি কচি শিকড় १ॉ8ग्नां एांग्र । আয়ুৰ্ব্বেদ মতে ইহার গুণ—নারিকেলফল শীতল, তৈলাক্ত, দুৰ্জ্জর, বস্তিশোধন, বিষ্টষ্ঠী, বৃষ্য, বৃংহণ, বলকারী, পিত্তজর, পিত্তদোষ ও দাহনাশক । পুরাতন বা জীর্ণ নারিকেল পিত্তকর, ভারী, বিদাই এবং বিষ্টন্তী । নবীনফলের জল শীতল, হৃদয়ের হিতকারক, দীপন, বীৰ্য্যবৰ্দ্ধক, হালক। বিস্তুচিক, তৃষ্ণ, পরিণামশুল, অম্লপিত্ত, অরুচি, ক্ষয়, রক্তপিত্ত, বাতরক্ত, পাণ্ডু, পিত্ত ও পিপাসানাশক । অত্যন্ত স্বাদু ও বস্তিশোধক। ফলের শাস কোমল, শীতল, বস্তিশোধক, শুক্রল ও বাতপিত্তনাশক। পক্ষ ( ঝুনা ) নারিকেল-গুণ—কিঞ্চিৎ পিত্তকর, রুচ্য, মধুর ও শীতল। নারিকেলের মাতি কষায়, স্নিগ্ধ, মধুর, বৃংহণ ও ভারী। কোমল নারিকেল অর্থাৎ নেওয়া শাস পিত্তজর ও মূত্রদোষনাশক। নারিকেল-জলে পিপাসা নিবারিত হয়, ইহা শীতল, হৃদা, দীপন ও শুক্রবৃদ্ধিকর। কচি নারিকেল-জল প্রায়ই বিরেচন । ( রাজনি ভাবপ্র ) পিত্তজৱে কোমল নারিকেল ও নারিকেলোদক বিহিত । নারিকেল আমাদের একটা প্রধান খাদ্য । অষ্টমীতিথিতে নারিকেল ভোজন নিষিদ্ধ। কিন্তু মহাষ্টমীর দিন দেবীর প্রসাদ নারিকেল ভোজন করা যাইতে পারে। মোহবশতঃ অষ্টমীর দিন নারিকেল ভোজন করিলে মুর্থ হয়। কোজাগর রাত্রিতে নারিকেলোদক পান করিয়া জাগরণ বিধেয় । - “নারিকেলোদকং পীত্ব কোর্জাগৰ্ত্তি মহীতলে ।” (তিথিতত্ত্ব ) কাংস্তপাত্রে নারিকেলোদক মন্ততুল্য। এইজন্স কাসারপাত্রে নারিকেল জলপান করিতে নাই । “নারিকেলোদকং কাংস্তে তাম্রপাত্রে স্থিতং মধু। গৰাঞ্চ তাম্রপাত্ৰস্থং মন্ততুল্যং স্বতং বিনা ৷" ( কৰ্ম্মলোচন ) নারিকেলে অনেকপ্রকার খাদ্য প্রস্তুত হইয়া থাকে। ঝুনা নারিকেল বাটিয়া স্থত, দুগ্ধ ও শর্করা সহযোগে অতি সুমিষ্ট খাদ্য প্রস্তুত হয়, সেই সকল খাদ্য দ্রব্য লডদুক, নারিকেলচিড়া, চন্দ্রপুলি প্রভৃতি নানাবিধ নামে অভিহিত হয়।