পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fছট [ ৫২৯ ] - झिल्ले বিলাতী ছিট ছাপিবার প্রণালী সাধারণতঃ চারি প্রকার। ১,কাঠুলিপিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছাপ দিয়া হস্তম্বারা ছাপান। ২, কতকগুলি ছাপ একটী ফ্রেমে বন্ধ করিয়া কলে ছাপান । ৩, গম, তল তামার ছাপ | s, তামার দণ্ডাকার ছাপ। প্রথম প্রকার ছাপা এদেশের ছাপার ছায়। এখন বিলাতে উহা অল্পই প্রচলিত। তবে যেখানে অতি স্বক্ষ কাৰ্য্যের প্রয়োজন, সেই সকল স্থলেই মিহি কাপড়ের উপর হাতে ছাপ দিয়া ছিট প্রস্তুত হয় । দ্বিতীয় প্রণালী,বিস্তৃতভাবে প্রচলিত। তৃতীয় প্রকার এখন আর বড় প্রচলিত নাই। চতুর্থ প্রকারই সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট এবং যুরোপ ও আমেরিকার সকল বৃহৎ ছিটের কারখানায় প্রচলিত। ইহার স্থল প্রণালী এইরূপ— একটা স্তস্তাঙ্কতি ঘূর্ণমান ধুরমুসের (Press-roller) চারিদিকে ছিটের বর্ণ সংখ্যাকুসারে দুই চারি বা ততোধিক খোদিত তামার চোঙ্গ লাগান থাকে, খুরমুসে ছাপ থাকে না। ইহ কেবল চাপ দিয়া কাপড়ে ছাপ লাগায়। এই সুরমুস ও চোঙ্গাসকলের দৈর্ঘ্য সচরাচর ৩ ফিট। বাষ্পীয় কুলে ধুরমুস ও তামার চোঙ্গা সকল ঘূরিতে থাকে, কাপড় ঐ ধুরমুসও প্রত্যেক চোঙ্গার মধ্য দিয়া আসিবার কালে অতি বিশদরূপে প্রত্যেক চোঙ্গ দ্বারা এক এক ধাতু মরিচ বা বর্ণে যথাস্থানে ছাপা হইয়া বাহির হয়। একবারে ১৯১২টী .তামার চোঙ্গ লাগাইয়া ১০।১২ প্রকার রঙ্গের ছিট ছাপিবার কলও প্রস্তুত হইয়াছে, তবে সচরাচর ৩৪টা রঙ্গের ছিটই অধিক ছাপা হয় । এইরূপ একটী কলে অতি অল্পমাত্র পরিশ্রমে ২৮ গজ পর্য্যস্ত ছিট ৩৪টা বর্ণে সুন্দররাপে ছাপা হইতে পারে। সুতরাং প্রায় ১ মাইল দীর্ঘ কাপড় এক ঘণ্টণর মধ্যেই ছাপা হইয়া যায়। ভিন্ন ভিন্ন কতকগুলি রুল দিয়া ঐ সকল তামার চোঙ্গায় কলেই রং বা মরিচ মাথান যায়, সুতরাং ছাপা অবিশ্রাস্ত চলিতে থাকে। পৃথক্ পৃথক থানের মুখে সেলাই করিয়া এক খণ্ড করা হয় । ঐ সুদীর্ঘ কাপড় একটা দওে গুটান থাকে । ছাপার সময় উহার এক প্রান্তু কলে ধরিয়া দেয় । একটী ৩ ইঞ্চি দীর্ঘ এক বা ২ ইঞ্চ ব্যাসবিশিষ্ট ইস্পাতের ছাঁচ দিয়া বাষ্পীয় কলের ভীষণ চাপে অপেক্ষাকৃত কোমল তামার চোঙ্গায় যথেচ্ছ ফুল কাটা হয় । এ পর্য্যস্ত আমরা কেবল ছিটের যান্ত্রিক ছাপার বিষয় বর্ণনা করিলাম, অতঃপর রাসায়নিক প্রণালীতে কিরূপে উহার বর্ণ পাক করা হয়, তাহাই সংক্ষেপে বর্ণনা করিব । সচরাচর বিলাতে ছিটের বর্ণ পাঁচ প্রকারে পাকা করা হয় । ১ । প্রথমে রঙ শোষণকারী ধাতু-মরিচ দ্বারা বস্ত্রে ছাপ দিয়া পরে ঐ কাপড় রঙের জলে ডুবাইয়া লইলে ছাপ পাকা হইয়া যায়। WI るS)● 黜 - «.............