এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
ভানুসিংহের পত্রাবলী
গল্পের নায়ক-নায়িকার পরিণাম সম্বন্ধে তা’রা লেশমাত্র কৌতুহল প্রকাশ ক’র্তো না।
যা হোক, তেহি নো দিবস গতাঃ, এখন বোলপুরের শুষ্ক ধূসর মাঠের মধ্যে ব’সে ইস্কুল-মাষ্টারি ক’র্চি; ছেলেগুলোর কলরব চক্রবাকের কল-কোলাহলকে ছাড়িয়ে গেছে। তুমি মনে ক’রো না, এখানে কোনো স্রোত নেই; এখানে অনেকগুলি জীবনের ধারা মিলে একটি সৃষ্টির স্রোত চ’লেচে; তা’র ঢেউ প্রতি মুহুর্ত্তে উঠ্চে, তা’র বাণীর অন্ত নেই। সেই স্রোতের দোলায় আমার জীবন অন্দোলিত হ’চ্চে, আপনার পথ সে কাট্চে, দুইতটকে গ’ড়ে তুল্চে। সে কোন্ এক অলক্ষ্য মহাসমুদ্রের দিকে চ’লেচে, দূর থেকে আমরা তা’র বার্ত্তার আভাস পাই মাত্র। ইতি ২২শে পৌষ, ১৩২৮।
৪৬
শিলাইদা
তুমি আমাকে চিঠি লিখেচো শান্তিনিকেতনে, আমি সেটি পেলুম এখানে অর্থাৎ শিলাইদহে।