পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ष्ट्रेि § শেষোক্ত প্রকায় ছাপ দেওয়া রঙ শুকাইলে পাক হইয়া যায় । প্রথম উপায় শালু, খেরায় প্রভৃতি প্রস্তুত করিতেই প্রশস্ত। ইহাতে ভিন্ন ভিন্ন মসলা দ্বারা কাপড়ে ছাপ দিয়া একই রঙে ডুবাইলে ছাপ দেওয়া স্থানগুলি ভিন্ন ৰণে রঞ্জিত হয় । ছাপ সকল সচরাচর মিছি দৃঢ় কাঠেই প্রস্তুত হইয়া থাকে। দেশীয় ছিটওয়ালাগণ তেঁতুল ও কঁঠাল প্রভৃতি কাঠ ব্যবহার করে। পূৰ্ব্বোক্ত উপায়ে কাপড় ধৌত ও পরিষ্কার ও চিঙ্কণ করা হইলে উহাতে ছাপ দেওয়া হয়। ছাপ দিবার মসলা রঙ, অনুসারে নানাপ্রকার । কাল বর্ণের ছিট করিতে লৌহ, লালবর্ণের ছিট ফটকিরি বা রাঙ্গ, নীলবৰ্ণ করিতে তামা, । এইরূপ নানাপ্রকার ধাতুর মরিচ ব্যবহৃত হয় । এই সকল | মরিচ সির্কাম বা তদ্রুপ কোন জব্যে দ্রব করিয়া শিরীষ বা গদবোগে ঘন করিয়া তৎপরে ছাপ দিলে কাপড়ে লাগিয়া যায়। এদেশীয় রঙ করেরা বড় বড় জালায় জল ও গুড় একত্র গুলিয়া উহাতে লোহার টুকরা ফেলিয়া রাখে। গুড়-জল ক্রমে সির্কাম ও এসিটিক এসিডে পরিণত হইয়া লোহাকে দ্রব করিতে থাকে । এইরূপ ২৩ মাস রাখিয়া ঐ জল ছাকিয়া উহাতে কিছু তুতে মিশাইয়া দেয় এবং ময়দা অথবা গদ যোগে ঘন করিয়া ছাপ দেয়। ছাপার পর দুই তিন দিন রাখিয়া দিলে ধাতুমরিচ কাপড়ে লাগিয়া যায়। তখন ঐ কাপড় পুষ্করিণী, নদী প্রভূতির জলে ধৌত করিয়া বকম, আতৈচ, মঞ্জিষ্ঠ প্রভৃতির জলে কিছুক্ষণ ফুটাইলে ছাপ দেওয়া রঙ পাকা হইয়া যায়। তারপর উহা পুনরায় পুষ্করিণী বা নদীর জলে ধৌত্ত করিয়া সাবান বা ক্ষার জলে কাচিয়া লইলে ছাপ ভিন্ন অন্ত সমস্ত স্থানের রঙ উঠিয়া যায়। যদি কাপড়ে ভিন্ন ভিন্ন ধাতুর মরিচ দ্বারা ছাপ দেওয়া থাকে, তাছা হইলে একরূপ রঙে ছাপাইলেও কাপড়ে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের পাকা ছিট হয়। যদি কাপড়ে লৌহ ও ফটকিরির ছাপ থাকে, তবে বকম কাঠের রঙে ডুবাইলে লৌহছাপযুক্ত স্থান কৃষ্ণ ও ফটকিরি ছাপযুক্ত স্থানে লোহিত বর্ণ হইবে । লৌহ ও ফটকিরি মিশাইয়া ছাপ দিলে উহা ধূমলবৰ্ণ হইবে। নামাবলী প্রভৃতি এই নিয়মেই ছাপা হয়। চুনী কাপড় নামে আর একরূপ ছিট প্রায় সকল স্থানেই প্রস্তুত হয়। উহার প্রস্তুত প্রণালী এইরূপ। প্রথমে কাপড় তিজাইয় তাহার স্থানে স্থানে খুব শক্ত করিয়া বাধিতে হয়। ঐ কাপড় রঙের জলে ডুবাইলে বাধা স্থান ব্যতীত অপর সকল স্থানেই রঙ লাগে। তাছার পর নিংড়াইয়া র্যাধন খুলিয়া শুখাইলেই চুনী হইল। ইহাতে