পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e ব্যবসায়ে বাঙালীרצ কারখানার যথেষ্ট উন্নতি সাধন করিয়াছেন। তাহার পুত্রের যখন জন্মগ্রহণ করে তখন তিনি একজন বিশিষ্ট ধনী। যদি তিনি র্তাহার নিজের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় পুত্রদিগকে ঐরুপ সাধারণ মিস্ত্রির কাজে নিযুক্ত করা অপছন্দ করিতেন, এবং পুত্রদিগকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করিবার প্রয়াস পাইতেন, তাহা হইলে হয়তো এতদিনে তাহার ব্যবসার অস্তিত্ব লোপ পাইত । বর্তমান শিক্ষার কুফল অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কোন কোন নিরক্ষর ব্যক্তি অতিশয় হীনাবস্থা হইতে প্রভূত অর্থ ও সম্পত্তি অর্জন করিয়াও নিজের নিরক্ষরতার জন্য সভ্য-সমাজে মেলামিশা করিতে সঙ্কোচ বোধ করিয়া থাকেন। এইজন্য র্তাহারা প্রাণের মধ্যে একটি গোপন বেদনাও অনুভব করেন। সভ্য-সমাজে মৰ্য্যাদার আসন লাভ করিবার আশায় ইহারা পুত্রদের স্ব-শিক্ষিত করিতে অর্থব্যয়ে কোনপ্রকার কৃপণত করেন না। কিন্তু পিতাদের সাধ কতটা পূর্ণ হয়, তাহা ভাবিবার বিষয়। কারণ পুত্রকে বি, এ, এম, এ পাশ করাইয়া এদিকে র্তাহারা আত্মপ্রসাদ লাভ করেন বটে, পুত্ৰগণ কিন্তু নিরক্ষর “অসভ্য” পিতাকে উচ্চশিক্ষার মহিমায় পিতৃ-সম্মান দিতেও কুষ্ঠিত বোধ করেন। এমনও শোনা যায়, পিতাকে পিতা পরিচয় দিতেও কেহ কেহ সঙ্কুচিত হন । পিতাদের কৃতী পুত্রদের নিকট “old fool”,আখ্যা লাভ করিতে হয়। কথা-সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র তাহার “বৈকুণ্ঠের উইল”-এ নিপুণ তুলিকাপাতে ইহার ঈঙ্গিত করিয়াছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষা ছাত্রদের প্রাণে একটা ‘বিলাতীভাব আনিয়া দেয়। পোষাক-পরিচ্ছদ বাহিরের জিনিস, তাহাতে ‘বিলাতী ভাব একটু-আধটু আসিয়া গেলে তাহাতে এমন কিছু