পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রেষ্ঠের তল্লাশ উপযুক্ত বর দেওয়া যায়, ছেলে পেটে থাকতে যদি মাকে সুস্থ সবল প্রফুল্ল রাখা হয়, তাহলে বংশের উন্নতি মারে কে। একথা মানুষ পশু পাখি পোকা গাছ সবেতেই থাটে । বিধাতার দোহাই দিয়ে নিশ্চেষ্ট থাকা আমাদের দেশে একটা রোগের মধ্যে দাডিয়েছে ; এভাবে স্বাধীন চিন্তা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে লাভের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তি মুখশাস্তি সবেতেই জলাঞ্জলি দেওয়া হয়। করে খেতে না শিখিয়ে মেয়েটাকে বলে অরক্ষণীয়া, শেষে তাকে দেয় যে-সে পাত্রের হাতে ফেলে, তার ভোগ যখন ভূগতে হয় তখন কপাল চাপডে বলে “অদৃষ্ট” । বিয়ের পর পুত্রকষ্ঠার প্রবল বস্তা রোখবার চেষ্টা না করে তাদিকে বলে বিধাতার দান ; এদিকে বাপের রোজগারে কুলোয় না, মায়ের শরীরে বয় না, কাজেই সস্তানের শিক্ষাদীক্ষা আয়ু সবেরই কমতি পড়ে যায়। ফলে সংসারটা যেরকম নরক হয়ে দাড়ায় তার উপযুক্ত নাম মনে না এলেও, গলা ছেড়ে টেবিল চাপড়ে বলা যেতে পারে যে তার কাছে ছেলে না-হওয়ার পুল্লাম নরক ছেলেখেলা । USSR-এর ভাব এর ঠিক বিপরীত। পূর্বজন্মের বা দুদৈবের উপর দোষ দিয়ে বলে তো তারা থাকেনই না, উলটাে নিজের পুরুষকারের জোরে জন্মের পূর্ব থেকে দোষবর্জন গুণবর্ধন কেমন করে করা যায়, সেই চেষ্টাতেই তারা, আছেন। তারি কিছু কথা এবার বলা যাক— তাতে আমাদের হাহাকার ঘোচাবার উপায় যদি নাও হয়, উদিকে বাহবা দেবার সুখটা তো পাওয়া যাবে। אף