পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ রুশকে নতুন ভিতের উপর খাড় করার কাজে আমাদের সঙ্গে যোগ দাও । এখানকার হাওয়ায় আগুন লেগেছে,—নতুন ভাবের, অভাবনীয় উদ্যমের আগুন।— এই নদিয়া একটি বেঁটেখাটো মেয়ে, বাঁকড়া কটা চুল, বড়ে বড়ো কটা চোখ উৎসাহে জলজল করছে, গোলগাল মুখ, সু-ছাদের ঠোঁট, মিষ্টি কিন্তু তীক্ষু গলার স্বর, মন-কাড়া হালি। আত্মশক্তির উপর তার অগাধ বিশ্বাস । ১৯ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়, কিন্তু স্বামী তাকে বিপ্লবের ধান্দায় জড়াতে দিতে চায় না বলে, সে সংকল্প ত্যাগ না করে ত্যাগ করল স্বামীকে। এখন সে অসীম আনন্দ-উচ্ছ্বাসে USSR-এর নববিধান প্রচারে মেতে আছে । নদিয়াকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে—“এ কাজে তুমি কি সুখ পাচ্ছ* —লে হেসে ওঠে, কিংবা রাগ করে। ব্যক্তিগত মুখ বলে জিনিসটাই সে মানে না। তাকে যাতে খেপিয়ে বেড়াচ্ছে, সে সুখের সন্ধান নয়। মহাযুদ্ধে সামান্ত সৈনিকের মতো সে এই বিরাট যজ্ঞে আত্মনিবেদিত । যে শরীর পাত করতে বসেছে, তার আবার আলাদা সুখদুঃখ কিসের। যজ্ঞের প্রগতিতেই তার সুগতি । - নদিয়া একা নয়। আজকের রুশে এমন হাজার মেয়ে আছে, তাদের হাজার ভাইও আছে, যারা সমীকরণ যজ্ঞ পূর্ণ করার মহারত সাধনে প্রাণ পণ করেছে। নদিয়ার ডাকে সেই প্রবাসী জন্মভূমিতে ফিরে এলেন,—বিপ্লবের ধারা নিজের চোখে দেখতে । তিনি যা দেখলেন শুনলেন, কতক তার নিজের জবানিতে, কতক তার টুকে-নেওয়া পাচ জনের মুখের কথায়, এ পালায় ধরে দেওয়া যাচ্ছে ।