পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলশীলের রহস্য এই ফুলপাড়-ধারার গোড়া খুজে বার করতে ঐতিহাসিকেরও ধাধা না লেগে যায় না । এই রূপক আরো থেলিয়ে চললে, অনেক রকমের হেরফেরের অন্ধিসন্ধি পাওয়া যেতে পারে। আপাতত যেটুকু বলা হল, তাতেই অামাদের এ পালার কাজ চলবে । . জটিলতা কমাবার জন্তে আমাদের এই রূপকে মাত্র পাঁচ রকম কারিগরের কথা বলা হয়েছে। আসলে মানবদেহে বিশ-পচিশটা আলাদা রকমের জননিক ক্রিয় করতে থাকে, তার দরুন ফলাফলও খুব ঘোরালো হয়। এমনও দেখা যায়, মা বুদ্ধিমতী, বাপও ধীরস্থির, অথচ মা বা বাপ করে ছিটগ্ৰস্ত পিতামহ বা মাতামহের একটি জননিকা বংশপরম্পরার ভিতর দিয়ে ঘুরে ফিরে এসে পড়ায়, এদের এক ছেলে হল পাগল। আবার বাপ সাদাসিধে, মা পাচপেচী, অথচ বংশের দুই দুই ফ্যাকড ধরে নানা গুণ দৈবাৎ এক দেহে জুটে পড়ায়, ছেলে হল মহাপুরুষ । পূর্বপুরুষদের গুণাগুণ খোজ করে বার করা যায়, বংশধরদের গুণাগুণ তো দেখতেই পাওয়া যায়, মাঝপথের গুণ বাছাবাছি ব্যাপার ঠিকমতো জানা নেই বলে আমাদের নকশায় অন্ধকার ঘরের কথা বলা হয়েছে। কোনু ঘটনার পর কোন ঘটনা হয় জানা থাকলে বলা হয় নিয়মে চলছে ; নিয়ম না জানা থাকলে বলে দৈবাৎ ঘটেছে। স্বাক্টর প্রকরণ সম্বন্ধে মানুষের বিদ্যে যত বাড়ছে, ততই জগৎপ্রবাহ দৈবের রাজ্য থেকে নিয়মের এলাকায় এসে পড়ছে । কুলের মধ্যে শীলের লুকোচুরি খেলাটা মাঝে মাঝে অন্ধকারের আড়ালে হতে থাকলেও, তার যতটুকু জানতে পারা গেছে তা দিয়ে জাত বদলের কাজ মোটামুটি চালানো যায়। ফরশা বর কনে ক্রমাগত 1յն: