পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A হাতে একটি জামবাট-ভরা লাড়ু লইয়া বসিয়া আছেন, আর লম্বা শুড় দিয়া লাড়গুলি টুপটুপ করিয়া খাইতেছেন। গণেশের কাছেই মহাকাল-বেঁটে-খেটে, গাটা-গোটা, মুখখানি মন্ত, হ-টা খুব ডাগর, কটুমটু করিয়া তাকাইয়া আছেন। এক পাশে মঞ্জুশ্ৰী ধীর গম্ভীর, দুটি হাত-এক হাতে কিরীচ আর এক হাতে পুথি । নিকটেই লোকেশ্বর“সরসিজাসনসন্নিবিষ্ট”, “কেয়ূরবােন”, “কনককুণ্ডলবােন”, “কিরীটাি”, “হিরন্ময়বপুঃ”-দুই হাতে দুই পদ্ম লইয়া দাড়াইয়া আছেন। হিন্দুর মন্দিরও বেশ সাজান-গোজান হইয়াছে ; কিন্তু তাতাতে যেন প্ৰাণ নাই । চারিদিকে উৎসব, জোর করিয়াও তাতে মাতামাতি করিতে হইবে, ইচ্ছা থাক। আর নাই থাক-নইলে ভাল দেখায় না। হিন্দুর বাড়ীরও দশা তাই-বাহিরচন্টক ঠিক রাখা হইয়াছে, কিন্তু ছেলে।পুলে ছাড়া আর 〔夺西际颈互T可af索1 8 সাতগা পার হইয়াও ধরমপুর পর্য্যন্ত তারাপুকুরের মতই সাজানগুজান । তবে ধরমপুরের আলোর কারখানাটা খুব বেশী। সন্ন্যাসীদের সেখানে দু’এক রাত থাকিতে হইবে কি না, তাই এই আলোর ব্যবস্থা । সেখানেও তারাপুকুরের মত কোথাও তালপাতার বড় বড় ঘর, কোথাও তালপাতার মেরাপ, কোথাও তঁাবু, কোথাও শামিয়ানা, কোথাও কাঠগড়া ; সব জায়গায়ই আলো ; আলো ও বিচিত্ৰ মশালের বন্দোবস্তই বেশী। বড় বড় শামিয়ানার নীচে বঁাশের তোকোণার উপর সারা ; তাহাতে সরিষার তেল ; তেলের মধ্যে সরিষার পুটিালী ; পুটিালীর গেরির উপরে যে কাপড় আছে, তাহাতে আগুন ধরাইয়া দেওয়া হইয়াছে আর সেইটা জলিতেছে। কোথাও মাটির বা কাঠের বড় বড় দীপগাছা,