পাতা:বিশ্বকোষ দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আফগনস্থান সে কারণ ইংরাজেয়। পুনৰ্ব্বার কাবুলে গিয়। অনেক যুদ্ধের পর যাকুব খাকে ভারতবর্ষে পাঠাইয়। দিয়া, ১৮৮০ সালের ২২ জুলাই আবদর রহমন খাকে আমিরের পদে অভিধিক্ত করিয়াছেন । প্রজাদের কোন বিষয়ের বিচার করিতে হইলে গ্রামের লোকেয়। একটা মত স্থির করিয়া পঞ্চায়তের কাছে তাহ পাঠাইয়া দেয় । পঞ্চায়তেরা তাহার পুনবির্বচার করিয়া স্বসম্প্রদায়ের সভার কাছে তাহ প্রেরণ করেন । এই সভায় বিচারের সময়ে মহা হুলুস্থল ব্যাপার পড়িয়া যায়। বিস্তর বাগবিতণ্ডার পরে বিচারের শেষ নিম্পত্তি হয়। কাজি এবং মুফতির পল্লীগ্রামের বিচার করিয়া থাকেন । মুসলমানদের আইন অনুসারেই বিচার করিবার পদ্ধতি আছে; কিন্তু কাজের সময়ে প্রায় তাহ ঘটিয় উঠে না । প্রচলিত দেশাচার দে থিয়াই অনেক বিযয়ের নিম্পত্তি হয় । এখানে ননবাতি নামে একটা চমৎকার নিরম আছে । কোন cলাক অন্তের গৃহে প্রবেশ করিয়া কিছু প্রার্থনা করিলে গৃহস্থকে অভ্যাগত ব্যক্তির আশ্য তৎক্ষণাৎ পূরণ করিতে হয় । ইহা দেয় একবার কেহ অপকার করিলে পুরুষানুক্রমে তাহ। মনে করিয়া রাখে। মনের মত করিয়া প্রতিহিংসা না লইতে পারিলে ক্রোধের শান্তি る羽 みT1 I আফগনস্থানে যাহার প্রকৃত পাঠান নাচে তাহাদের চলিত ভাষা পারস্ত । আফগনদের ভাষা পুষ্ট । * ত' : পারস্ত মিশ্রিত । • ১৮৫৭ সালে আফগনস্থানের রাজস্ব প্রায় ৪,০ • ০,০ ০০ টাকা ছিল । ১৮৬৩ সালে রাজস্বের পরিমাণ ৭.১০০,০০০ টাকা হইয়াউঠে । ১৮৭৯ সালে ৭,৩৩০,০০০ টাকা রাজস্ব হয় । ১৮৮৯ সালে যাকুব খা, মেজর বিদলফকে বলিয়াছিলেন যে, মোট ১৫,০০০,০০০ টাক। রাজস্ব আদার হইয়া থাকে । আফগনস্থানের রাজস্ব বৎসর বৎসর বৃদ্ধি হইতেছে, কিম্বা পূর্বের আমিররা ঠিক হিসাব দিতে পারেন নাই, তাহা বলা যায় না । জমির ফসলের উপর কর নির্দিষ্ট আছে । আবার বাগত জমির কর পৃথক । টাকশাল, শুল্প, জরিমানা, গুনাহগারী, বাটীর কর, ছাইড় পত্রের কর প্রভৃতি নানা বিষয়ে রাজস্ব আদায় করা হয় । ১৮৫৮ সালে আমিরের ১৬ ষোল পণ্টন ( ৮০০ ফৌজ ) পদাতিক, ৩ তিন পণ্টন (৩• • ফৌজ ) তুরুক [ ૨૦ ] Съ: ) আফণপন্থী সোয়ার, প্রায় ৮০ টা ক্ষুদ্র কামান এবং অ.র কয়েকটা বড় কামান ছিল । আজি কালি পূর্বের চেয়ে সৈন্ত সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি করা হইয়াছে । আফলোদয়কৰ্ম্ম (ত্রি) ফলোদয়পৰ্য্যন্তং কৰ্ম্ম যন্ত । বহুব্রী। যে পর্য্যন্ত না ফললাভ হর সে কাল পর্য্যন্ত যে কৰ্ম্ম করে । অধ্যবসায়শীল । আফ। ( দেশজ ) জনশ্রুতি । যেমন—এটা আফ মাত্র । মাছ ধরিবার আড়া কল । আফাপন্থী। আপাপন্থী । একশত বৎসরের অধিক হইযে ন। এই সম্প্রদায়ের স্বষ্টি হইয়াছে। অাফাপন্থীরা এক প্রকার রামায়াত, তাহার সঙ্গে কতকটা বাউলের আচায় ব্যবহার মিশানে। অাছে, আবার মধ্যে মধ্যে একটু মুসলমানী গন্ধও পাওয়া যায়। কোন জ্ঞানবান ব্যক্তি এই পন্থী প্রথম স্বষ্টি করিলে আমরা বলিতাম যে, ইহা হিন্দু , ও মুসলমান ধৰ্ম্মের সমম্বয় করিবার চেষ্টা ভিন্ন অণর কিছুই নয়। আফপেন্থী, সৎনামী এবং পণ্ট দাসীদের ব্যবহার প্রায় এক রকম । একশত বৎসরের কম হইবে মোল্লারপুর জেলায় মুন্নাদাস নামে একজন স্বর্ণকার ছিলেন । তিনিই এই পন্থীর স্বষ্টি কৰ্ত্ত । অবোধ্যার পশ্চিমে মাড়ব। গ্রামে তাহার গাদী আছে । মুন্ন। দাসের শিষ্যেয় নাম গুঙ্গদাস, গুঙ্গদ ৰুন্ধর শিষ্য ভগন দাস । প্রতিবৎসর অগ্রহ।য়ণ মাসে মাড়ব। গ্রামে একটা মেলা হয় । সেই দিন গুরু কুণ্ডে স্নান করিবার নিমিত্ত অনেক শিষ্য তথায় আসিয়। গা দীর মোহাস্তকে প্রণামী দেয় । মুন্নাদাস কাহার নিকট শিষ্য হন নাই, মনই র্তাহার গুরু । এই রূপ একটা গাথ চলিত আছে— য়ামামুঞ্জকে ফোজমে বার। গাড়ী পোল । আফণপন্থী মনমুখী ফিরে টেলে টোল । রামামুজের সৈন্ত মধ্যে অনেকগুলি ভাঙ্গা গাড়া আছে । মন্‌মুখী আফাপন্থী গলিতে গলিতে ফিরিয়। বেড়ায় । এখানে মনমুখী শব্দ হইতেই এই সম্প্রদায়ের গুরুর বেশ পরিচয় পাওয়৷ যাইতেছে । যিনি অন্ত কাহাকে গুরু বলিয়া মানেন না, আপনার মন বুঝিয় কাজ করেন, তিনিই মনমুখী । মুন্নাদাস প্রথমে তাহাই করিয়াছিলেন, তিনি আপনার মনের কাছে উপদেশ লইয়াছিলেন, উপদেশ লইয়। তাহার পর এই মত প্রচার করেন । কিন্তু ইহার ভিতরে একটা কথা আছে,