পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to বোম্বাই চিত্র। কথা কিছু কিছু শ্রবণ করিলাম। ছোট লোকদের মধ্যে সততা নাই। মনুষ্যের মধ্যে পরস্পর যে একটি বিশ্বাস, যাহা না থাকিলে পৃথিবীতে এক পদও চলা যায় না, তাহা এখানে অতি অল্প । সে দিন দেখিলাম। একজন বালক ছড়ি বিক্রয় করিতে আসিয়া আমাদের ক্রীত ছড়ির মধ্যে কতকগুলি লইয়া পলায়ন করিল। প্ৰভু আপন ভূত্যাদিগকেও তেমন বিশ্বাস করেন না। যাহারা ধৰ্ম্মের জন্য সততা অবলম্বন না করে, স্বার্থের জন্যও তাহাদের করা উচিত । ২৯ আশ্বিন, শুক্রবার । প্ৰত্যুষে উঠিয়া এক নৌকাতে আরোহণ করিয়া নদীতে চলিলাম। দুই ডোঙ্গ কিঞ্চি দিয়া একত্রে বঁাধা, তাহার উপরে নারিকেল পত্রের একটি আচ্ছাদন, এই আমাদের নৌকা হইল । নদীর উপযুক্ত নৌকা বটে—নদী এমত গভীর যে এই নৌকা ও এক এক বার চড়ায় আটকিয়া যাইতে লাগিল। নদীটি ঠিক খালের মত, এখানে ইহাকে গিঞ্জিরা নদী বলে, কিন্তু সকল স্থানে ইহার নাম সমান নহে ; যে স্থান দিয়া গিয়াছে সেই স্থানের নাম ধারণ করিয়াছে। এমন তো ক্ষুদ্র নদী, কিন্তু ইহাতে বড় বড় কুম্ভীর আছে, এই ভয়ে ঘাটের সামনে সুানের সুবিধার জন্য বেড়া দিয়া রাখিয়াছে। এই নদী কান্দীর পাহাড় হইতে বহমান হইতেছে এবং প্ৰায় ৪০ ক্রোশ পৰ্য্যন্ত চলিয়া গিয়াছে। এই নদীতে যাইতে যাইতে এক এক স্থানে উত্তম শোভা দেখিলাম। এক এক স্থান দেখিতে সুন্দরবনের