পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

না করিলেও দুইটী স্মৃত বস্তুর মধ্যে একটা সাদৃশ্য অনুধাবন করিয়া বর্তমানকালে অনুভব করিতে পারি। অথচ স্মৃতি বা সংস্কার ব্যতিরেকে কেবল ইন্দ্রিয়ের দ্বারা সদৃশ প্রত্যয় উৎপন্ন হয় না। এইজন্যই আমরা আমাদের দেশের দার্শনিক সিদ্ধান্তের প্রতিকূলেও মানিতে বাধ্য হই যে সদৃশ প্রত্যয় সাক্ষাৎ ইন্দ্রিয়জ নহে। যাঁহারা প্রত্যভিজ্ঞ এবং সদৃশ প্রত্যয়কে ইন্দ্রিয়জ বলিয়া মানেন তাহাদের তাৎপর্য এই যে স্মৃতি সংস্কারাদি সহকৃত হইলেও বর্তমান দৃশ্যমান বস্তুর একত্ব জ্ঞানের মধ্যেই তাহার পর্যবসান বলিয়া তাহাকে প্রত্যক্ষ বলা যায়। বেঙ্কট তাহার ন্যায়পরিশুদ্ধিতে প্রতাভিজ্ঞার বিষয়ে বলিতেছেন—“প্রত্যভিজ্ঞা হি নাম অতীত-বর্তমান-কালবত্তি একবস্তুবিষয়ক প্রত্যক্ষজ্ঞান। তস্য কালদ্বয়সম্বন্ধবিশিষ্ট মেকমেব বস্তু বিষয়। ন চ তদিত্যংশঃ স্মরণমিদংশশ্চ গ্রহণ, অতীতসম্বন্ধিনি ইন্দ্রিয়সম্প্রয়োগাভাবাৎ ইতি বাচ্যং, তদিদমিতি সামানাধিকরণ্যেন গ্রহণস্য একত্বস্ফুরণাৎ।” (ন্যায় পরিশুদ্ধি পৃঃ ৩১১-৩১২। ব্রহ্মবাদিন্ প্রেস মান্দ্রাজ ১৯১৩।) কিন্তু এই সঙ্গে ইহার বিরুদ্ধ মতেরও উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন—“অত্র ধীভেদবাধ্যপরিহারৌ মত্বা তদিদমংশয়েঃ তদংশে সংস্কারাম্বয়ব্যতিরেকানুবিধানদর্শনাৎ পরোক্ষরূপতয়া ইদমংশে চ প্রত্যক্ষরূপতয়া চ উভয়াত্মকত্বমহুঃ।” (৩১২)। তাৎপর্য এই “ইহাই সেই”, এই বোধ স্থলে সেই বোধটী সংস্কার ব্যতিরেকে হয় না, এইজন্য “ইহাই সেই” এই প্রত্যভিজ্ঞ বোধটী কিয়দংশে পরোক্ষ কিয়দংশে প্রত্যক্ষ। এইজন্য তাহারা প্রত্যভিজ্ঞাকে উভয়াত্মক বলেন। এইজন্য