পাতা:বিশ্বকোষ দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জণউলেষ্টাঙ্গ আউলেটাদের গায়ে কথা, কোমরে কেীপীন; তিনি হিন্দু মুসলমান সকলকেই সমান ভাবিতেন - এবং সকলেয়ই অল্প ভোজন করিতেন । ম্লেচ্ছজাতির প্রতি তাছায় ঘৃণা ছিল না । মুসলমানেরাও র্তাহার কাছে উপদেশ লইত। বোধ হয়, মুসলমামেরাই তাহাকে ‘আউলে* এই নাম দিয়া থাকিবেন । পারস্ত ভাষায় জাউলিয়া শব্দে বুজর্গ অর্থাৎ বুজরুককে বুঝায় । প্রবাদ অাছে আউলেচাদ পায়ে খড়ম দিয়া গঙ্গার উপরে ছাটিয়া বেড়াইতেন ; অনেক কুষ্ঠ অাতুরকে আরোগ্য কয়িয়াছিলেন, এবং মৃতব্যক্তিকেও বঁাচাইয়। দিয়াছিলেন । অনুমান হয়, এই সকল বুজরুকীর জন্ত মুসলমামের তাহাকে ‘আউলিয়া’ বলিয়া ডাকিতেন। আউলেটাদের অনেকগুলি নাম শুনিতে পাওয়া যায়। আউলেচাদ, প্রভু, আউলে মহাপ্রভু, আউলে ফকির, আউলে ব্রহ্মচারী, কাঙ্গালি প্রভু, ফকির ঠাকুর, সাই, গোসাই এই রূপ অনেক নামে তিনি জন সমাজে প্রসিদ্ধ। কৰ্ত্তাভজার বলেন যে মহাপ্রভু শ্ৰীক্ষেত্রে গিয়া তিরোহিত হন । পরে তিনিই আবার ‘আউলেট্যদ রূপে আবিভূত হইয়াছিলেন । সৰ্ব্ব প্রথমে ৰাইশজন লোক আউলেটাদের শিষ্য হইয়াছিলেন । র্তাহাদের নাম এই,—১ হটুঘোষ, ২ বেচুঘোষ, ৩ রামশরণপাল, ৪ নয়ন, ৫ লক্ষ্মীকান্ত, ৬ নিত্যানন্দ দাস, ৭ থেলারাম উদাসীন, ৮ কৃষ্ণদাস, ৯ হরিঘোষ, ১• কানাই ঘোষ, ১১ শঙ্কর, ১২ নিতাই ঘোষ, ১৩ আনন্দরাম, ১৪ মনোহর দাস, ১৫ বিষ্ণুদাস, ১৬ কিন্তু, ১৭ গোবিন্দ, ১৮ শু্যামকাসারী, ১৯ ভীমরায় রজ- ' পুত, ২• পাচু রুইদাস, ২১ নিধিরাম ঘোষ, ২২ শিশুরাম । ( অাউলেচাদ দোয়াগোরু, সঙ্গে ৰাইশ ফকির বাছুর তার ) । এ প্রকার গল্প শুনিক্তে পাওয়া যায় যে, ১৬৯১ শকে বেfয়ালে গ্রামে আউলেচাদের মৃত্যু হয়। প্রভু পরলোকগমন করিলে শু্যামবৈরাগী, হরিঘোষ, হটুঘোষ, কানাইঘোষ, রামশরণ পাল, ভীমরায় রজপুত, সহস্ৰরাম ঘোষ এবং বেচু ঘোষ এই আট জন শিষ্য বোয়ালে &ামে তাহার কঁাথার সমাধি দেন । পরে চাকদহের তিন ক্রোশ পূৰ্ব্বে পরারি নামক গ্রামে তাহার মৃতদেহ জানিয়া সেইখানে সমাজ দিলেন । এখন অনেক ভদ্রলোক আউলেচাদের মত গ্ৰহণ করিয়াছেন। তাহাদের মধ্যে সুবর্ণবণিকই অধিক । [8] चौ$rशल्ल*ांघ অনেক বেশুrাও এই মতানুসারে চলিয়। থাকে। আউলেচাদের শিষ্যদের সকলেরই একমন, সকলেই মনে মনে প্রাণে প্রাণে মিশিয়া থাকিতেন, তজ্জন্ত এই মতাৰলম্বীদের একমুনেও কহে । এবং তাঙ্গার ‘জয়কর্তা বলিয়া আউলেটাদেব সম্বোধন করিতেন, সে কারণ ঐ সম্প্রদায়ের লোক ‘কৰ্ত্তাভজা’ নামে বিখ্যাত । এ ভাবের মানুষ কোথা হ’তে এল । এর নাইকো রোয়, সদাই তোৰ, মুখে বলে সত্য বল । এর সঙ্গে বাষ্টশ জন, সবার একটা মন, জয় কৰ্ত্ত বলি, বাহু তুলি, কলো প্রেমে ঢলাঢল । এ যে তারা দেওয়ায়, মরা বাচার; এর ছকমে গঙ্গা শুকাল । অাউলে সম্প্রদায়ের গুরুর নাম মহাশয় এবং শিষ্যেয় নাম বরাতি । দীক্ষা করিবার সময়ে মহাশয়, শিষ্যকে প্রথমে এই উপদেশ দেন যে,—“গুরু সত্য’ । গুরু, শিষ্যকে জিজ্ঞাসা করেন,—“তুই এ ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে পারিবি ?” শিস্য উত্তর দেয়—“পারিব । তাহার পর গুরু বলেন,—“তবে তুষ্ট মিথ্যা কথা ৰুছিতে পারিবি না, চুবী করিবি না, পরস্ত্রীগমন করিবি না এবং আপনার স্ত্রীসঙ্গও অধিক করিবি না । শিষ্য অঙ্গীকার করে,—“আমি করিব না’ । শেষে গুরু কহেন,—“বল, তুমি সত্য, তোমার বাকা সত্য । শিষ্য তখন এই বলিয়া মন্ত্রগ্রহণ করে,—“তুমি সত্য, তোমার বাক্য সত্য’ । মন্ত্রদান করা হইলে গুরু এই কথা বলিয়া দেন যে,—আমার অনুমতি ভিন্ন তুই এ নাম আৰু কাহাকে বলিস নে । ক্রমে শিষ্যের মনে প্রগাঢ় ভক্তি জন্মিলে গুরু এই রূপ উপদেশ করেন,—“কৰ্ত্তা আউলে মহাপ্রভু, আমি তোমার সুথে চলি ফিরি, তিলাৰ্দ্ধ তোমাছাড়া নকি, আমি তোমার সঙ্গে আছি, দোহাই মহাপ্রভু’ । আউলেচাদ মহাপ্রভু দশটা পাপকৰ্ম্ম নিষেধ করিয়৷ গিয়াছেন । সেই দশটা পাপ কৰ্ম্ম এক্ট,— তিনটা শারীরিক পাপকৰ্ম্ম—পরস্ত্রীগমন, পরদ্র ব্য অপহরণ এবং প্রাণিহত্য করা । তিকট মানসিক পাপ—পরস্ত্রীগমনের ইচ্ছ, পরের দ্রব্য অপহরণের ইচ্ছা এবং পরের প্রাণনাশ করিবার ইচ্ছা । চারিটী বাচনিক পাপ—মিথ্যা কথা বলা, কটুবাক্য প্রয়োগ, অনর্থক বাক্য বলা এবং প্রলপি বাক্য বল ।