পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৬১ ] বণিকগণ সকলেই এই কথা শুনিয়া এবং মনে মনে পূর্ণের লোকবিশ্রুত প্রভাব চিন্তা করিয়া তাঙ্গারই শরণাগত হইল । ৫৮ ৷ জগতের ক্লেশরপ বিষদোষের অপহারক ও করুণাপূর্ণচিত্ত পূর্ণকে নমস্কার। বণিকগণের এইরূপ সমস্বর শব্দে আকাশ সংপূরিত হইলে, সেই স্থানের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা ক্ষণকালমধ্যেই গিয়া পূর্ণকে সেই বৃত্তান্ত জ্ঞাপন করিলেন । ৫৯-৬০ । শ্রোণাপরান্তকদেশস্থ পূর্ণ বণিকগণের এইরূপ বিপ্লবকথা শুনিয়া সমাধিবলে ক্ষণকালমধ্যে আকাশমাগে প্রবহণে আগমন করিলেন ॥৬১ তখন পূর্ণ তথায় পর্যাঙ্কবন্ধ অর্থাৎ পৰ্য্যস্কনামক আসনবন্ধদ্বারা মেরুপর্বতের স্যায় নিশ্চলভাবে অবস্থিত হইয়া প্রলয়কালীন বায়ুসদৃশ সেই উত্তাল বেগবান বায়ুর গতি রোধ করিলেন। ৬১ ৷ যক্ষর জ, পূর্ণ কর্তৃক বায়ুবেগ রুদ্ধ হইয়াছে জানিতে পারিয়া তাহাকে প্রসন্ন করিলেন এবং বণিকগণকে চন্দনবন অপর্ণ করিয়া চলিয়া গেলেন । ৬৩ ৷ তখন ভাবিল পূর্ণের অনুগ্রহে বহুতর চন্দন-বৃক্ষ গ্রহণ করিয়া হৰ্ষসহকারে পূণের সহিত শুর্ববার নামক নিজ নগরে গমন করিলেন ।৬৪ অনন্তর পূণ ভ্রাতার সম্মতিক্রমে গোশীর্ষ-চন্দনদ্বারা স্থগতগণের ৰাসোপযুক্ত চন্দনমালা নামক একটি প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিলেন । ৬৫ ৷ তৎপরে পৃণ ধ্যানযোগে ভগবানকে আহবান করিলে, তিনি জেতবন হইতে সত্ত্বর আকাশমাগে শতযোজন অতিক্রম করিয়া তথায় আগমন করিলেন । ৬৬ ৷ ভগবানের আগমনকালে সম্মুখে বিস্তৃত তদীয় দেহপ্রভাদ্বারা বস্তুসকল পিঙ্গলবর্ণ হইয়া যেন সুবৰ্ণময় হইয়া উঠিল । ৬৭ ৷ নগরের উপাস্তবাসিনী অঙ্গনাগণ ভগবানকে দর্শন করিয়া অত্যধিক চিত্তপ্রসাদবলে প্রশমে উন্মুখ হইয়া উঠিল। ৬৮। 8Ψυ