পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বর্গের ফল বিচার সংঘের কারণে ঘটা দূরে থাক, বাধা আসে অভাব থেকে। ব্যক্তিগত সম্পত্তির রাজ্যে যে কৃতী তার একমাত্র লক্ষ্য সম্পত্তি বাড়িয়ে চল,— ছেলে থাকলে বাড়াও, ছেলে না থাকলে বাড়াও, ছেলে ব’কে যাচ্ছে তবুও বাড়াও, ধু কৃতে ধুকৃতে বাড়াও, মরতে মরতে বাড়াও—এ অবস্থায় আত্মার খবর সে কী রাখবে। আর যে অকৃতী, সে তো শুখোচ্ছে, আশায় আশায় শুখোচ্ছে, নিরাশায় শুখোচ্ছে, প্রবলের চাপে গুখোচ্ছে, অভাবে ক্ষীণ হয়ে শুখোচ্ছে—ঠাকুরদেবতার নাম ধ’রে আর্তনাদ করলে, কী হবে, আত্মার সন্ধান তো দুর্বলে পায় না। বাড়তি কমৃতি এই দুই বিষম অবস্থা থেকে সমবায়ে যে মুক্তি পেয়েছে, সে তো বেঁচে গেছে। অতএব, সংঘের ভারে মানুষকে তরীর মতো উপরে ভাসিয়ে তোলে, জড়পিণ্ডের মতে তাকে তলিয়ে দেয় না,—এই রায় দিয়ে তৃতীয় বর্গের আলোচনায় বসা যাক । স্বে মহিল্পি অন্ত সভ্য সমাজের তুলনায় USSR-এর বিধানে স্ত্রীজাতির অবস্থা ভালোমনা কেমন দাড়িয়েছে, সে খবর শ্রোতার কাছে ধ’রে দেওয়ার আগে যাকে বলে “নর-নারী সমস্তা” সেটা নিয়ে আপোশে একটু বোঝাপড়া করে নেওয়া মন্দ না। বাস্তবিকই যত সব সমাজের উপর এ সমস্তাটা যেন ঝোড়ো অন্ধকারের মতো চেপে আছে, সমাজ-নেতারা কুলকিনারা ঠাওর পাচ্ছেন না । কিন্তু বলে রাখি, আমরা ভয়ভাবনায় মন ভার করে আলোচনায় বসছিনে। শুধু মামুষের নয়, অনেক শ্রেণীর জীবের মধ্যে সস্তান উৎপাদনলালন-পালনের ভার স্ত্রীপুরুষের উপর ভাগ করে দেওয়া আছে। و به لا