পাতা:বিশ্বকোষ দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাউচ “এয়ে৷” এই প্রকারেও লিখিত হয় ; যথা—“আপনি আসিয়া রতি এয়ে হৈল তায় । ( বিদ্যাসুন্দয় )। আইন ( যাবনিক ) রাজনিয়ম। ব্যবস্থা শাস্ত্র । আইন-ই-আকবরী। 战 পুস্তক পারস্তভাষার প্রসিদ্ধ অক বরনামার তৃতীয় খণ্ড। মহাকবি শেখ আবুলফজল ইহার রচয়িতা । ইহাতে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের যাবতীয় বিবরণ লিখিত হইয়াছে । ইহা পাচ অধ্যায়ে সম্পূর্ণ। প্রথম অধ্যায়ে আকবরের পারিবারিক ও সভার বিবরণ এবং সম্রাটের নিজের বৃত্তাস্ত প্রভৃতি অনেক বিষয় লিখিত আছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে, সম্রাটের কৰ্ম্মচারীদের বিবরণ । তৃতীর অধ্যায়ে শাসন ও বিচার বিভাগের বৃত্তান্ত, ভূমি জরিপ এবং রাজস্ব নিরূপণের বিষর লিখিত হইয়াছে। চতুর্থ অধ্যায়ে সামাজিক নিয়ম, বিদ্য। আলোচনার উৎকর্ষ সাধন, বিদেশীয় রাজার আক্রমণ, পরিব্রাজক, মুসলমান ফকির প্রভৃতি নানা বিষয়ের কথা আছে। পঞ্চম অধ্যায়ে নীতিবাক্য গ্রপিত হইয়াছে । আইল (গ্রাম্য ) এট আলবাল শব্দের অপভ্রংশ। দুই দিকের ভূমির মধ্যস্থলে কিম্বা গাছের গোড়াতে মাটী কিঞ্চিৎ উচ্চ করির বাধাইয়। দিলে তাহাকে আইল কহে । ভূমির সীমা নির্দেশের জন্ত এবং ক্ষেতে শস্ত থাকিলে লোকের যাতায়াতে জন্ত আইল বাধাইতে হয় । বৃক্ষাদির মূলে জল সেঁচিলে যেন জল বাহির হইয়া না যায় তজ্জন্তও লোকে আইল বাধাইয়া দেয় । আইবড় ( দেশজ ) বোধ হয় ইহা অনুঢ় শব্যের অপভ্রংশ। অবিবাহিত । যাহার বিবাহ হর নাই। ঘরে আইবড় মেয়ে, কখন না দেখ চেয়ে, বিবাহের না ভাব উপায় । ( বিদ্যাসু০ ) । seti SB ( Morindn citrifolia) &erza; sifés &i witss বলা ষায় । উদ্ভিদ বেত্তার। ইহায় বস্ত্যজাতীয় গাছকে Morinda tintoria Ftēzi i vetë 5 stg Caforts অনেকটা বাসকের মত । ইহার ফুল শাদা এবং সুগন্ধ যুক্ত । আল নামে অার এক প্রকার গাছ আছে, তাহাও এই জাতীয় ; কিন্তু আউচের চেয়ে বর্ণ অধিকতর গাঢ়। আউচের কলম পুতিলে গাছ হয়। ক্ষেতে সারি সারি আইল বাধাইয় তাহাতে কৃষকের কলম পুতিয়া দের । উৰ্ব্বর। শুষ্ক মৃত্তিকাই এই গাছের উপযোগী । ইহার গোড়ায় মধ্যে মধ্যে জলসেক করিতে হয় । গাছ পরিপক্ক হইলে তাহার মূল উঠাইয়। লয়। ফটকিরির [ s ] আউচ - --- I সঙ্গে আউচে স্থত বা কাপড় ছোপাইলে পাক রাঙ। রঙ হয় । কস্তা স্থত এবং খেরুয়া কাপড় আউচের রঙে ছোপান । বুন্দেলখণ্ড, মান্দ্রাজ এবং বঙ্গদেশের । অনেক স্থানে আউচ জন্মে। - & wièësto (Sir James Outram, Lieutenant-Gene ral G. C. B. ) ইনি ভারতবর্ষের একজন প্রধান সেনাপতি ছিলেন । ১৮০৩ খৃঃ অব্দে ডাৰ্ব্বিশায়ারের অন্তর্গত বটালিহলে ইহঁার জন্ম হয় । ইহার পিতার নাম বেঞ্জামিন আউটরাম। প্রথমে তিনি আবাদিনের অন্তর্গত উদনীতে শিক্ষালাভ করেন । তাছার পর মারিস্কাল কলেজে শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন । ১৮১৯ সালে তিনি নিম্ন শ্রেণীর সেনাপতি হইরা ভারতবর্ষে আসেন। পরে তিনি ১৩ নং বোস্তুে দেশীয় পদাতিকের লেফটেনাণ্ট ও আডজুটান্ট হন। খন্দেশের অসভ্য ভিলfদগকে ইনি যুদ্ধকৌশলে সুশিক্ষিত করেন। অবশেষে ভিল সৈন্যদিগকে সঙ্গে লইয়া তিনি দোঙ্গ জাতিকে পরাস্ত করিয়াছিলেন । ১৮৩৫ সাল হইতে ১৮৩৮ সাল পর্য্যস্ত তিনি মাহী কাস্তার সুশৃঙ্খলা স্থাপনের নিমিত্ত ব্যাপৃত থাকেন। লর্ড কিনের সদস্ত হইয়া তিনি আফগনস্থান আক্রমণ করিতে গিয়াছিলেন । তিনি গুজরাটের পোলিটিক্যাল এজেণ্ট এবং সিন্ধুদেশের কমিশুনর হইয়াছিলেন । এই সমস্তুে সিন্ধুদেশের আমিররা বিদ্রোহী হইয়াছিলেন । সেনাপতি আউটরাম, সার চাল নেপিয়রের মন্ত্রণানুসারে তাহাদিগকে দমন করেন। পরে তিনি সেতার এবং বরদার রেসিডেণ্ট হইয়াছিলেন । এই সময়ে অযোধ্য। ইংরাজ রাজ্যের অন্তর্গত হইয় পড়ে। লর্ড ডালহাউসী, আউটরামকে তথাকার রেসিডেন্ট এবং কমিশুনের নিযুক্ত করিলেন । অনেক দিন ভারতবর্ষে থাকিরা আউটরামের শরীয় অসুস্থ হয়, তজ্জন্ত ১৮৫৬ সালে তিনি ইংলণ্ড গমন করেন । কিন্তু পারস্তের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিলে তিনি কমিশুনির হইয়া সেনাসঙ্গে পারস্ত উপসাগরে উপস্থিত হইলেন । এখানে কার্য্যসিদ্ধি হইলে তিনি ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসেন । এই সময়ে সিপাহী বিদ্রোহ ঘটে । তিনি লড ক্যানিঙের পরামর্শানুসারে লক্ষ্মেী নগরে আসিলেন । প্রথমে হাবিলক সাহেব বিদ্রোহীদিগকে অনেকটা দমন করিয়াছিলেন, কিন্তু পুনৰ্ব্বার অধিক গোলযোগ উপস্থিত হয়। আউটরাম আলমবাগে থাকিয়। সিপাহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে লাগিলেন, চারিদিকে