পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e: চালাধোব। [ চাসারা অনেকেই বৈষ্ণব সম্প্রদায়ভুক্ত। ইহাদের পুরোহিতগণ বর্ণব্রাহ্মণ । ইহারা মৃতদেহের অগ্নিসৎকার করে, কখন কখন সমাধিও করিয়া থাকে। সমাধি দিবার সময় শবের সহিত অল্প ও ফলাদি পুতিয়া ফেলে। অগ্নিসৎকার করিলে কখন ঐ ভষ্ম পুতিয়া ফেলে, কখন বা গঙ্গাজলে দিবার জন্য কলসে রাখিয়া দেয় । শ্রাদ্ধাদি হিন্দুনিয়মে সম্পন্ন হয়। ठांगांद्र श्रशिकांश्श्रहे क्लशिखैौरी ५वर हेशहे उांशक्षिाशद्भ জাতিগত ব্যবসা । তবে অতি অল্প লোকই বাণিজ্য ও চাকরি করে। চাকরগণ অনেকে চাকরাণু জমি ভোগ করে, অপরে বেতনভোগী ভৃত্য। সমাজে ইহারা মালিদিগের নিম্ন ও জলাচরণীয় । ইহার ব্রাহ্মণ ব্যতীত অপর কাহারও গৃহে ভাত খায় না । বন্ত বরাহের মাংস এবং শালমাছ ব্যতীত অপর সকল মাছই ইহাদের আহাৰ্য্য। চাসাধোবা, বাঙ্গালার কৃষি ও বাণিজ্যোপজীবী জাতিবিশেষ। কেহ কেহ শিল্প ও গৃহনিৰ্ম্মাণাদিও করিয়া থাকে। চাসধোবারা বলিয়া থাকে যে, তাহারা বৈশ্র্যের ঔরসে ও বৈদেহকস্তার গর্ভে উৎপন্ন। আরও বলে যে—সচরাচর চাসাধোবার কৃষিকাৰ্য্যাবলম্বী ধোবা অর্থাৎ রজক বলিয়া যেরূপ অর্থ করা হয়, তাহ সম্পূর্ণ ভ্ৰমাত্মক, প্রকৃত অর্থ চাস অর্থাৎ কৃষি, তাহার ধব অর্থাৎ স্বামী, অর্থাৎ চাসজমির অধিকারী। ইহাদের উৎপত্তিবিষয়ক আরও একটী গল্প আছে। তাহ এই—“একদিন ব্রহ্মার ধোপানী মলিনবসনাদি লইবার জন্য পুত্রসহ ব্ৰহ্মলোকে উপস্থিত হইল। পিতামহ তৎকালে নানাকার্য্যে ব্যস্ত থাকায় পুত্রকে অপেক্ষা করিতে রাখিয়া ধোপানীকে যাইতে বলিলেন। বালক কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিয়া বাড়ী চলিয়া আসিল । ইত্যবসরে ব্রহ্মা মলিন বস্ত্র সমুদয় লইয়৷ সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন এবং ধোপানীর পুত্রকে ন৷ দেখিয়া ভাবিলেন, হয়ত কোন অসুর তাহাকে গ্রাস করিস্বাছে। যাহা হউক, ধোপানীকে সাস্থনা করিবার নিমিত্ত তিনি তাহার পুত্রের অনুরূপ একটা বালক সৃষ্টি করিলেন । এমন সময়ে ধোপানী যথাপুৰ্ব্ব নিজ পুত্র সমভিব্যাহারে তথায় আগমন করিল। ব্ৰহ্মা আপনার ভ্রম বুঝিতে পারিয়া মহাবিত্রত হইলেন, অবশেষে তাহার সৃষ্ট পুত্ৰটী ধোপানীকে দিয়া বলিলেন, ইহাকে পালন করিবে আর এই পুত্র দেব হইতে উৎপন্ন হইয়াছে, সুতরাং বস্ত্রাদি ধৌতকরণ প্রভৃতি নীচ কাৰ্য্য করিবে না, কৃষিকাৰ্য্যই ইহার উপजैौतिक रुहेरद ।” शांझ झडेय ५ हेक्रश्न ८*ोद्भदङनक किञ्चनखैौ থাকিলেও চাসাধোবাদিগের কতিপয় লোকের সামাজিক २१8 } চাসাধোবা ¤à: too অবস্থা দেখিয়া কেহ কেহ ইহাদিগকে দ্রাবিড়ীয় বংশোদ্ভব বলিয়া অনুমান করেন। সম্ভৱতঃ ইহার ধোবারই এক শাখা, কৃষিকাৰ্য্যাদি উচ্চ-বৃত্তি অবলম্বন করিয়া এক্ষপে আর ধোৰা অর্থাৎ রজক বলিয়া পরিচয় দিতে চাহে না । চাসাধোবাদিগের তিন শ্রেণী অাছে। যথা—উত্তররাঢ়ী, দক্ষিণয়াদী ও বারেন্দ্র। ব্রাহ্মণ, কায়স্থ প্রভৃতি উচ্চজাতির শ্রেণী বিভাগের কায় ঐ বিভাগ আদি বাসস্থানপরিচায়ক। চাসাধোৰাদিগের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে জাহারাদি হয়, কিন্তু কত আদান প্রদান চলে না। ইহাদের মধ্যে অলিমান, জাতুলঋষি, বাঘঋষি, বৃহৎবট, ধৰলঋষি, কাণ্ডপ ও শাগুিল্য এই কয়ট গোত্র আছে। কোন গোত্রের লোক নিজ গোত্রে বিবাহ করিতে পারে না, কিন্তু মাতার গোত্রে বিবাহ করিতে পারে। ইহাদের মধ্যে আরও দুই বিভাগ আছে—যথা কুলীন ও মৌলিক । কুলীনগণ কুলীন কিম্বা মৌলিক উভয় শ্রেণীতেই বিবাহ করিতে পারে, কিন্তু মৌলিকগণ নিজ শ্রেণী ভিন্ন কুলীন শ্রেণীতে বিবাহ করিতে পারে না । এই জন্য মৌলিকগণের বিবাহ অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়, কারণ সকলেই কুলীনদিগকে কষ্ঠ দান করিতে উৎসুক । বহুবিবাহ নিষিদ্ধ, কিন্তু স্ত্রী বন্ধ্যা বা তাহার অসাধ্য রোগ থাকিলে স্বামী পুনৰ্ব্বার বিবাহ করিতে পারে । স্ত্রী অসতী হইলে স্বামী তাহাকে পরিত্যাগ করে এবং প্রায়শ্চিত্ত, ব্রাহ্মণভোজন, কুটুম্বভোজন ও সত্যনারায়ণের পুজাদি করিয়া পাপমুক্ত হয়। চাসাধোবাদের অধিকাংশ বৈষ্ণবসম্প্রদায় ভুক্ত, অতি অল্পসংখ্যক লোকই শাক্ত। ইহাদের মধ্যে একজনও শৈব নাই । বৈষ্ণবমতাবলম্বীগণ মাংস ভোজন করে না, কিন্তু মৎস্ত ধাইয়া থাকে। কৃষিব্যবসায়ীগণ লক্ষ্মীদেবীর পূজা করে, আবার শিল্পব্যবসায়ী চাসাধোবার বিশ্বকৰ্ম্মার পূজা করিয়া থাকে। ইহাদের পুরোহিতগণ বর্ণব্রাহ্মণ মধ্যে গণ্য । বঙ্গসমাজে চাসাধোৰাদিগের স্থান ধোবা হইতে উচ্চ নছে, সকলে ইহাদিগকে ধোবাদিগের সমানই বিবেচনা করে। ইহাতেও ইহাদের অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যা দেখিয়া সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে যে, অল্পদিনই এই জাতির উৎপত্তি হইয়া থাকিবে । কেননা এই জাতি প্রাচীন হইলে সম্ভবতঃ বস্ত্রধৌতকরণরূপ নিকৃষ্ট বৃত্তি পরিত্যাগ ও কৃষিরূপ উচ্চতর উপজীবিকাবলম্বন জন্য ইহার এতদিন সমাজে উচ্চস্থান অধিকার করিত। ইহার শুড়ী, ধীবর ও কৈবর্বদিগের স্থায় অস্ত্যজশ্রেণী মধ্যে পরিগণিত। ইহার জলচরণীয় নহে। ইহাদের অনেকে ভূমিসম্পত্তি করিয়া