পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s st J কুমার সূৰ্য্যসদৃশ কান্তিসম্পন্ন চিন্তামণিটি গ্রহণ করিয়া ও নাগরাজকে প্রণাম করিয়া সহৰ্মে প্রবহণের নিকট গেলেন । ৪১ ৷ তখন সমুদ্র-দেবতা এই বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া কুমারকে দেখিয়া বলিলেন,—হে সাধো ! তুমি কিরূপ চিন্তামণি পাইয়াছ, দেখি । ৪২। সরলচেতা কুমার সমুদ্র-দেবতার প্রার্থনায় পাণিপদ্ম প্রসারণ করিয়া মণিটি চাহাকে দেখাইতেছেন, এমন সময়ে দেবতা তাহা গ্রহণ করিয়া সমুদ্রজলে নিক্ষিপ্ত করিলেন। ৪৩-৪৪ । অতিকষ্টে লব্ধ রত্নটি সমুদ্রে পতিত হইল দেখিয়া রাজকুমার নিজ দৃঢ় উদ্যোগের বৈফল্য হেতু অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হইয়া বলিলেন । ৪৫ ৷ অহে ! তুমি বিনীতাকারে মৃদুবাক্য বলিয়া বিদ্বেষবশতঃ এরূপ পাপকাৰ্য্য করিয়াছ । ইহা ভাল হয় নাই । ৪৬ ৷ যে ব্যক্তি পরের উৎকর্ষ দেখিয়া ক্লেশ বোধ করে, সে নিজ শীতল দেহ অগ্নিশিখায় তাপিত করে । ৪৭ ৷ পরের উৎকর্ষ দেখিয়া যিনি প্রীত হন, এরূপ সত্ত্বগুণবান লোকের যশ দ্বারা ত্রিভুবন ধবলিত হয়। ৪৮ । হে দেবি ! আমার রত্নটি আমায় প্রত্যপণ কর । এরূপ পাপকাৰ্য্য হইতে বিরত হও। সাধু জনের কার্য্য নিন্দনীয় হওয়া উচিত নহে | 89 | যদি তুমি লোভ, প্রমাদ বা বিদ্বেষবশতঃ রত্নটি না দেও, তাহা হইলে আমি তোমার অtশ্রয়স্থান এই জলধিকে শোষণ করিব । ৫০ । কুমার পুনঃ পুনঃ এইরূপ কথা বলিলেও সমুদ্রদেবতা যখন রত্ন প্রত্যপণ করিলেন না, তখন তিনি নিজপ্রভাবে সমুদ্র শোষণ করিবার জঙ্ক উদ্যোগী হইলেন । ৫১ ৷ • তিনি ধ্যানাসক্ত হইলে ইন্দ্রের বাক্যানুসারে বিশ্বকৰ্ম্ম কর্তৃক রচিত একটি পাত্র সহসা তাহার হস্তে আবির্ভূত হইল। ৫২ ৷