পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

রচনা করিতে পারে। প্রাকৃতিক জগতে নানা প্রাণীর নানা উদ্ভিদের বিভিন্ন অবয়বের পরস্পর সন্নিবেশে যথাস্থিত সামঞ্জস্যের ছাপ যেমন বিনা চেষ্টাতেই একরূপ আমাদের অজ্ঞাতেই আমাদের অন্তরের মধ্যে অঙ্কিত হইয়া যায় তেমনি আমরা সেই দৃষ্ট সামঞ্জস্য অনুসারে আমাদের অন্তরের মধ্য হইতে নূতন নূতন দৈশিক সংস্থান (form) রচনা করিয়া নূতন নূতন সামঞ্জস্য রচনা করিতে পারি। ইহা হইতে ইহা বুঝা যায় যে, যে প্রণালীতে জাগতিক প্রাণী, উদ্ভিদ, জড়াদির সামঞ্জস্য স্বভাবত উৎপন্ন হইয়াছে আমাদের অন্তরের মধ্যেও সেই একই পদ্ধতিতে এবংবিধ ক্রিয়া চলিতেছে যাহাদ্বারা জাগতিক উপাদান গ্রহণ করিয়া জাগতিক সামঞ্জস্যের অনুরূপ অর্থ ও তদ্বিলক্ষণ সামঞ্জস্য আমরা সৃষ্টি করিতে পারি। আমাদের দেশে নানা আল্পনার চিত্র ও নানা প্রকারের অলঙ্কার-চিত্র পরিকল্পনায় (decorative design) যে সমস্ত লতাপাতা দেখা যায় প্রাকৃতিক জগতে হয়ত তাহা কোথাও নাই। তথাপি সেগুলিকে লতাপাতা বলিয়া চিনিতে আমাদের অসুবিধা হয় না। হয়ত বা অনেক স্থলে এমন করিয়া রেখা। বিন্যাস হইয়াছে যাহাকে কোনও ক্রমেই লতাপাতা বলা যায় না। কেবল রেখার উপর রেখা ঘুরিয়া ফিরিয়া চলিয়াছে—সেগুলিকে আমরা লতাপাতা বলিতে পারি না অথচ তজ্জাতীয় এমন একটা সামঞ্জস্যের প্রতীতি হয় যাহার মধ্যে লতাপাতা বিন্যাসের সামঞ্জস্যই যেন লুক্কায়িত হইয়া রহিয়াছে। আমাদের চিত্ত উভয়গত সামঞ্জস্যের পরিচয় পাইয়া এবং চিত্তের মধ্যে প্রকৃতিকে