পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SQ বৃহৎ বঙ্গ কোন এক জন্মে বুদ্ধদেব একজন তপস্বী ছিলেন। সেই সময়ে একদা ভীষণ অনাবৃষ্টি ও রৌদ্রের তেজে সমস্ত দেশ শুকাইয়া গিয়াছিল। অগ্নি-সদৃশ রৌদ্রের উত্তাপে ও আহাৰ্যের অভাবে সমস্ত জীবজন্তু মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিল। তপস্বী তাহার গন্তব্য আশ্রমে যাইবার পথে এক বৃহৎ ভূভাগ জীবকঙ্কালে ও শবদেহে পূর্ণ দেখিতে পাইলেন। একটি খালের ধারে এক ক্লারুণ দৃশ্য বিশেষভাবে তাহার নেত্রপথে পতিত হইল। বহুদিবসের উপবাসক্লিষ্ট একটা ব্যাস্ত্রী অনাহারে অন্তিম অবস্থায় উপস্থিত হইয়াছিল,-তাহার দুইটি শাবক তাহার স্তনে মুখ সংলগ্ন করিয়াছিল, কিন্তু স্তনে বিন্দুমাত্র স্তন্য ছিল না ; তাহারা বৃথা সেই মুমূর্ষু মাতৃবক্ষ হইতে সুধা আহরণ করিতে চেষ্টা পাইতেছিল। খড়ের ঘরের বঁাশের বেডার উপর জোরে হাওয়া বহিলে উহা যেরূপ কঁপিয়া উঠে, ব্যাস্ত্রীর প্রবল অন্তিম নিঃশ্বাসে র্তাহার মাংসা-শূন্য, ত্বকমাত্ৰে-আবৃত অস্থিপঞ্জির তেমনই কঁাপিতেছিল। আর কিছুকালের মধ্যে এই তিনটি প্রাণীর জীবনান্ত ঘটবে। তপস্বীর হৃদয় করুণায় বিগলিত হইল। তিনি ভাবিলেন, “আমি কি এই তিনটি জীবের কোনই উপকার করিতে পারি না ?” তিনি সম্মুখে ও দূরে চাহিয়া দেখিলেন-- মাটি রৌদ্রের তাপে তামবৰ্ণ, তাহাতে তৃণ কি ঘাসের চিহ্ন নাই । খালে একবিন্দু জল নাই, উহা একেবারে শুষ্ক । তখন তপস্বী স্বীয় সঙ্কল মনে মনে স্থির করিয়া ফেলিলেন । পাগড়ী, গানের অঙ্গরক্ষা ৬ পায়ের উপানৎ দূরে ফেলিয়া ۹۹۹۹۹۹ آن f به چاه و به মুহক জীবের কোনই দিলেন এবং একটুকরা নেংটি মাত্র রাখিয়া নগ্নদেহে ব্যাস্ত্রীর সম্মুখে উপকার করিতে পারি। “পা” উপস্থিত হইলেন এবং চীৎকার করিয়া বলিলেন - “মাতঃ, এই দেখ, তোমার খাদ্য সম্মুখে৷ ” সেই আহবানে মুমুম্ন ব্যাস্ত্রীর অন্ধনিমীলিত চক্ষু উন্মুক্ত হইল, হিংস্ৰ বুভূক্ষু মাংসাশীর নয়নতারকা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় জ্বলিয়া উঠিল। ব্যাসী এক লম্ফে সন্ন্যাসীর উপর ঝাপাইয়া পড়িয়া তাহার শোণিত পান করিতে লাগিল । সেই হিংস্র উল্লাসলীলার সঙ্গে যখন তপস্বীর প্রাণবায়ু শেষ হইল, তখন দেখা গেল-ৰ্তাহার চক্ষে ত্যাগজনিত একফোঁটা পুলকাশ । DBDDLuBBDBB DBD DBD ggDD DBBBD BBB SSSSSS SDDBB DBDBDuDuDDuBB DDD উদারচিত্ত ও দানশীল ছিলেন । তাহার শত্রু-সামন্ত রাজার--- ***********ী । রাজ্য কড়িয়া লইয়াছে। বনবাসী রাজা নিৰ্বিকার চিত্তে সমস্ত দুঃখ বরণ করিয়া লইলেন । একদা জীবাশষ্মা নামক এক ব্ৰাহ্মণ র্তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া কহিলেন, “মহাশয়! রাজা মহেন্দ্ৰসেনের নিকট "আমি যাইব, কোন দিকে তঁহার রাজধানী ?” মহেন্দ্ৰসেন জিজ্ঞাসা করিলেন, “তঁহার নিকট আপনার কি দরকার ?” ব্ৰাহ্মণ বলিলেন, “শুনিয়াছি তাহার মত দাতা জগতে নাই-আমি অর্থকামী, অর্থের আশায় তাহায় নিকট যাইতেছি।” রাজা তাহার নিজের পরিচয় দিয়া বৰ্ত্তমান অবস্থা জানাইলেন। জীবাশৰ্মা অত্যন্ত দুঃখিতভাবে বলিলেন, “আমার অদৃষ্ট এইরূপই, নতুবা আপনার ন্যায় মহাত্মার এই অবস্থা কেন হইৰে ?” তিনি বিমনা হইয়া অনেক বিলাপ করিতে লাগিলেন। মহেন্দ্ৰসেন