রঙ্গিন কাপড়ে কেৰল সাদা চিহ্ন হয়। কাপড় ও ফুল উভয়ই রঙ্গিন করিতে [ ¢२१ } f ੇ হইলে প্রথমে সমস্ত কাপড়কে একটা রঙে জুৰাইয়া তারপর বাধিয়া পুনরায় অষ্ঠ রঙে ছোপাইলে কাপড় ও ফুল উভয়ই রঙ্গিন হয়। প্রথমে কাপড়কে হলদে রঙে ছোপাইরা পরে গাট বাধিয়া লালরঙে ছোপাইলে লাল কাপড়ে হলদে ফুল হয় । কলিকাতার রঙ্গদারগণ এই উপায়েই চুনী করিয়া থাকে। সোণালী ও রূপালী ছিটও কলিকাতায় প্রস্তুত হইতেছে। কাপড়ে রং করিবার পর উহাতে গদ বা অন্য কোনরূপ আঠার ছাপ দিয়া ঐ সকল স্থানে নকল সোণ বা রূপার পাতা বসাইয়৷ দিলেই সোণালী বা রূপালী ছিট প্রস্তুত হয়। সচরাচর গাঢ় বেগুণে জমিতে সোণালী ও রক্তবর্ণ জমিতে রূপালী পাতা বসান হয়। এরূপ ছিটু দেখিতে সুন্দর ও জরির কাজ করা বহুমূল্য বস্ত্রের স্তায় । এখন ৰাঙ্গালাদেশে অতি অল্প পরিমাণই ছিট প্রস্তুত হইতেছে। আবার ঐ সকল ছিট প্রস্তুতকারিগণের প্রায় সকলেই বেহার ও উত্তরপশ্চিমপ্রদেশবাসী । ইহাদের লোক কলিকাতায় বাস করে। কলিকাতা ব্যতীত পাটনা, দ্বারভাঙ্গ৷ ও সারণ জেলায় অল্পবিস্তর ছিট প্রস্তুত হইয় থাকে। ঐ সকল স্থানের ছিটকরগণ একবারে পাকা রঙের মসলা দিয়া ছিট ছাপিয়া থাকে, কিন্তু কলিকাতার ছিটকরগণ কাপড় ছাপিয়া পুনরায় উহ কষায় জলে সিদ্ধ করে। এজন্ত কলি কাতায় ছাপা কাপড় একটু লালচে দেখায়। উত্তরপশ্চিম প্রদেশে প্রায় প্রত্যেক নগরেই অল্প বিস্তর ছিট প্রস্তুত হইতেছে । লক্ষেী নগরে সচরাচর বিলাতী কাপড়েই ছিট প্রস্বত হয়। কনৌজ ও ফরকাবাদে দেশী মোটা কাপড়ে গজি, জোড়, ধুতি জোড়া প্রভৃতি ছিট প্রস্তুত হয় । ব্যবহার ও বস্ত্রাদির প্রকারভেদে তথায় ছিট সকলের নানারূপ নাম হইয়া থাকে । তন্মধ্যে নিম্নলিখিতগুলিই প্রধান। ফর্দ ও রেজাই--শীতকালের গাত্রাবরণ স্বরূপ, লিহাফ বালাপোষের স্থায়, তোষক পালঙ্কপোষ বা বিছানার চাদর, জাজিম ও ফরাস মেজের উপর বিছাইবার জন্ত এবং শামিয়ান ও ছিট-জর্দা তাম্বু প্রস্তুত করণে ব্যবহৃত হয়। যুরোপীয়গণ এদেশীয় অনেক ছিট মশারী ও পর্দা করিবার জন্ত ক্রয় করেন, বিশেষতঃ লক্ষেী নগরের আতৈচ-রঞ্জিত ছিট তাহাদের নিকট বিশেষরূপ আদৃত। এখন লক্ষ্মেী ও ফরক্লাবাদ হইতেই বহুপরিমাণ ছিট অন্তান্ত স্থানে রপ্তানী হয়। তদ্ভিন্ন কাশীপুর, আলিগড়, অত্রেীলী, আগর, মথুরা, বৃন্দাবন, মৈনপুরী, আলাহাবাদ, ফতেপুর, কল্যাণপুর, জাফরগঞ্জ, ফানপুর, চাদপুর, নাজিরগঞ্জ, শাজাহানপুর, মীর্জাপুর, মুঞ্জাফরনগর, দেওবাদ, জাহাঙ্গীরাবাদ, বাগপত, এতাব, ৰাদা p