পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

სno বৃহৎ বঙ্গ খৃঃ-পূঃ তৃতীয় শতাব্দীতে অশোক পুরুষজাতীয় ধৰ্ম্ম-মহামাত্রদিগের সঙ্গে স্ত্রীধৰ্ম্মম? মাত্রও নিযুক্ত করিয়া ঘৰে ঘৰে ‘সদ্ধৰ্ম্ম’ প্রচার করিয়াছিলেন। আমাদের দেশে সেদিন N4-sfafu ve পৰ্য্যন্তও "মা-গোসাণী”গণ ভদ্রপৃহস্থের বাড়ীতে আনাগোনা -lif II করিয়া ধৰ্ম্মেব তত্ত্ব প্রচার কবিতেন । মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ তাহার ‘আত্মজীবন-চরিতে লিখিয়াছেন, তঁহার “দিদিমা’ এই “মা-গোসাঞী”- গণের যাতায়াত পছন্দ করিতেন না। এই “মা গোসাঞী”গণ খুব সম্ভব সেই অশোকের সময়ের “স্ত্রীধৰ্ম্ম-মহামাত্র”গণের ধাবাট বজায় রাখিয়াছিলেন। এই সকল প্রাচীন রীতি, ব্যবহার ও প্ৰতিষ্ঠানগুলি অধস্তন বৈষ্ণব সমাজই এই দেশে বেশ রক্ষা করিয়াছেন, যেহেতু প্রাচীন ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়গুলি অধুনা বৈষ্ণব সমাজের সঙ্গেই বেশী মিশিয়া গিয়াছে। জন-সাধারণের মধ্যেই প্রাচীন ধৰ্ম্ম ও রীতি-নীতি অদিকতাব পরিমাণে পাওয়া যায়, বৈষ্ণবধৰ্ম্ম সেই জন-সাধাৰণকে 'আত্মসাৎ কবিয়াই এদেশে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । পালি সামান্য-ফল সুত্ত্বে পুবণ কস সাপ, মাক খািলপুস্তু গোশাল, অজিত কেশকম্বল, ককুদ কচ্চয়ন, নিগ্ৰন্থ জ্ঞাতি-পুত্ৰ, সঞ্জয় বোস্ট্যে প্রভৃতি দার্শনিক পণ্ডিতের যে সকল মত আমরা টf:খিত দেখিতে পাই, সেই সকল মত, কোথাযও পরিবৰ্ত্তিত বা "ীন একাদশী বিকৃত হইম, কোণায়ও বা উচ্চতর আদর্শে নীত হইয়া, বঙ্গীয় ན་མ་ ༣༦ ” rrv সহজিয়া ও বাউলদের মধ্যে এখনও প্রচারিত হইতেছে । অক্ষয়কুমার দস্তু প্ৰণীত ‘ভারতবর্ষের উপাসক-সম্প্রদায়,” বাউলদের সম্বন্ধে বিবিধ পুস্তক এবং বর্তমান গ্রন্থের ৭৬৯-৭৮২ পৃষ্ঠা পাঠ করিলে পাঠক এই কথা উপলব্ধি কৰি,ে প’দবেন। বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীদের মধ্যে যে নৈশ মিলন-সমিতি হইত, যাহার উল্লেখ আমরা খৃঃপূঃ তৃ শােধ শতাব্দীতে রচিত পালি, “কথাবণু” নামক পুস্তকে পাই, তাহাই বঙ্গদেশে সহজিয়া দেব। নৈশ-সভায় পৰ্যবসিত হইয়াছে। এই বৌদ্ধভিক্ষু ও ভিক্ষুণীরা “একাভিপ্লায়ী” নামে পরিচিত ছিল এবং একাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে তিব্বত রাজা চ্যাংস্কুল তদীস দূত ‘নাগাচো’র মুখে দেশের যে অবস্থা দীপঙ্করকে জানাইয়াছিলেন তাহাতে সম্ভবতঃ এই দলেরই উল্লেখ করিয়াছিলেন । ইহায়া নীল আলখাল্লা পরিতেন LE S SDDDD BBBBBB BB tS BBBD S tutuBBB SS BDE DBiiD S DDBBD BDiBB Mg অভিযোগ আনয়ন কবিয়ছিলেন । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচ , প্ৰথম ভাগের ভূমিকা এবং ঐ পুস্তকের ৩১৯-৩২৭ পৃষ্ঠা দুষ্টব্য ) { “চারু দর্শন” নামক পুস্তকে এদেশের সহজিয়াদের যে চিত্র দেওয়া হইয়াছে, আমি তৎপ্রতি পাঠকের দষ্টি আকর্ষণ করিতেছি ( এই পুস্তকের ११७ शृः j'। শুধু মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা নহে, --প্ৰাগৈতিহাসিক যুগের মানবের চিত্রাঙ্কন-প্ৰচেষ্টা, যাহা সিঙ্গানপুরে প্রভৃতি স্থানে পাওয়া যাইতেছে, তাহার সঙ্গেও বাঙ্গলাব ফুটিল্প-শিল্পের আশ্চৰ্য ঐক্য দৃষ্ট হয়। পাহাড়পুরে দেশীয় স্থাপত্য ও ভাস্কৰ্য-শিল্পের যে সকল নিদর্শন আছে—তাহাতে মনে হয় স্মাদলীয় মুচিরাগত শিল্প।