পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بينما ، به

সঙ্গে সেবন করিবে । আস্ত্রের মোরব্বাও খাইতে কতকটা সুস্বাদু। কিন্তু ইহাতে বিলক্ষণ কোষ্ঠগুদ্ধি রাখে। যে অাবে আদৌ আঁশ নাই এবং পাকিলে কঠিন থাকে, তাহা বড় বড় করিয়া কাটিয়া প্রথমে য়ুতে অল্প ভাজিয়া লইবে । পরে তাহা মিশ্রির রসের মত গাঢ় চিনির রসে ফেলিয়া ভাঁড়ে তুলিয়ারাধিৰে। আঁবের মোরব্বা অধিক দিন থাকেন। আমাদের বঙ্গদেশের অনেক স্থানে অর্ণবের ষে আচার প্রস্তুত হয় তাহাকে কাসুন্দী কহে । ইহা প্রস্তুত করিবার প্রণালী এই,—প্রথমে সরিষা ও হরিদ্র উত্তম, রূপে ধৌত করিয়া শুষ্ক কৱিবে । শুষ্ক হইলে ঐ দুই দ্রব্যের হুক্ষচুর্ণ করিয়া লইবে। তাহার পর অপক আস্ত্র ১০ সের, উপরের ত্বক্ এবং ভিতরের কলী ফেলিয়া খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিবে। পাকা তেঁতুল ৩ সের, অর্ণটি কাটিয়া ফেলিবে। তাহার পর সরিষা চূৰ্ণ২সের এবং হরিদ্র অৰ্দ্ধ সের, আম্র ও তেঁতুলের সঙ্গে একত্র টেকিতে কুটিবে। কুট্টিত হইলে তাহা হাড়ীর ভিতর তুলিয়৷ রাখিবে। চারি দিন পরে আবার উহার সঙ্গে পূৰ্ব্ববৎ ১০ সের আম্র ও ৩ সের তেঁতুল কুটিবে। এক সপ্তাহ পরে পুনৰ্ব্বার উহার সঙ্গে পূৰ্ব্ববৎ ১০ সের আম্র ও ৩ সের তেঁতুল ও ২০ সের লবণ একত্র কুটিয়া উত্তমরূপে ঠালিয়া মিশ্রিত করিবে। এই আচার হাড়ীর ভিতরে পূরিয়া তাহার মুখ বদ্ধ করিয়া রাখিবে । মধ্যে মধ্যে রৌদ্রে দিলে ইহা পচিয়া যায় না । ইহা মুখরোচক ও আগ্নেয় । ইহাতে অল্পের ব্যঞ্জন পাক করিলে তাহ। থাইতে বেশ সুস্বাদু হয়। বাঙ্গালার স্থান বিশেষে আরও অন্যান্য অনেক প্রকার কাসুন্দী প্রস্তুত হয়। পশ্চিম দেশের আচারও থাইতে রুচিকর। তাহ এই রূপে প্রস্তুত করিতে হয়। অর্ণবের ভিতরে বাকড়া বাধিলে এক একটা আমকে চারি খণ্ড করিয়া কাটিবে। তাহার ভিতরের অৰ্দ্ধখণ্ডের কর্মী ফেলিয়া দিবে, অৰ্দ্ধেক কসী রাখিবে। পরে পাথরের পাত্রে সেই সকল আস্ত্রে উত্তম রূপে সৈন্ধব লবণ মাথাইয়। রৌদ্রে দিবে। জল নিঃস্থত হইলে তাহা গালিয়া ফেলিবে। এই প্রক্রিয়া তিন দিন করিতে হয়। শেষে ঘোটাই, ছোট মেধী, কৃষ্ণজীরে, মৌরী এবং লঙ্কা অৰ্দ্ধ কুট্টিত, কতকগুলি লঙ্কা সমগ্রও রাখিবে,–এই সমস্ত মসলা অম্বুমান অৰ্দ্ধ তোলা প্রত্যেক আস্ত্রের ভিতরে প্রবেশ করাইয়া খাটী সরিষার তৈলে জীবগুলি ভিজাইয়। রাখিবে এবং जय [હ૦૬ ] - ཨ་གྲྭ་ তাহার উপরেও কিঞ্চিৎ ঐ সকল মসলা এবং সৈন্ধব লবণ ছড়াইয়া দিবে। তাহার পর স্থাড়ীর মুখ বদ্ধ করিয়া রাখিবে। মধ্যে মধ্যে ইহা রৌদ্রে দেওরা আবशक । किफू नि भाद्र आच्च छग्नि ८श्रप्श आझाङ्ग egष्ठ इग्न ! তারতবর্ষই আস্ত্রের জন্ম স্থান। ইহা গ্রীয় প্রধান দেশের গাছ, শীত প্রধান দেশে অর্ণব গাছ জন্মে না । অল্প লবণাক্ত সরস মুক্তিকাতে অীব গাছ অধিক তেজ করে ; নীরস বেলে ও কাকুরে মাটীতেও ইহা জন্মিয়৷ থাকে। অর্ণটির চারী, গুলকলম এবং যোড়কলম এই তিন প্রকারে অণবের গাছ রোপণ করা হয়। পূৰ্ব্বে এ দেশে অর্ণটি পুতিয়াই সকলে অীব গাছ করিত। তাহার পর ইউরোপীয়দের নিকটে আমরা কলম করিতে শিখিয়াছি। অর্ণটির গাছ বিলক্ষণ বড় ও সতেজ হয়, কলমের গাছ তাদৃশ বড় ও তেজস্কর হয় না। ভাঙ্গা প্রাচীরের মাটী এবং শুষ্ক পাক মাটী আম গাছের গোড়ায় দিলে গাছ অধিক তেজ করিয়া উঠে। ডাক পুরুষের বচন আছে,—‘গোয়ে গোবর, আমে মাটা । নারিকেলের শিকড় কাটি’ । আমাদের নিম্ন বঙ্গে পৌষ মাসের শেষে আমের মুকুল বাহির হইতে আরম্ভ হয় ; মাঘ মাসে কোন গাছে মুকুল বাহির হইতে বাকি থাকে না। মুকুল ফুটিলে তাহাতে বৃষ্টির জল লাগিলে বীজকোষ জলিরা যায় সুতরাং আর ফল ধরে না । মাঘ মাসের শেষে এবং ফাল্গুন মাসে ছোট ছোট অাম ধরে। তাহাকে আমরা কড়েয়া বলি। কোন কোন স্থানের লোক তাহাকে গুটী কহে । জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষে প্রায় সমস্ত অর্ণব পাকিয়া যায়। কিন্তু ভগলপুর, মালদহ হইতে পশ্চিমের । সকল স্থানে মাঘ ফাল্গুন মাসে মুকুল ধরে এবং আষাঢ় মাসে অাব পাকিতে আরম্ভ হয় । মিথিলার অন্তর্গত মংরাউনীতে কবি কালিদাস জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং তিনি মালবদেশে থাকিতেন। মেঘদূতে আযাঢ় মাস এবং সেই সময়ে আম্র স্বপক্ক হইয়াছিল, ইহ। উল্লিখিত হইয়াছে। অতএব ঐ দুই স্থানের যে খানেই তিনি মেঘদূত রচনা করিরা থাকুন, আষাঢ় মাসে তথায় আম্র পরিপক্ষ হইয়া থাকে। ছন্নোপাস্তু: পরিণত ফলদ্যোতিভিঃ কাননাম্রৈঃ । পুং মে• ১৮। ইহাতে মল্লিনাথ লিখিয়াছেন,আষাঢ়ে বনচুতাঃ ফলস্তি পচ্যন্তে চ মেঘবাতেন ইত্যাশয়ঃ। ইহাতে এই রূপ সন্দেহ হইতে