х. --- ২ । সমস্ত কাপড়ে একরূপ পাক য়ং করিয়া পরে রাসা- , ল্পনিক উপায়ে উছাতে সাদা ও ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের ফুল তোলা शांग्न । झब्राजैौ भाऊँी थङ्गङि ५ हेक्रप्श्रहे थखण्ठ रुन्न । ৩ । কাপড়ে বর্ণপ্রতিরোধক কোন গ্রব্যাদি দ্বারা ছাপ দিয়া পরে রঙের জলে ডুবাইলে ছাপ দেওয়া স্থানগুলি শাদ থাকিয়া যায় । নীল রঙের অনেক ছিট এইরূপেই প্রস্তুত হয়। ৪ । রঙ্গ ও মরিচ একত্র বস্ত্রে ছাপ দিয়া বাম্পের তাপে পাকা করা হয়। ৫ । নাইট্রোমিউরিয়েটু অব টিন নামক রাঙ্গের লবণযোগে কাপড়ে রঙ দিলে উহার বর্ণ উজ্জ্বল হয় ; কিন্তু এই প্রকার ছিটের রঙ অস্থায়ী। - ফটকিরি, লোহা ও রাঙ্গ এই তিনটা দ্রব্যই রঙ পাক৷ করিবার প্রধান উপায়। ফটকিরি অ্যাসিটেট্ অব আলুমিন অবস্থায়, লৌহ অ্যাসিটেটু অব আয়রন ও রাঙ্গ নাইট্রোমি উরিয়েটু, অক্সিমিউরিয়েটু অথবা পারক্লোরাইড্‌ অব টন অবস্থায় ব্যবহৃত হয় । এসিটিক্‌ এসিডের গুণ এই যে উহা ঐ ধাতু মরিচ সকলকে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত করে, কিন্তু বস্ত্রে সংলগ্ন হইলে অতি সহজেই পৃথক হইয়া যায়, তখন মরিচ সকল অদ্রবণীয় অবস্থায় কাপড়ে সংলগ্ন থাকে । অথচ এই অন্ন বস্ত্রের কোন অনিষ্ট করে না । অন্তান্ত অম্ল মরিচ সকল দ্রব করিতে পারে বটে, কিন্তু উহার উগ্র ক্রিয়া উৎপাদন করে বলিয়া বস্ত্রের সুত্র শিথিল হইয় পড়ে । ফটকিরি হইতে রঙের জল করিতে নানারূপ দ্রব্য ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে ব্যবহৃত হয় । আমরা এস্থানে গোটকিয়েক মাত্র উল্লেখ করিব । বস্তুতঃ উহাদের সকলেরই মূল এক । ফুটন্তু গরম জল—২৫ • সের। ফটকিরি—৫০ সের। দানাদার সোড়া-২ ও সের । *A*rodi (Acetate of lead ) 04: Go | প্রথমে গরম জলে ফটকিরি দ্রব করিয়া উহাতে ক্রমে ক্রমে সোড যোগ করিতে হইবে । জল উথলিয়া উঠিয়া স্থির হইলে পর উত্তমরূপে চূর্ণ করা সমস্ত সীসশর্কর একবারে ঢালিয়া দিয়া ছাতাম্বারা ক্রমাগত নাড়িতে হইবে । কিছু ক্ষণ রাখিলে সীস প্রভৃতি অদ্রবণীয় অবস্থায় নীচে পড়িয়া যাইবে । উপরের স্থির জল ফুটাইয়া ও আঠাম্বারা ঘন করিলেই লাল রঙের মসলা প্রস্তুত হয়। এই জলে কিয়ৎ পরিমাণে ফটকিরি অপরিবর্তিতভাবে থাকিয়া যায়, সমস্ত ফটকিরি পরিবর্জিত করিতে হইলে সীসশর্করা ৮২ সের দিতে হয়। ১• • ভাগ ফটকিরি জলে দ্রব করিয়া উহার সহিত ১৫০