পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবিষ্যতের বাঙালী by &ኃ বাঙালী সাহিত্যিকদের কৰ্ত্তব্য তঁদের মনকে, তাদের চিন্তাকে, র্তাদের কল্পনাকে ভবিষ্যমুখী করা। একশত বৎসর পরে বাংলাদেশ কেমন হ’বে, ভারতবর্ষ কেমন হ’বে, এশিয়া কেমন হ’বে, পৃথিবী কেমন হ’বে তা” নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে শেখার দরকার । শতাব্দী পরে স্ত্রী-পুরুষের সম্বন্ধ কিরূপ হ’বে, শতাব্দী পরে পারিবারিক জীবন কিরূপ হ’য়ে দাড়াবে, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে পিতামাতার কিরূপ সম্বন্ধ হ’বে বা কিরূপ হওয়া উচিত, তা নিয়ে কবি, সাহিত্যিক, ভাবুকেরা ভাবুন। শতাব্দী পরে হিন্দু-মুসলমান থাকবে কি না ; যদি থাকে, তা”হ’লে তাদের পরস্পর সম্বন্ধ কিরূপ হ’বে, তা’ও ভাবতে শিখুন। শতাব্দী পরে জীবনযাত্ৰা-প্ৰণালী কিরূপ হ’বে, তা ভবিষ্যদৃষ্টি দিয়ে স্থির করা দৃষ্টিশীল সাহিত্যের ধৰ্ম্ম । {R निछ डादहङ আরম্ভ করলে সত্যিকার দর্শনের দিকে, চিরন্তন সত্যের দিকে, মানুষের বিধিদত্ত স্বভাবের দিকে, মানুষের জন্মগত অধিকারের দিকে, মানুষের প্রতি সমাজের দায়িত্বের দিকে, সমাজের প্ৰতি মানুষের দায়িত্বের দিকে, নরনারীর সম্বন্ধের প্রাকৃতিক ভিত্তির দিকে, এক কথায় জীবনের মূলগত সত্যের দিকে ভাবুকের দৃষ্টি স্বভাবতঃই যাবে। আর তার ফলে যে সাহিত্যের স্বষ্টি হ’বে, সে সাহিত্য সত্যই আমাদের আদরের, আমাদের গৌরবের, আর আমাদের আশার জিনিষ হ’বে। ভবিষ্যতের বাংলা-সাহিত্য যেন ভবিষ্যমুখী হয়, বৰ্ত্তমানের পটভূমির উপর তা’ যেন হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান প্রভৃতি বাংলা ভাষাভাষীকে আলিঙ্গন ক’রে আপনি ক্ৰোড়ে টেনে আনতে পারে, সুজলা সুফলা বাংলার মাটি-জল-আকাশের মহিমা-কীৰ্ত্তনে তা যেন মুখায় হ’য়ে উঠে, এই হ’ল আমার অন্তরের কামনা ।