পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহৎ বঙ্গ هلوا لا গাষ লাগিলে ফোস্কা পড়ে এবং অসহ যন্ত্রণা হয়, আর সমস্ত দেহটা পুড়িয়া ছাই হইবে, তখন তোমার আর্তনাদ ও 'ত্ৰাহি’ ‘ত্ৰাহি’ চীৎকার ঢাকা-নিনাদে চাপা পড়িবে।-কেহ শুনিতে পাইবে না, তোমার শরীর দড়ি দিয়া শক্ত করিয়া বাধা থাকিবে-তোমার পলাইবার পথ থাকিবে না-অবস্থাটা কি তুমি বুঝিতে পারিয়াছ ?” বঙ্গের লাট হ্যালিডে সাহেবের সঙ্গী এক ‘পাট্রী। এদেশেব একটি অষ্টাদশবৰ্ষীয় রূপবতী যাবতীকে সহমরণের সঙ্কল্প হইতে বিরত করিবার জন্য এইভাবে বক্তৃতা করিয়াছিলেন। রমণী প্রস্তর-মূৰ্ত্তির ন্যায় বসিয়াছিলেন, তাহার কাণে এসকল কথা পৌছিল কি না পৌছিল, তাহা যেন প্রথমত; বুঝাই গেল না। তার পর যখন রমণীব কাণ ঝালাপালা হইতে লাগিল, কিছুতেই পাদ্রীয় বক্তৃত থামে না, তখন তিনি একটা বাতি আনাইলেন ও নীরবে সেই বাতিটার মধ্যে অঙ্গুলা স্থাপন করিলেন। যেরূপ ভাবে মোম গালিয়া যায়, অঙ্গুলী’টি সেই ভাবে পুড়িয়া গালিয়া গেল, অগ্নি কজি পৰ্যন্ত অগ্রসর হইল। ভ'৩ ও বিস্মিত এবে শার্ট হ্যালি৬ে লিখিয়াছেন, একটা রাজ-হাসের পালকে বা কলম যেরূপ পূডিয়া ছাই হয়, সেই ভাবে সমস্ত আঙ্গুলটি পুড়িয়া E0DBSS DB BBBDBD S SEEtggD SS S gKuB0DOSS DBDDDB DDBDBB BBB BBB DBtS DBDBBD BttDDg DBBDS DBDBBDD DS BD D BBD DBBB DBD DBLBO মিবাইয়া দিলেন । বাঙ্গালী রমণীব একনিষ্ঠ সাতত্বের যে সকল নিদর্শন এক শত বৎসর পূর্বে দেখা যাইত, অনেক উচ্চমান সাহেব অকুষ্ঠিত ভাবে তাহাক্স প্ৰশংসা করিয়াছেন। সহমরণোপ্ততা এক রমণী স্বামীর চিতায় প্ৰবেশ করিবার পূর্বে রাক্তা রামমোহন বলিয়াছিলেন, “আপনাকে কেহ বাধিতে পরিবে না, আপনি চিতা হইতে উঠিতে চাহিলে আপনার কোন বিস্ত্র জন্মান হইবে না, এইভাবে আপনি প্ৰাণ দিতে পারেন ?” রমণী তাছাই করিলেন,--বাসর-শয্যায় যেরূপ তিনি স্বামীর সঙ্গিনী হইয়াছিলেন, সেইভাবেই তিনি তাহার চিন্তা-সঙ্গিনী হইলেন । এই সকল দৃশ্য হটনের চোখের সামনে ছিল, এইজন্য তিনি লিখিয়াছিলেন-ইহাদের প্রেম ও ত্যাগ জ্বলন্ত চিতার শিখাকে অতিক্ৰম কবিয়া স্বর্গের দ্বারে পৌছিয়াছে (১৯১৩-১৪ পৃঃ)। সেদিন পৰ্য্যন্ত ও জগৎ শেঠের জগতের মধ্যে সর্বাপেক্ষী ধনী ছিলেন, ঐতিহাসিকেরা স্বীকার কপিয়াছেন। জড় জগতের ঐশ্বৰ্য্য বাঙ্গালী প্ৰমত্ত হইয়া ভোগ করে, এবং যখন সময় উপস্থিত হয় তখন অপ্ৰমত্ত হইয়া তৃণের ন্যায় তাহা ত্যাগ করিতে পারে ; বাঙ্গালী ঘটিকা-যন্ত্রের দোলন-দণ্ডের ন্যায় দুই বিরুদ্ধ সীমার মধ্যে অতি সহজে আনাগোনা করে । বাঙ্গালী চরিত্রের ইহাই বিশেষত্ব। আজ চিত্তরঞ্জন বিলাসী বাবু, ভোগে তাকণ্ঠ নিমজ্জিত, কাল চিত্তরঞ্জন বিরাগী ফকির। নিজের বাসগৃহখানি পৰ্য্যন্ত দান করিয়া ফেসিয়াছেন । আমার কাৰ্য্যের ক্ষেত্র বিরাট । এই বইখানি লিখিতে যাইয়া আমার বারংবার স্বনে উগ্ৰছে-এই কাৰ্য সুসম্পন্ন করিবার সময় এখনও উপস্থিত হয় নাই। এখনও ভারতীয় ጓ፬ጻ ጳማ 1 5ि548न ।