পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w88 বোম্বাই চিত্ৰ। তুকারামের পত্ৰ পাঠে শিবাজী কিছুমাত্র বিরক্ত না হইয়া বরং সন্তুষ্টই হইয়াছিলেন—এমন কি, তিনি নিজে সেই সাধুর আলয়ে গিয়া তাহার দর্শনেচছু হইলেন। তখন তুকারাম দেহুর নিকটবৰ্ত্তী লোহ গ্রামে বাস করিতেছিলেন-মহারাজ স্বয়ং তথায় উপস্থিত হইয়। বহুমূল্য মণিমাণিক্য রত্নাদি আনিয়া তঁহাকে উপহার দেন। কিন্তু তুকারাম সে সমুদয় তুচ্ছ করিয়া ফেলিয়া দিলেন—বলিলেন, “মহারাজ, রজত কাঞ্চন আমার চক্ষে মৃত্তিক-সমান-এ সকল বস্তুতে আমার লোভ হয় না । আমাদের মোহ ও আশার অন্ত হইয়াছে—আমি হরির দাস, হরিই আমার আশ । মহারাজ, তুমি ভগবদ্ধ ভক্ত হইয়া প্ৰজাপালনে নিযুক্ত থাক, তাহা হইলে আমি কৃতাৰ্থ হইব।” শিবাজী তুকারামের নিম্পৃহতা ও দেব ভক্তি দেখিয়া চমৎকৃত হইলেন। মহীপতি বলেন যে, মহারাজা তুকারামের সাধু দৃষ্টান্ত ও সংসর্গগুণে সংসারের প্রতি এরূপ বীতরাগ হইয়াছিলেন যে তিনি রাজকাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া অরণ্যবাসে কালব্যাপন করিতে লাগিলেন । শিবাজীর মাতাঠাকুরাণী জিজাবাই এই বৃত্তান্ত শ্রবণ করিবামাত্র ব্যাকুল অন্তরে তুকারামের নিকট গমন করিয়া আপনার একটী মাত্ৰ পুত্ৰকে সদ্যপদেশ দ্বারা সংসারে ফিরাইয়া আনিবার জন্য বিস্তর মিনতি করিলেন। তুকারাম কহিলেন “ভয় নাই, তোমার মনস্কামনা পূর্ণ হইবে।” রাত্ৰিকালে সংকীৰ্ত্তনের সময় শিবাজী রাজা সমাগত হইলে অবসর বুঝিয়া তুকারাম তাহাকে উপদেশ দিলেন যে, যাহার যে ধৰ্ম্ম