পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্বাচীনের কথা বিকেলবেলা রেলস্টশনে নেমে, আমার ছেলেবেলাকার খেলাঘর সেই গওগ্রামের রাস্তায় হেঁটে চললাম। যে ধারে যাই, মেঘমুক্ত রোদে ভরা আকাশের মনোহর নীলে চোখ জুড়োয়। মনে হল লার্ক • পাখির এমন আপনহারা গান আর কখনো শুনিনি। চারিদিকে কোথাও হেলাফেলার চিহ্ন নেই, ফসলে ফসলে মাঠ উথলে উঠছে, ভাবী আশার উৎসবে সবই উৎফুল্ল। আমি প্রাণ ভরে দেখতে শুনতে চলেছি, এমন সময় গ্রামের কাছাকাছি পৌছে এক স্কুলের ছেলের সঙ্গে দেখা । বয়স বছর বারো হবে। চাষার রীতি অনুসারে সে কাধে-ফেলা লাঠির আগায় জুতো জোড় টাঙিয়ে খালি পায়ে চলেছে, মাথার ছাট। চুলের উপর টুপিও নেই। বগলে একঝুলি বই। সে বুঝি সমবায়ের লাইব্রেরির জন্য শহরে বই আনতে গিয়েছিল, এখন বাড়ি ফিরছে। আমি প্রবাসী বলে নিজের পরিচয় দিয়ে, ওর সঙ্গে গল্প জুড়ে দিলাম—বাড়ির কথা, গ্রামের কথা, গ্রাম-সমবায়ের কথা, যার মধ্যে এই বছরের গোডায় ওর বাপ ভতি হয়েছেন। জিজ্ঞেস করলাম, "বড়ো হলে তোমার কী হতে ইচ্ছে যায় ?” লে বললে, “ইঞ্জিনীয়ার হব।”

  • বিশেষ ক’রে ইঞ্জিনীয়ার কেন।”

“গ্রামের গোলাবাড়ি, সাকো, কারখানা, যা কিছু দরকার বানিয়ে দেব ।” “তুমিও তাতে বেশ ধনী হয়ে উঠবে, না ?” ছেলেট হেসে উঠল । ১ লার্ক পাখি আকাশে উড়তে উড়তে গায় । S e ol