পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
নবম উপদেশ।
right

ভাব উপলব্ধি করিতে পারি। আমরা এখানে আমাদের কুপ্রবৃত্তিকে যেমন একবার পরাজয় করিতে পারি, ভরিষ্যতের জন্য ততটুকু বল পাই—পরে পরে আরো সহজে তাহাকে অতিক্রম করিতে পারি। আমরা যেমন পাপ হইতে মুক্ত হইতে থাকি, পাপকে অতিক্রম করিবার বলও প্রাপ্ত হইতে থাকি, আবার বলও যেমন বৃদ্ধি হয়, বিমুক্তিও তেমনি সহজে লাভ করিতে থাকি। আমরা জীবদ্দশাতেই মুক্তির আস্বাদ প্রাপ্ত হই।

 আমরা এখান হইতে সেই মুক্তির সোপানে পদ নিঃক্ষেপ করিতেছি। ঈশ্বরকে এখানেই উপভোগ করিতেছি। আমাদের জ্ঞানজ্যোতিঃ যত উজ্জ্বল হইতেছে, তাঁহার মহিমা আমাদিগের নিকটে ততই বিকশিত হইতেছে; আমাদের পবিত্রতা ও সাধু-ভাবের যত উন্নতি হইতেছে, তাঁহার মঙ্গলভাব সেই পরিমাণে গ্রহণ করিতেছি। আমরা বিষয়ের প্রতিকূলতা, অবস্থার প্রতিশ্রোত, যত অতিক্রম করিতেছি; সেই অমৃতের দিকে ততই অগ্রসর হইতেছি এবং ব্রহ্মানন্দের ততই আস্বাদ পাইতেছি। দেবলোকে দেবতারা যে আনন্দরস পান করিতেছেন, তাহা এই ব্রহ্মানন্দের উন্নত ভাব। প্রাতঃকাল কি কোন প্রশন্ত সময়ে আমাদের চিত্ত ঈশ্বরে সন্নিবেশিত হইয়া যখন আমাদের লোম হর্ষণ হয়, হৃদয় কম্পিত হয়, আমরা গভীর পবিত্র স্বগীয় আনন্দ উপভোগ করি; তখন সেই প্রেমানন্দেরই আস্বাদন পাই। এখানে আমরা চাতক পক্ষির ন্যায় ঈশ্বরের প্রেম বিন্দুর প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া রহিয়াছি, সেই