পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারি-প্রদর্শনী । যাবনিক ব্যুৎপত্তির গ্রহণে পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের যে কি অধিকার, তাহাও বুঝি না । - ঐ প্রকার কালিদাসাদি-কবি প্রণীত নাটকে যবনিক শব্দের উল্লেখ দেখিয়া, যদি ঐ সময়ের যাবতীয় কাব্য নাটকের উপর যবনাধিপত্য আপত্তি হয়, তাহা হইলে, প্রথমে বিবেচ্য যে, আর্য্যনাটক গ্রীকৃনাটকের সদৃশ কি না ? যাহারা উভয় ভাষার নাটক-রচনা-প্রণালী আলোচনা করিয়াছেন, তাহদের অবশুই বলিতে হইবে যে, ঐ সোসাদৃশু কেবল প্রবন্ধকারের কল্পনাজগতে, বাস্তবিক জগতে তাহার কস্মিনকালেও বৰ্ত্তমানত্ব নাই। সে গ্রীকৃ কোরস কোথায় ? সে গ্রীক যবনিক নাট্যমঞ্চের একদিকে, আৰ্য্যনাটকে তাঙ্গর ঠিক বিপরীতে। সে রচনাপ্রণালী এক, আর্য্যনাটকের আর এক । - আর্য্যনাটকের সাদৃশ্ব গ্রীক নাটকে আদে৷ ত নাই, বরং সেক্সপীয়র-প্রণীত নাটকের সহিত ভূরি সোসাদৃশু আছে । অতএব এমনও সিদ্ধাস্ত হইতে পারে যে, সেক্সপীয়র সৰ্ব্ববিষয়ে কালিদাসাদির নিকট ঋণী এবং সমগ্র পাশ্চাত্য সাহিত্য ভারতের সাহিত্যের ছায়া । শেষ, পণ্ডিত মোক্ষমূলরের আপত্তি র্তাহারই উপর প্রয়োগ করিয়া ইহাও বলা যায় যে, যতক্ষণ ইহা না প্রমাণ হয় যে, কোনও হিন্দু কোনও কালে গ্ৰীক ভাষায় অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিল, ততক্ষণ ঐ গ্রীকৃ প্রভাবের কথা মুখে আনাও উচিত নয় । তদ্বৎ আর্য্য-ভাস্কর্য্যে গ্ৰীকৃ-প্রাচুর্ভাব-দর্শন ও ভ্রম মাত্র । স্বামীজি ইহা ও বলেন যে, শ্ৰীকৃষ্ণারাধনা বুদ্ধাপেক্ষা অতি כיסא