পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 বিশ্ব-পরিচয় গ্যাসীয় জিনিসের আলো সেই গ্যাসেরই অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা স্তরের ভিতর দিয়ে আসার সময় সম্পূর্ণ শোষিত হয়। এই আলোর অভাবেই যে কালে দাগের স্থষ্টি তা নয় । বস্তুত যে গ্যাস এই আলো আটক করে সেও আপন উত্তাপ অনুযায়ী অালো ছড়িয়ে দেয়, উত্তাপ কম ব’লে এর আলে৷ হয় অনেকটা স্নান । এই স্নান আলো বর্ণচছটায় উজ্জল অালোর পাশে কালোর বিভ্রম জন্মায় । মৌলিক জিনিস মাত্রেরই আলো ভেঙে প্রত্যেকটির বর্ণচ্ছটার ফদ তৈরি হয়ে গেছে। এই বর্ণভেদের সঙ্গে তুলনা করলেই বস্তুভেদ ধরা পড়বে তা সে যেখানেই থাক, কেবল গ্যাসীয় অবস্থায় থাকা চাই । পৃথিবী থেকে যে ৯১ টা মৌলিক পদার্থের খবর পাওয়া গেছে সূর্যে তার সবগুলিরই থাকা উচিত ; কেননা পুথিবী সূর্যেরই দেহজাত । প্রথম পরীক্ষায় পাওয়া গিয়েছিল ৩৬টী মাত্র জিনিস । বাকিগুলোর কী হোলো সেই প্রশ্নের মীমাংসা করেছেন বাঙালি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা। নূতন সন্ধানপথ বের করে সূর্ষে আরো কতকগুলি মৌলিক জিনিস তিনি ধরতে পেরেছেন । তার পথ বেয়ে প্রায় সবগুলিরই খবর মিলেছে। আজ যেগুলি গরঠিকান, মাঝপথেই পৃথিবীর হাওয়া তাদের সংবাদ শুষে নেয় । সব রং মিলে সূর্যের আলো সাদা, তবে কেন নান৷ জিনিসের নানা রং দেখি । তার কারণ সব জিনিস সব রং নিজের মধ্যে নেয় না, কোনো কোনোটাকে বিনা ওজরে