পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

এই দ্বন্দ্বায়মান ব্যাপারকেই ইহার সার্বভৌম ব্যাপার বলিয়া অঙ্গীকার করিয়াছেন। ইহা সত্য যে এই ব্যাপার হইতে গেলেই একটী স্বেতরত্ব বা অন্যত্ব থাকা আবশ্যক—গতিমাত্রই দুই ছাড়া হয় না। কিন্তু স্বেতরত্ব বা স্বত্ব হইলেই দ্বন্দ্ব হয় না। এই প্রসঙ্গটি ‘What is living and what is dead of Hegel” এই গ্রন্থে Croce বিশেষভাবে আলোচনা করিয়াছেন এবং এই সম্বন্ধে আমার যা বক্তব্য তাহা আমি গ্রস্থান্তরে বলিব। এখানে আমি শুধু এইটুকু বলিতে চাই যে চিত্তের এই যে সাবলীল গতি যাহাতে অন্যত্ব প্রায় তিরোহিত হইয়া যায় এবং এতাদৃশ অন্যত্বের মধ্য দিয়া, চিত্ত, আপন গতির মধ্যে এবং অন্যত্বের, মধ্যে আপন একত্বেরই পরিচয় পায় সেইখানেই সাদৃশ্যবোধ বা সামঞ্জস্যবোধ বা পরিচয়বোধ উৎপন্ন হয়। একদিকে চিত্ত আপন সাবলীল প্রণালীতে বহির্বস্তুর একটী বিশেষ সামঞ্জস্য বা দ্বন্দ্ব আপনার মধ্যে গ্রহণ করে। এই গ্রহণের মধ্যে চিত্তের একটী বাছিয়া লইবার ক্ষমতা বা selective powerএর পরিচয় পাওয়া যায়। যে সামঞ্জস্যটি চিত্ত বহির্বস্তুর মধ্যে আবিষ্কার করে তাহা বস্তুধর্ম হইলেও চিত্তধর্ম্ম। বস্তুর মধ্যে সামঞ্জস্যের অনুরূপ কি আছে আমরা জানি না কিন্তু চিত্তের মধ্যে তাহার যে রূপ প্রকাশ পায় তাহাকে আমরা সামঞ্জস্য বলি, কাজেই বস্তুকে অবলম্বন করিয়া ইহা একপ্রকার চিত্তেরই সৃষ্টি। যখন আমাদের চিত্ত অর্থক্রিয়াকারিত্বের তাড়নায় প্রয়োজনের দিক্ দিয়া বস্তুকে আলোচনা করে তখনও ইহার কাজ আমাদের জ্ঞাতমনের বাহিরে সংস্কার