পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু-কাহিনী । କଳଧ ফেরার, ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার-ডাক্তার আত্মারাম পাণ্ডুরঙ্গ প্ৰভৃতি বিচক্ষণ ডাক্তারের বিবাহের বয়স সম্বন্ধে সেই সময় আপন আপন অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়াছেন । এদেশের আবহাওয়ার গুণাগুণ, দেশীয়দের শরীর-প্রকৃতি তঁাহারা যেমন ভাল বুঝেন আমরা তেমন বুঝি না। এই সকল বিষয় বিচার করিয়া তাহারা কি বলিয়াছেন ? তাহারা বলেন যে পুরুষের ২০ বৎসরের নীচে-মেয়ের ১৬ কিম্বা ১৭ বৎসরের আগে বিবাহ দেওয়া উচিত নয়। ১৬ জন ডাক্তারের মত লওয়া যায় তাহার মধ্যে কেবল একজন (ডাক্তার চন্দ্ৰ) এদেশে স্ত্রীলোকের বিবাহের বয়স ১৪ বৎসর নির্দেশ করিয়া বলেন । এই সকল পণ্ডিতের মত এই যে স্ত্রীলোক স্ত্রীধৰ্ম্ম প্ৰাপ্ত হইলেই যে সন্তান ধারণের উপযুক্ত হইল তাহা নহে। আরো দু তিন বৎসর অতীত হইলে তবে তাহদের প্রসবের উপযোগী অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পূর্ণতা প্ৰাপ্ত হয়। ইহা হইতে প্ৰমাণ হইতেছে যে আমাদের দেশের বিবাহের নিয়ম প্ৰাকৃতিক নিয়মের বিরোধী। যে সকল স্থানে দ্বিতীয় বিবাহের পর স্বামী স্ত্রীর একত্ৰ সহবাসের রীতি আছে সেখানেও বাল্য-বিবাহের দোষ সম্পূর্ণরূপে নিরাকৃত হয় না কেন না। এই সময় হইতেই যে স্ত্রীলোকের বিবাহের বয়স তাহা নহে। তাহদের শরীরের পূর্ণতা, যৌবনের বিকাশ আরো অধিককাল সাপেক্ষ । বালক বালিকা অপ্ৰাপ্ত-বয়সে স্বামী স্ত্রীর ন্যায় একত্ৰে সহবাস করিবে ইহা প্ৰকৃতি ও বিজ্ঞানের নিয়মের সম্পূর্ণ বিপরীত।