পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ve cवांबांद्दे किंख । আসে তখন তাহারা হিন্দু মুসলমান উভয় জাতির মনোরক্ষা করিয়া চলিতে বাধ্য হয়। তাহদের চালচলন দেশীয় অনুকরণে ক্ৰমে অনেক পরিবর্ত হইল। হিন্দুদের অনুরোধে গোমাংস বর্জন করিতে হইল। মুসলমানদের যাহা ‘হারাম’ তাহাও তাহদের বিজনীয়। তাহদের পরিচ্ছদেও তেমনি বদল-পুরুষদের পাগড়ী, স্ত্রীদের সাড়ী অনেকটা গুজরাটী ধরাণের অনুকরণ। পারসীদের কথা (Motto) এই, যখন যেমন তখন তেমন । ইংরাজ-রাজ্য হইয়া অবধি তাহদের সামাজিক নিয়ম ক্ৰমে ইউরোপীয় ধরণে গঠিত হইতে দেখা যাইতেছে। পাশ্চাত্য সভ্যতার বলে তাহদের মধ্যে স্ত্রীস্বাধীনতা ক্রমে প্রস্ফুটিত হইতেছে। প্রথমে বােম্বাই আসিয়া আমার চক্ষে যাহা নূতন ঠেকে তাহা স্ত্রী-স্বাধীনতা। এই বিষয়ে কলিকাতা ও বোম্বাই মধ্যে ভয়ানক প্ৰভেদ । কলিকাতায় ভদ্র স্ত্রীগণ সকলই অন্তঃপুরে রুদ্ধ, বাহিরে কোথাও একটী কুলস্ত্রীর মুখ দেখিবার যো নাই । বোম্বায়ে পথে ঘাটে যেখানে যাও ভদ্র মহিলা চ’খের সামনে পড়ে। গবৰ্ণমেণ্ট-হোঁসের অভ্যাগতের মধ্যে-বিদ্যালয়ের ছাত্ৰ পারিতোষিক বিতরণ-উপলক্ষে সমবেত জনতা-সমূহে দেশীয় স্ত্রী পুরুষ সম্মিলিত দেখিবে। বাগান, বন্দর, ব্যাণ্ড বাজিবার স্থান প্ৰভৃতি নগরের প্রকাশ্য স্থানে সন্ধ্য-বায়ু সেবনের জন্য দেশী ও ইংরাজ স্ত্রীপুরুষ একত্ৰিত হয়, হিন্দু ও পারসী মহিলারা চিত্ৰ বিচিত্ৰ সাড়ীতে সজ্জিত रुईशा সেই সকল স্থানের শোভা সম্পাদন করে ।