ट्रमिक w/o নাই, সেই সাহিত্যিক শিল্পজ্ঞান পল্লীকবি-রচিত “কাঞ্চন-মালা”য় আছে। এই গল্প ত্যাগের সৰ্বোচ্চ শেখরে দাড়াইয়াও কাব্যোচিত শিল্প ও সংযম রক্ষা করিয়াছে, এরূপ মহান দৃশু সাহিত্যে বিরল। ধৰ্ম্ম-মঙ্গলের কালু ডোম ভ্রাতৃ-স্নেহের আতিশয্যে তাহার ঘোর শত্ৰু ছোট ভাই ধূৰ্ত্ত-শিরোমণি ইন্দার কাছে প্রতিশ্রত হইল, সে যাহা চাহিবে—তাহা দিবে। ইন্দা শত্রু-পক্ষের চর-সে কালুর মাথাটা চাহিয়া বসিল । সিংহবিক্রান্ত বীরবার সতরক্ষার জন্য কি অদ্ভুত সংযমের সহিত প্ৰাণ দিয়াছিলেন, তাহ ধৰ্ম্ম-মঙ্গলকাব্যগুলিতে লিখিত আছে। অনেক ইতিহাসে বর্ণিত আছে, প্রতাপাদিত্য কল্পতরু সাজিয়া সিংহাসনে বসিলে এক ব্ৰাহ্মণ র্তাহার মহারাজ্ঞীকে চাহিয়া বসিয়াছিলেন এবং তিনি তাহার প্রার্থনা পূর্ণ কবিয়াছিলেন । এই কাৰ্য্যের ন্যায়পরতা-সম্বন্ধে প্রশ্ন উঠিবে, অনেকে ইহাকে নিছক বর্বরতা মনে করিবেন। কিন্তু ত্যাগের মহান আদর্শ ভিন্ন অন্য কোন দিক দিয়া বিচার করিলে এই সকল গল্পের গুণাগুণ বুঝিতে পারা যাইবে না। বঙ্গের লক্ষ্য-ভূমি। বাঙ্গালী অল্পে সস্তুষ্ট নিচে । মিউজিয়ামের/চিত্রশালায় তিব্বত, রেঙ্গুন প্রভৃতি দেশের অল্পদরের ভাস্কর-নিৰ্ম্মিত বৌদ্ধমূৰ্ত্তির চেপেটা মুখ, খৰ্ব্ব নাসিকা ও কোটরগত চক্ষু অনেকেই দেখিয়া থাকিবেন, কিন্তু শ্ৰেষ্ঠ ভাস্কয্যের নিদর্শনই হউক, অথবা হীন কারিগরের গড়া মুষ্ট্ৰিই হউক, সমস্ত বৌদ্ধমূৰ্ত্তির একটা পরিচিত ছাপ আছে—তাহা বৌদ্ধমূৰ্ত্তি-বৃহের সাধারণ লক্ষণ—তাহা নির্বাণের ভাব, তাহা সকল মুত্তিতেই আছে। সেইরূপ এই সকল গল্পসুরচিত বা কুৎসিতই হউক।--তুমার প্রতি লক্ষ্যই ইহাদের বিশেষত্ব। বাঙ্গালী কোন জিনিষ বাদ দিয়া গ্ৰহণ করিবে না ; সে দিবে, সৰ্ব্বস্ব দিবে। ;-ত্যাগ করিবে, কপৰ্দকও রাখিবে না ; সে সত্যরক্ষা করিবে,-বাৎসল্য, দাম্পত্য বা সাংসারিক কোন বাধার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিবে না। তাহার ভাব-প্রবণতার স্রোতে ঐরাবতের ন্যায় বাধা তৃণের মত ভাসিয়া যায়। জড়বাদীরা বলিবেন, এ সকল গল্পে কতকটা অসংযত আতিশষ্য দৃষ্ট হয়। কিন্তু যাহারা ‘ভূমা’কে আশ্ৰয় করিয়াছেন, তাহারা দিগম্বর জৈন তীর্থঙ্করদের মতই সমস্ত সংস্কার ত্যাগ করিয়াছেন; তাহদের অবাধ রাজ্যে তিল-প্রমাণ বাধাের অবকাশ নাই। তাহারা অন্নে সস্তুষ্ট হইবার নহেন। সংস্কারাধীন ক্ষুদ্রদরের সমালোচকের টিটুকারীতে তাহদের কি হইবে ? এই ভূমার প্রতি যে বাঙ্গালীর লক্ষ্য-তাহা সামাজিক জীবনের মধ্যেও স্বীয় বিদ্রোহী সত্তা বুঝাইতেছে। সহজিয়ার দাম্পত্য-প্রেমকে অগ্ৰাহ করিয়াছে এবং ७चत्रं फूणिांछ्,- “সীতা-সাবিত্রীর প্রেম যৌন-সম্বন্ধের আদর্শ বলিয়া গণ্য হইবার দাবী ब्रार्थं किम ?” · উত্তরে তাহারা উহা অস্বীকার করিয়া বলিয়াছে, ইহাদের তথাকথিত স্বামি-প্রেমের মধ্যে কতটা সামাজিক প্রশংসালান্ডের ইচ্ছা, কতটা ইহকালে সুখে থাকা এবং পরকালে স্বৰ্গমুখের লোভ অলক্ষ্যভাবে বিদ্যমান, তাহা অবধারণ করা সহজ নহে; কিন্তু পরকীয়া প্রথম হইতেই কলঙ্কের তিলক মাথায় করিয়া সৰ্ব্বপ্রকার কষ্টের জন্য প্রস্তুত श्या qकमाण 6यलटकरे ** করিয়া লইয়াছে। নিন্দা, দাও, সর্বস্বত্যাগ-ইহাই এই প্ৰেমেয় পৰীক্ষাম । এষ্ট ! কালু ডোম। ፵3†♥††fw31 !
