পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশের কথা তাকে যুগলৰূপ বলে চিনেছি। যুগলমিলন হলে তিনি শাস্ত অপ্রকাশ থাকেন। মেঘের দৌরাত্ম্যে বিচ্ছেদ ঘটলে, পুনর্মিলনের মুহূতে তিনি ক্রুদ্ধ কটাক্ষ হেলে যান, তার বজ্র কখনো বা মামুষের উপরেও এসে পড়ে। সেকালের ভাবুকেরা বজ্রকে ইন্দ্রের হাতিয়ার মনে করায়, বিদ্যুতের কোপকে খেলা বলে ভুল করতেন, তার ক্ষণপ্রভার আড়ালে প্রচণ্ড শক্তি মৌজুদ থাকার খবর তারা জানতে পারেননি। নামকরণে বিজ্ঞানীরা কিছু বেরসিক। বিজলী যে ভাবেই আমাদের সাক্ষাতে আসুক, সে সতেজে জানান দেয় “আমি আছি” ; তবে তার এক ভাবকে ই-ধর্মী অপরকে ন-ধর্মী বলা কেন। বরং এই দুই ভাবের দামী-দামিনী গোছের নাম দিলে সাজত। কিন্তু নাম যাই দিন, কাজ আদায়ের বেলা বিজ্ঞানীরা খুব দড়ে । এই দামী-দামিনীকে আলাদা করে রাখলে তাদের মেলার আবেগ তীব্র হয়ে ওঠে একথা জানতে পেরে, সেই আবেগের তেজকে মামুষের কাজে আনার অনেক কলকৌশল বেরিয়েছে। চপলাকে স্থির করে আঁধারকে আলো করা হয় । বজ্রকে গর্জে ঘাড়ে পড়তে না দিয়ে তার কণিকাপ্রবাহকে তারের নালীর মধ্য দিয়ে মুড়মুড় করে যেখানে দরকার সেখানে পাঠানো হয় ; বৈদ্যুৎকে মানুষের অশেষ রকম খিদমতে লাগানো হয়। তবে ঠিক মতো তোয়াজ না করলে শ্রমিকও বেঁকে বলে— বিজলীর তো কথাই নেই, তাকে স্টাইক করার ফাক দিলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি। আকাশ থেকে ফরমাশ-মতো জল ঝরাবার কৌশল পেতে হলে মেঘের জীবনী মনে রেখে সাধনা করতে হয় । বাতাস বরাবর একটানা বয় না, তা করলে এক জায়গায় হাওয়ার ঘাটতি এক জায়গায় বাড়তি হয়ে গণ্ডগোল বাধত। তাই বাতাস স্তরে স্তরে দিকে দিকে চলে। স্বর্যের তাপে সাগর থেকে ভাপ উঠে, 8@