পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R 8 বোম্বাই চিত্ৰ । ধীন, তখন পক্ষান্তরে দাসত্বই প্রশ্রয় পাইতেছে বলিতে হইবে । কেন না। অনেক দেনাদার কারাবাস অপেক্ষা মহাজনের দাসত্ব অল্প যন্ত্রণাদায়ক জ্ঞান করিয়া তাহাতেই ব্ৰতী হইবে সন্দেহ নাই। কারাবাস ভয়ে যে অনেক সময় রাইয়াতকে মহাজনের দাসত্ব স্বীকার করিতে হইয়াছে, তাহার প্রচুর প্রমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া গিয়াছে। এইত ঋণের জন্য ঋণীর কায়িক দায়িত্বের কথা বলা হইল। তাহার বৈষয়িক দায়িত্ব সম্বন্ধে দৃষ্ট হইবে যে, আইনে মহাজনের হস্তে ঋণীর বিষয় সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া লাইবার অগাধ ক্ষমতা আপিত হইয়াছে। ঋণীর নিজের কিম্বা তাহার স্ত্রীপুত্র পরিবারের একান্ত প্রয়োজনীয় বস্তুও সে ক্ষমতার বহির্ভূত নয়। ঋণীর পরিধেয় বস্ত্ৰ পৰ্য্যন্ত বিক্রয় করিবার কোন বাধা নাই, একবার মাত্র তাহাকে হৃত-সর্বস্ব ও নিঃসম্বল করিয়া ছাড়িয়া দিলেই যে, সে নিস্তার পাইল তাহা নহে, কিন্তু যখনি আবার সে যৎকিঞ্চিৎ উপাৰ্জন করিতে আরম্} করে, অমনি মহাজন আসিয়া তাহ নিঃশেষ করিয়া লইতে পারে। এইরূপে তাহাকে পুনঃ পুনঃ পীড়ন করিবার ক্ষমতা আইন কর্তৃক মহাজনের হস্তে অপিত। সভ্য জাতির আইনে মহাজনকে যতদূর আশ্রয় দেওয়া কৰ্ত্তব্য, তাহার অধিক প্রদত্ত হইয়াছে। যে সাধারণ সর্ববাদীসম্মত আইন অনুসারে দেউলিয়া হইয়া ঋণের দায় হইতে নিস্কৃতি লাভের নিয়ম আছে, এদেশের রাইয়াতের ভাগ্যে সে লাভ টুকুও নাই। এবিষয়ে আর কোন দেশে ভারতবর্ষের আইনের ন্যায় কঠোর আইন