in তত্ত্বজ্ঞান কতদূর গ্রামাণিক । ^ d - | ভারতী কা ১২৮৪) ! য়ই এক হইতে পারে না। জীব যদি আদবেই নাথাকে, তথাপি বাহ বস্তুর সত্তা I থাকিবে; কিন্তু গুণ-গ্রাহী ব্যক্তির অভাব I প্রযুক্ত তাহার গুণ অব্যক্তে পরিণত হইবে। এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, বাহ্য বস্তুর প্র: কাশ জীবের জ্ঞানকে অপেক্ষা করে। আমাদের জ্ঞানের নিকট সাক্ষাৎ সম্বন্ধে যাহা কিছু প্রকাশ পায়, তাহা সত্তা নহে, তাহা সত্তার অভিব্যক্তি মাত্র, সত্তার ভাণ মাত্র, সত্তার আভাস মাত্র। অভিব্যক্তি দুই প্রকার, বহির্বস্তুর গুণ এবং অন্তঃকরণের অবস্থা । ফুলের সুগন্ধ ঘ্ৰাণ করিবামাত্র, অন্তঃকরণে সুখোদয় হইল, এ স্থলে ফুলেতে সুগন্ধি গুণের অভিব্যক্তি এবং অন্তঃকরণে স্বথের অভিব্যক্তি, একই সময়ে ঘটিতেছে। কতক-খানি আকাশ জুড়িয়া বাহ বস্তুর গুণ অভিব্যক্ত হয়। ফুলের প্রতোক অংশ অপরাংশের বাহিরে অবস্থিতি করিতেছে, এবং তাহার সৰ্ব্বাংশ ব্যাপিয়া সৌরভ-গুণ অবস্থিতি করিতেছে । আকাশ-বাপ্তি ভিন্ন বাহ বস্তুর গুণ অভিবাক্ত হইতে পারে না । অন্তঃকরণে যখন অবস্থা-বিশেষের অভিব্যক্তি হয়, তখন তাঁহা আকাশে লয় কিন্তু কালেতেই হইয়া থাকে। দুঃখাবস্থার পরে যখন মুখাবস্থা উদিত হয়, তখন এরূপ মনে হয় না যে, দুঃখের অবস্থা আত্মার একাংশ, মুখের অবস্থা আত্মার অপরাংশ ; ইহাই মনে হয় যে, দুঃখের অবস্থাকে অভিভূত করিয়া সুখের অবস্থা প্রাহভূত হইয়াছে। একাংশের বাহিরে অপরাংশ এ ভাব আকাশের ; এক অবস্থার পরিবর্তে অপর অবস্থা, রূপে অসত্য হইয়া দাড়ায় । সত্য অাবেই যথা অতীতাবস্থার পরিবর্তে বর্তমান অবস্থ, ' এ ভাব কালের ; এইরূপে দেশকালে যাহা । किछू अछिदाख् श्छ, जभूनांग्रहै यां८भंक्रिक সত্য, মূল সত্য দেশ-কালের অতীত । পুষ্পের স্বগন্ধ, এবং অন্তঃকরণের মুখ, দুয়ের । কোনটিকে আমরা মূল-সত্য বলিতে পারি | না ; কেন না বাহ বস্তুর গুণ-অভিব্যক্তি : কতক পরিমাণে মনোযোগের অপেক্ষা করে, | এবং অন্তঃকরণের অবস্থা পরিবর্তন কতক পরিমাণে বহির্বস্তুর অপেক্ষা করে। উক্ত উভয় প্রকারের অভিব্যক্তিকেই আমরা অবশ্য সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি, কিন্তু উহার কোনটিকেই মূল-সত্য বলিয়া বিশ্বাস । করিতে পারি না । অন্তঃকরণের অভিব্যক্তি হইতে বহির্বস্তুর অভিব্যক্তি এত যে ভিন্ন, তথাপি উভয়কেই আমরা সত্য বলিয়া স্বীকার করিয়া থাকি। ইহাও কতক সত্য, উহীও কতক সত্য, সম্পূর্ণ সত্য ইহাও নয় উহাও নয় ; উভয়ই আপেক্ষিক সত্য। যে সত্যের অধিষ্ঠান-প্রভাবে ইহাও সত্য হই । য়াছে, উহাও সত্য হইয়াছে, সেই সত্যই মূল-সত্য। এক সেই সত্যের ভাব যাহা আমাদের আত্মাভ্যন্তরে অাছে, তাহার সঙ্গে । যাঙ্গার যত মিল হয়, তাহাকে সেই পরিমাণে সত্য বলিয়া হৃদয়ঙ্গম করি ; এবং অন্ত । কোন সত্যের সহিত সেই মূল সত্যের ভাব ; সম্পূর্ণরূপে সংলগ্ন হয় না বলিয়াই আর । সকল সত্যকে আমরা আংশিক সত্য বলিয়া নিশ্চয় করিয়া থাকি। মূল-সত্যকে যদি না । মানা যায়, তবে আপেক্ষিক সত্যও সম্পূর্ণ ।