পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8 sa } একদা হস্তক সহজাত সূক্ষবস্ত্র-চিহ্নিতা, লাবণ্য-ললিতমুখী ও দীর্ঘনয়না, উদ্যানবিহারের জন্য সমাগতা চীরব-কন্যানাল্পী রাজা প্রসেনজিতের কন্যাকে দেখিতে পাইলেন । ৮-৯ । কুমার অক্লিষ্টকান্তি ও নবযুবতী রাজকুমারীকে দেখিয়া যুগপৎ বিস্ময় ও কামের বশীভূত হইলেন। ১০ । তিনি ভাবিলেন,--আহে । রাজকুমারীর এই কমনীয় শরীর কি অদ্ভুত ! ইহঁর মুখমণ্ডল যেন নিষ্কলঙ্ক চন্দ্রের ন্যায় বোধ হইতেছে। ১১। . . * বন্ধকপুষ্পসদৃশ ইহঁর স্বশ্বি অধর অনুপম লাবণ্য ধারণ করিতেছে । বিদ্রুম-পল্লব ও বিম্বফলের শোভা ইহঁার নিকট পরাজিত হইয়াছে। ১২। ইহঁর মুখ শশধরের গর্ব খর্ব করিতেছে। ইহঁার কাস্তি সুধাকে পরাজিত করিতেছে। ইহঁর দৃষ্টি উৎপলবনের শোভাকে তিরস্কার করিতেছে । ইহার দেহ মন্মথ-সঙ্গমের যোগ্য ; এজন্য ইহার অঙ্গসৌষ্ঠব দেখিয়া রতির সাপত্ন্য-ভয় উদিত হওয়ায় দিন দিন তাহার বিলাস-তরঙ্গ শুষ্ক হইতেছে । ১৩ । ইহঁর স্তনদ্বয় অত্যুন্নত ও কঠিন । ইহা দেখিলে বিবেকহীন হইতে হয়। এরূপ দোষ সত্ত্বেও গুণযুক্ত হার ইহঁতে অবস্থিতি করিতেছে, ইহাই আশ্চৰ্য্য। ভ্রমরপংক্তি যেন ভ্ররূপে পদ্মভ্রমে ইহঁর মুখ আশ্রয় করিয়াছে। ইহঁর নয়নদ্বয় কি প্রশস্ত, ইহা দেখিয়া মুনিগণেরও মন লীন হয় । ১৪ । কুমার হস্তক এইরূপ চিন্তা করিতেছেন, ইতিমধ্যে রাজকুমারীও কুমারের কন্দপসদৃশ দেহকান্তি দেখিয়া বিস্ময়ে নিশ্চল হইলেন। ১৫ । তখন কামদেব হাস্য করিয়া কুমারীর লজ্জারূপ বস্ত্র হরণ করিয়া লইলে, তাহার দেহ নব রোমাঞ্চদ্বার। কণ্টকিত হইতে দেখা গেল ॥১৬ & Q