পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরমেশ্বর আনন্দ স্বরূপ।
১৯

 ঈশ্বরকে একবার লাভ করিতে পারিলে তাঁহাকে রক্ষা করিবার আকিঞ্চন সর্ব্বদাই জাগ্রৎ থাকে। কিন্তু সেই অমূল্য ধন রক্ষা করিবার উপায় কি? মনকে সুস্থ এবং, আত্মাকে সুস্থ রাখাই তাহার উপায়। সুনিশ্চল ধর্ম্মানুষ্ঠানে আপনাকে পবিত্র রাখাই তাহার উপায়। মধুস্বরূপ ধর্ম্ম যে কেবল পৃথিবীতে কল্যাণ উৎপাদন করেন, এমত নহে; ঈশ্বরের সন্নিধান প্রাপ্ত হইবার জন্যও ধর্ম্ম আমাদের সহায়। ধর্ম্মই ব্রহ্মধামের সোপানস্বরূপ। ধর্ম্মকে রক্ষা করিলে ধর্ম্ম আমাদিগকে ইহকালে রক্ষা করেন এবং আমাদের যথার্থ ধামে লইয়া যান। আমরা পাপ হইতে যত দূরে থাকি, পুণ্যের যত অনুষ্ঠান করি, ঈশ্বরস্পহার ততই উদ্দীপন হয়। ঈশ্বর যখন সেই মহতী স্পৃহাকে তৃপ্ত করেন, যখন তিনি তাঁহার সন্তাপ-হারিণী মূর্ত্তি প্রকাশ করেন, তখনই আমরা ভূমানন্দ লাভ করিয়া কৃতার্থ হই; তখনই আমরা জীবনের পূর্ণ সুখ ভোগ করি। সেই আনন্দ যে কেবল মুহ‍ুর্ত্ত কালের নিমিত্ত, তাহা নহে—সে আনন্দের যে একই প্রকার ভাব, তাহাও নহে। সেই আনন্দের ক্রমিকই উৎকর্ষ সাধন হইতে থাকে। স্বর্গ হইতে স্বর্গ লাভ; সুখ হইতে কল্যাণকর সুখের আস্বাদ গ্রহণ হইতে থাকে। মনুষ্যের সকল বিষয়েই হয় উন্নতি, নয় দুর্গতি। মনুষ্যের জ্ঞান ক্রমিক উন্নত হয়,—মনুষ্যের ধর্ম্ম ক্রমশঃ সবল হয়—মনুষ্যের মঙ্গল ভাব ক্রমে প্রশস্ত হইতে থাকে। আত্মারও উন্নতি হইতেছে। ঈশ্বরের সহিত আত্মার ক্রমিক নিকট সম্বন্ধ হইতে থাকে। ঈশ্ব-